জাপান আমাকে সবসময় অবাক করেছে, কিন্তু আজ যে গল্প লিখতে চলেছি, সেই গল্প আমাকে যেমন অবাক করেছে, আমার স্থির বিশ্বাস এই লেখার পাঠক পাঠিকাদেরও অবাক করবে। বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য করতে পারব না, কিন্তু অবাক হওয়ার গ্যারান্টি দিতেই পারি।
আমি সবে তখন দক্ষিন জাপানের কুমামতো শহরে শিফট করেছি, নতুন জায়গা আর নতুন মানুষজন সাথে অপূর্ব সুন্দর পরিবেশ! এই শহর পাহাড়ের ছায়ায় বেড়ে উঠেছে, তিনদিক পাহাড়ে ঘেরা, আর অন্যদিকে সমুদ্র! মাঝে অনেক ছোটো বড়ো নদী আঁচর কেটেছে, এই শহরের বুকে। কয়েকদিনেই এই পাহাড়প্রেমী বাঙালি মেয়েটি শহরকে ভালোবেসে ফেলল। এমনি মুগ্ধতা নিয়ে সুইযেনজী পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আর এখানের পায়রাগুলোকে দানা খাওয়াচ্ছিলাম। এক জাপানি বৃদ্ধ হঠাৎই আমাকে এসে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি ইন্ডিয়ান?”
আরও পড়ুন : এক গোলী, এক দুশমন
ADVERTISEMENT
আমি উত্তরে একগাল হেসে মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিলাম। উনি আমার সাথে অনেক গল্প করলেন, ওনার সারমেয়র সাথেও পরিচয় করালেন। কুমামতোর আগে টোকিয়োতে ছিলাম, কিন্তু এত আন্তরিক ব্যবহার আগে কখনও পাইনি। আমার মনে হল যেন একটুকরো ভারতে এসে পড়েছি, যেখানে নিমেষেই সম্পর্ক পাতিয়ে নেওয়া যায়! এই অনুভব ওনাকে বলতে, উনি তো আরও খুশি হলেন যেন, বললেন, এই শহরের পুরানো লর্ড হসোকাবা পরিবারের এক সন্তানের স্ত্রী নাকি ভারতীয় ছিলেন, ওনার বিশ্বাস সেখান থেকেই এখানের মানুষের উপর এই লক্ষণীয় প্রভাব ও পরিবর্তন এসেছে। এই তথ্য আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন, আর ইন্টারনেটেও সেরকম বিশেষ কিছু আমি পাইনি। তবে ইন্টারনেটে ইতিহাসের প্রধান প্রধান তথ্যই মেলে বিস্তর জানতে চাইলে বইই ভরসা, কিন্তু এই ভাষা অল্পবিস্তর বলার ক্ষমতা আসলেও এই ভাষা পড়ার মত যোগ্যতা হয়নি এখনও। যাইহোক ওনার সাথে কথা বলতে বলতেই খেয়াল করলাম, প্রায় আমারই বয়সী এক মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে অনেকক্ষণ। মনে হল যেন কথা বলতে চায়!
অল্প কয়েক মুহূর্তেই ওই জাপানি বৃদ্ধ আমার জাপানি দাদু হয়ে বিদায় নিয়ে সারমেয়কে সাথে নিয়ে পার্ক ভ্রমণে চলে গেলেন, আর সাথে সাথে ওই মেয়েটির সাথেও পরিচয় হল। ওর নাম ইউকো হসোকাবা। একইভাবে ভারত, ভারতের রঙিন সভ্যতা, সংস্কৃতি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করল। এগুলো আমার কাছে নতুন নয়, কারণ যার সাথেই কথা হয়, তারা বলে এগুলো। এখানে ভারত মানেই কারি, না্ন, বাটার চিকেন আর লস্যি সাথে প্রচণ্ড তীব্র রঙের ছড়াছড়ি। এই জ্ঞানের অধিকাংশ কৃতিত্ব জাপানের অলিগলিতে থাকা ভারতীয় রেস্টুরেন্টগুলোর। আরও বেশিকিছু যদি কেউ জেনে থাকে তবে সে আরও তিনটি জিনিসের কথা বলে, এক, দিল্লী, দুই তাজমহল আর তিন বলিউড, ব্যাস। কিন্তু ইউকো আমাকে অবাক করে আরও অনেককিছু বলল, এই যেমন ও জানে কলকাতা, জানে কলকাতার মানুষজন তীব্র রঙ নয় বরং একটু হালকা সুতি পরতে ভালবাসে! আমার শহর কলকাতা নিয়ে এত জানা বা ওর আন্তরিকতা বা আমার বন্ধু পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা এর মধ্যেই যেটাই কারণ হোকনা কেন, আমাদের বন্ধুত্বটা বেশ জমে উঠল, কন্ট্যাক্ট নাম্বার শেয়ার থেকে অবরসবরে কফি শপে আড্ডা সব বাড়তে থাকল পাল্লা দিয়ে।
একদিন ও বলল, “এখানের ভারতীয় রেস্টুরেন্টের খাদ্যগুলো ভারতীয় নয় যে, জাপানিজ মত লাগে, বিশেষ করে বিরিয়ানী! ইন্টারনেটের ছবির সাথেই মেলে না, আমি নিশ্চিত স্বাদও একদম আলাদা। কী বলিস?”
“ঠিকই বলেছিস, আমি তাই বিরিয়ানী বানিয়ে খাই, কখনও বাইরে খাইনা”
“আর্রিব্বাস! তুই বানাতে পারিস! তাহলে একদিন তোর বাড়ি যাচ্ছি!”
যে কাজটা আমারই আগে করা উচিৎ ছিল সেই কাজটা ইউকো নিজেই করে নিল।
কথামত এক শনিবারে সঠিক সময়ে আমার এপার্টমেন্টের কলিং বেলটা বেজে উঠল। “টিং টং”
ভাত আর মাংসের লেয়ার করে পরিমানমত সুগন্ধী জল ছড়াচ্ছিলাম তখন। আওয়াজ শুনেই তড়িঘড়ি পাত্রটাতে ঢাকনা চাপিয়ে হালকা আঁচে দমে চাপিয়ে দরজা খুলতেই হাসি মুখে ইউকো প্রবেশ করল।
সেদিন নানান গল্পের মাঝে ইউকোকে বেশ অন্যমনস্ক লাগছিল, একটু অস্থিরও দেখাচ্ছিল।
“শরীর ঠিক আছে তো?”
“হ্যাঁ” ও উত্তর দিল। ততক্ষণে বিরিয়ানির গন্ধ ঘরের সর্বত্র ছড়াতে শুরু করেছে। হঠাৎ দেখি সোফাতে বসা অবস্থাতেই ইউকোর মাথাটা ভারসাম্যহীনভাবে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তৎপর হয়ে ধরে ফেললাম, ইউকো জ্ঞান হারিয়েছি। ততক্ষণে তো আমার দিশেহারা অবস্থা! কী হল, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না! সামনের টি টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটা নিয়ে ওর চোখে মুখে একটু জলের ছিটে দিলাম সাথে কয়েক ফোঁটা জল ঠোঁটের মধ্যেও দিলাম।
এইভাবে মিনিট দুয়েক করতেই ওর জ্ঞান ফিরল।
“কী হয়েছে তোর! এখন ঠিক আছিস! দাঁড়া, আমি এ্যাম্বুলেন্স ডাকি, এখনই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে!” এই বলে আমি ফোনটা হাতে নিয়ে ১১৯ ডায়াল করতে যাচ্ছি, তখনই ও আমার হাতটা ধরে বলল, “তার দরকার নেই আমি ঠিক আছি! অনেকদিন ধরে স্বপ্ন স্বপ্ন ভাঙ্গা ভাঙ্গা যে টুকরো ছবিগুলো ছিল, এই বিরিয়ানির গন্ধে জুড়ে গিয়ে এক সম্পূর্ণ দৃশ্যপট তৈরি করল। এতবড় ধাক্কা মন নিতে পারলেও শরীর পারেনি, তাই এই সাময়িক ব্রেক ডাউন! চিন্তার কিছু নেই”
এসব শুনে আমার তো মাথায় কিছু ঢুকল না, “মানে!”
“বলছি, তুই আগে ওভেনটা অফ করে আয়, তারপর বলছি!” আমি তখনও হাঁ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে আমকে ঠ্যালা দিয়ে আমার বলল, “যা, ওভেনটা বন্ধ করে আয়!”
বন্ধ করে এসে ওর সামনে এসে বসতেই ও বলতে শুরু করল।
এরপর ও যা বলেছিল, তা এখানে ওর বচনেই বাক্যবন্দী করলাম।
“অনেক ছোটো ছবি গুলো আজ পেলাম, সেগুলো জুড়ে যা পেলাম, তা অদ্ভুত এক গল্পের মত শোনালেও বলছি…
ভারতের এক সমৃদ্ধশালী শহর, শহরের থেকেও অধিক সমৃদ্ধ ওই শহরের নবাব। ইংরেজদের ছত্রছায়ায় ভালোভাবেই শাসন করছিল সেই নবাব। প্রজারা বেশ খুশি ছিল, রাজ্যের সমস্ত শিল্প ও তার শিল্পীদের এক খুশির সময়ছিল নবাবের পৃষ্ঠপোষকতায় ! কথায় বলে সুখের সময় ক্ষণিকের অতিথি। নবাবের নতুন করে সৈন্যবাহিনী গঠন সহ সংস্কার ইংরেজ লর্ডদের খুব চোখে লাগল। নবাবের সমস্ত ক্ষমতা খর্ব করা হল। বলতে পারিস কার কথা বলছি?”
কথা বলতে বলতে আমাকে প্রশ্ন করল ইউকো। “হুম্ম, হয়ত বুঝতে পারছি, নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ”
“হুম হয়ত, তখন শাহিনার পরিবার সহ শাহিনারা মির্জা বলেই ওনাকে চিনতেন। কিন্তু নবাবও ছাড়ার পাত্র নন, উনিও চললেন ইংল্যান্ডের মহারানীর কাছে অভিযোগ জানাতে। নিজের শহর ছেড়ে রওনা দিলেন ক্যালকাটার উদ্দেশ্যে! ওখান থেকে জাহাজে চড়ে পারি দেবেন সাত সমুদ্র! এমনটিই মনস্থির করেছিলেন, ওনার সাথে ওনার পরিবার সহ চাকর মালী রাঁধুনি, শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ সকলে চলল। শাহিনার পরিবারও সকলের সাথে পা মিলিয়েছিল। শাহিনার বাবা মহারাজার দরবারের এক কবি। মাঝে মাঝে নবাব সেই কবিতার প্রশংসা করেন বৈকি। সাথে সাথে শাহিনাদের পরিবারের পেট চলে নবাবের ছত্রছায়ায়।
শহিনার অন্য আর একটি কাজ ছিল, নবাবের এক কন্যার বিশেষ সহচরী ছিল ও। শাহিনার মা অনেকদিন আগেই বেহেস্তে চলে গেছে। এখন পরিবারে শাহিনা ওর এক দাদা ও বাবার সাথে থাকে। দাদ ওদের সঙ্গ নিল না। কারণটা না বললেও শাহিনা জানে, দাদার প্রেয়সীকে দাদা সঙ্গে নিতে পারবে না, তাই ও গেল না।
ক্যালকাটা এসেও নবাবের বিপদ কাটল না। নবাব বন্দী হল। নবাবের নবাবিয়ানা বজায় থাকবে নবাবের স্বাধীনতার বিনিময়ে! উপায়ন্তর না দেখে নবাব মেনে নিলেন। রাজার থাকার স্থানটিকে তাঁর শখের শহর তাঁর জন্মভূমির এক ক্ষুদ্র অনুকরণ করে তুললেন। শাহিনা ও ওর বাবাও মাথার উপর এক আশ্রয় পেল।
বেশ কয়েক মাস নির্বিঘ্নে কেটে গেল। শাহিনাও এগারোতে পা দিল। শাহিনা কিন্তু খুব সুন্দর আঁকতে পারত, রঙ তুলি শাহিনার হাতে পড়লে এক অন্য প্রাণ পেত। আকাশ, মাঠ কখনও ওর মত কোনও বালিকা ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে উঠত। এই গুন ওর বাবা ছাড়া কেউ জানত না, বা জানতে দেওয়া হয়নি!”
শুনতে শুনতে বললাম, “হুম, মেয়েদের গুনের অবহেলা নতুন কিছু নয়!”
আরও পড়ুন - ধারাবাহিক গল্প : দোস ডেজ (দ্বিতীয় পর্ব)
“হ্যাঁ, হয়ত, সেটাই কারণ! তবে এদিকে এক অন্য সমস্যা দেখাদিল, সীমিত অর্থে নবাবের ছোটো সাম্রাজ্যে অর্থাভাব দেখাদিল। আমাদের মত ঘরে রোজ হাঁড়ি চড়া বন্ধ হল। আগে নবাবের মেয়ের সাথে থাকার সময় নানান উচ্ছিষ্ট পাওয়া যেত, ক্রমে তার পরিমান কমতে লাগল। শাহিনা তার পছন্দের বিরিয়ানি আর পায়ও না, বানানোর সংস্থানও নেই! ওর বাবা কোনমতে চাল আর আলু যোগাতে পারে! এখন গোস্তের স্বপ্ন দেখে মাত্র!
এরমই কোনও একদিনে, শাহিনারা আর নবাব কন্যাদের খেলার সময় পেরিয়ে দুপুর হলে, শাহিনা ওদের থেকে একটু আলাদা হয়ে মহলের এক কোনে কাপড়ে বাঁধা মাটির পাত্র খুলে ওর নিজের রান্না করা আলু মেশানো অল্প ভাত খেতে শুরু করল। ও খেয়ালই করেনি অন্য দাসদাসী সহ খাস মহল মানে মহারানী কখন ওর ঠিক পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
-এখানে লুকিয়ে বড় রসুই ঘর থেকে বিরিয়ানি চুরি করে খাচ্ছে, খাস মহল! – শাহিনার হাত ধরে এক দাসী বলল। এই হঠাৎ আক্রমনে শাহিনা হতভম্ব হয়ে গেল, হাত থেকে ওর মাটির পাত্র পরে গেল, অবশিষ্ট ভাত আলু ছড়িয়ে পড়ল।
-না, এটা আমি নিজে বানিয়েছি, দেখুন কোনও গোস্ত নেই। যা আছে শুধুই এই আলু আর চাল!- শাহিনা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
খাস মহল খেয়াল করল, বিরিয়ানির মত সুগন্ধ ছড়ালেও ওটা ওই মহার্ঘ বস্তুটি নয়। আরও খানিক পর্যবেক্ষণ করে খাস মহল বলল, ‘কীভাবে বানিয়েছিস এটা?’
শাহিনা পাকপ্রণালী বর্ণনা করল।
‘আজ এখনই আমার সাথে রসুইতে চল’
এরপর শাহিনাকে নিয়ে ওরা চলে গেল। তারপর থেকেই নবাবী বিরিয়ানিতে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেল। এক, মশলার পরিমাণ কমল, দুই, গোস্তের ঘাটতি পূরণ করতে আলু যোগ হল”
এবার আমি ইউকোকে একটু থামিয়ে বললাম, “বুঝলাম, কিন্তু এসবের মাঝে তুই কোথায় ? বা তোর অসুস্থতার সম্পর্ক কোথায়?”
“আছে, গল্পতো এখানেই শেষ নয়! এরসাথেই আরও একটা ঘটনা ঘটতে থাকে! জাপান থেকে এক সামুরাই পরিবারের ছেলে ইংলিশ ইন্ডিয়াতে আসে। নবাবের দরবারেও তাকে অভ্যর্থনা করা হয়েছিল। হস্তশিল্প সহ চিত্রশিল্পের অনুরাগী সামুরাই পুত্রের মনে দুই রকম বাসনা জেগেছিল হয়ত!”
“কীরকম?” আমি বললাম।
“ভারতীয় মেয়েকে বিবাহের ও কিছু ভারতীয় শিল্পীকে জাপানে নিয়ে আসার! ঘটনাচক্রে সে নবাবকন্যার আঁকা কিছু চিত্র দেখে মুগ্ধ হয়! স্থির হয় ওই নবাবকন্যাকেই উনি বিবাহ করবেন! ওনার দুই বাসনা একসঙ্গে পূর্ণ হওয়ার এমন সুবর্ন সুযোগই উনি পেয়েছিলেন। বিবাহ পরবর্তী সময়ে শাহিনার স্থান আবার বদল হয়! এবার চলে আসে এই জাপানে! অল্প কিছুদিনেই সামুরাই বুঝতে পারে, তাঁর বিবাহিত স্ত্রী মোটেই চিত্রশিল্পী নয়, বরং ওনাকে দেখানো সমস্ত ক্যানভাসই ছিল শাহিনার সৃষ্টি!
শাহিনার ভাগ্য আবার বদলাল, সে এবার ইয়োশিনো হসোকাবার পঞ্চম পত্নী হল। নাম বদলে হল মিকো হসোকাবা। ভাগ্যের স্রোতে ভাসতে ভাসতে অবধ থেকে ক্যালকাটা, ক্যালকাটা থেকে জাপানে ঠাঁই হল! মিকো, এখানে জাপানি চিত্রকলার সাথে ভারতীয় চিত্রকলা মিলিয়ে দিল।
এতকিছুর পরও মিকো বা শাহিনা কাউকেই ইতিহাস মনে রাখেনি!”
এত শোনার পরও আমার উদ্বিগ্ন মুখের দিকে তাকিয়ে ইউকো আবার বলল, “সব ঘটেছিল, প্রমাণ করতে পারতাম যদি এটা প্রমাণ করতে পারতাম যে আমিই শাহিনা বা মিকোর জন্মান্তর! কিন্তু উপায় নেই ওগুলোর! আমাদের ফ্যামিলি ট্রিতেই এক কোনে যে নাম পরে থাকে অতি অবহেলায় !”
এক গভীর দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করল ও, “ থ্যাংকস রে! ভাগ্যিস! আজ তোর রান্নায় আমার ঘ্রানগ্রন্থিগুলো সেই চেনা সুবাস পেল। আমার স্মৃতিতে আসা ছেঁড়া ছেঁড়া দৃশ্যগুলো নয়ত কোনদিনও হয়ত জুড়ত না!”
এরপর আমি আর কিছু বলিনি শুধু দুজনে নিঃশব্দে আলু মাংস সহ বিরিয়ানি পরম তৃপ্তিতে খেয়েছিলাম।
প্রমাণ করতে ইউকো বা আমি কেউই পারব না, কিন্তু কিছু মিসিং লিঙ্ক এইভাবেই হারিয়ে গেলেও সত্যিটা তো বদলায় না! আমি বিশ্বাস করলাম, আপনাদের …
ভেবে দেখুন কি করবেন!
সমাপ্ত!
(গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক! আমার শোনা কিছু তথ্য ও কল্পনা মিশিয়ে এই গল্প লিখলাম…)
0 comments