ভালোবাসা ভালো থেকো

ভালোবাসা ভালো থেকো

– কাটাপোনা সোয়া কিলো মতন আছে বুঝলে?

বাজারের ব্যাগটা নামিয়ে রেখে ঘেমো শরীরটা আরামকেদারায় এলিয়ে হাঁক পাড়লেন অসীমবাবু।
– অ গিন্নি! শুনছো??? বেশ পাকা রুই পেলাম,অনেকদিন পর।

– হাজারবার বলেছি, শুধু আপনি-কোপনির জন্যে গাদাগুচ্ছের বাজার করবেনা। কে খাবে এতো শুনি?

রান্নাঘর থেকে চায়ের কাপ নিয়ে বেরোতে বেরোতে ভুরু কুঁচকে বললেন মনোরমাদেবী।

– সেই যে বড়ি দিয়ে ঝোলটা বানাও, ওটা বানিয়ো আজ। বেশি হলে ওপরে ওদের দিও নাহয় খানিক। কখন যে দুটিতে বেরোয়, কখন ফেরে, কখন রাঁধেবাড়ে…

– তোমার কি? ওরা কি করল না করল? তোমাকে বলেছি না একদম নাক গলাবে না…

ADVERTISEMENT

ধমক খেয়ে মিইয়ে যান অসীমবাবু। চায়ের কাপে একটা আরামের সশব্দ চুমুক মারেন। তারপর অভ্যাসবশত পাঞ্জাবির পকেটে হাত ঢোকাতেই বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে। কোথায় গেল রে বাবা? ও পকেটে? বুকপকেটে? নাহ্‌ সেখানেও নেই, কোমরের কষিতেও কাকস্য পরিবেদনা। ডিবেটাকে তো একমুহূর্তও কাছছাড়া করেননা তিনি। বাজারে যাওয়ার আগে একটিপ নিয়েছিলেন মনে আছে, তারপর? কোথায় গেল? তবে কি বাজারে…? নাকটা সুড়সুড় করে উঠতেই মনটাও হুহু করে ওঠে অসীমবাবুর।

চল্লিশটা বছরের অভ্যেস, সেই ফুলসজ্জের রাত থেকে গিন্নি এই নিয়ে খিটখিট করে। তাও প্রাণে ধরে এ নেশার মায়া কাটাতে পারেননি। অবিশ্যি এর আগেও দুয়েকবার হারিয়েছে,কিন্তু পেয়েও গেছেন কোন না কোন ভাবে। কিন্তু এবারে যে কোথায় হারাল সেটাই তো মনে পড়ছেনা ছাই। শরতের মিঠে রোদ ঝলমল করছে বাইরে। নাহ,আজকের সুন্দর সকালটা স্রেফ মাঠে মারা গেলো। থম মেরে বসে থাকতে থাকতে নাকটা আবার সুড়সুড়িয়ে ওঠে, টালুমালু চোখে চারদিকে তাকান অসীমবাবু।
——————————————————————————————-

ইউ আর ইনকরিজিবল্‌ শাওন!! ইউ আর দ্য মোস্ট ইরেস্পন্সিবল্‌ পার্সন আই হ্যাভ সিন ইন মাই লাইফ!! কোন কিচ্ছুতে মন নেই তোর? এভাবে আর কতদিন তোর পাগলামি সহ্য করতে হবে আমাকে আমি জানিনা। আয়াম রিয়েলি ফেড আপ!!! একবছর আগে হুট করে ডিসিশনটা নেওয়াই ভুল হয়েছিল আমার!!! বলেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে অফিসে বেরিয়ে যায় অভি।

শাওন এবার আস্তে আস্তে সোফা থেকে উঠে গুটিসুটি মেরে বিছানায় শোয়। জানলা দিয়ে একচিলতে ধোঁয়াটে নোংরা আকাশ দ্যাখা যাচ্ছে। ধুস,আজো ডুব মারবে অফিস, পোষাচ্ছে না এখানেও। অথচ ওর এই পাগলাটে স্বভাবেরই প্রেমে পড়ে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে রীতিমতো হাবুডুবু খেয়েছিল অভি। যদিও,অভিকেও সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া যায়না। কলেজ পাশ করার পর এই তিনবছরে মোট পাঁচবার চাকরি পাল্টেছে শাওন। একজায়গায় কিছুদিন কাজ করার পরেই কিরকম যেন দমবন্ধ লাগে ওর। রোজ দশটা-পাঁচটার ট্র্যাফিক ঠ্যাঙানো রুটিন,একফালি খুপরিতে বসে রোবটের মতন যান্ত্রিক চলাফেরা,তাল মিলিয়ে নোংরা অফিস পলিটিক্স করতে না পারলে ভেন্ডিং মেশিনের তিতকুটে কফির সাথে ক্যাজুয়াল যৌনগন্ধী টিটকিরি গুলে খাওয়া, পছন্দসই প্রজেক্ট না পেলে হয় লেঙ্গি নয় তেল মেরে মাসমাইনে আর প্রোমোশন পাওয়া এসব আর শাওন সহ্য করতে পারছেনা। ওর অনর্গল বকে চলা বোহেমিয়ান, উড়নচণ্ডী মনটা ছটফটিয়ে ওঠে ওই উঁচু উঁচু পায়রার খোপকাটা বাড়িগুলোয়।

গতহপ্তায় তাই রেডিওজকি ভ্যাকেন্সির অ্যাডটা দেখেই অ্যাপ্লাই করে দিয়েছে সাতপাঁচ না ভেবেই। কথাটা আজ সকালে অভিকে বলতেই এই বিপত্তি। ওরা দুজনেই মফস্বলে মানুষ, প্রথমে কলেজ আর এখন কর্মসুত্রে এশহরে আসা। কলেজের ক’বছর চুটিয়ে প্রেম করে এই বছরখানেক হল দাম্পত্যের রিহার্সাল হিসেবে ওরা এই ভাড়াবাড়ির দোতলায় লিভ-ইন শুরু করেছে। দুকামরা তলাটার ভাড়া ওরা দুজনে আধাআধি দেয়। মাসখানেক আগে ঠিক হয়েছিল এবার একটা ছোট গাড়ি কিনবে। গাড়ির ইমআই কাটিয়ে আর সামান্যই থাকবে অভির মাইনে তাই ততদিন বাকি খরচগুলো শাওন সামলাবে। সেইমত গাড়ি দেখে এসে কথাবার্তাও হয়ে গেছে। কিন্তু ও যে আর এভাবে পারছেনা…অভিটা বুঝবেনা একবারও? তোর শাওনকে তুই একবারও বুঝবিনা অভি? এতক্ষনে চিবুক গড়িয়ে বর্ষা নামে শাওনের চোখে।
—————————————————————————————————-

রান্নাঘর থেকেই দড়াম করে দোতলার ভারী দরজাটা বন্ধ হবার আওয়াজ পান মনোরমা। খুন্তি নাড়তে নাড়তে ভুরুদুটো কুঁচকে ওঠে ওনার। আবার কিছু হল? মনটা খুঁতখুঁত করে। দুপুরে খেয়ে উঠে আঁচিয়ে, একটা থালা বাটিতে ভাত আর মাছের ঝোল বেড়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দোতলায় উঠে আসেন মনোরমা। ছেলেমেয়েরা যে যার মত বাইরে চলে যাবার পর ওপরের তলাটা খালিই পড়ে থাকতো সবসময়। ওনারই পরামর্শে এবাড়ির দোতলায় ভাড়াটে বসান অসীমবাবু। যদিও প্রথমদিকে “জানো গিন্নি, ওরা বোধয় বিয়েটিয়ে…” ইত্যাদি বলে গাঁইগুঁই করেছিলেন,কিন্তু বলাবাহুল্য ওনার সেই আপত্তি ধোঁপে টেঁকেনি। বাড়িতে দিনান্তে দুটো মানুষের মুখ তো দেখা যাবে। নেহাত এবছর অসীমবাবু রিটায়ার করেছেন নইলে সারাদিন এই একা বাড়িতে হাঁপিয়ে উঠতেন মনোরমা দেবী। কাঁহাতক আর টিভি আর গল্পেরবইতে মুখ গুঁজে থাকা যায়?

বেশ খানিকক্ষন ধাক্কা দেবার পর ফুলোফুলো মুখে দরজা খোলে শাওন।

– খেয়েছিস কিছু?

– এই খাবো গো এবার,অর্ডার দিচ্ছি। এসো না, বোসো।

– থাক, পয়সা দিয়ে আর রেস্তোরার ঐ পচা ছাইপাঁশ গিলতে হবেনা। খেয়ে নে,গরম আছে এখনো।

-তুমি আবার কেন?

-চুপ! খেয়ে নে চুপচাপ। চোখমুখ ফুলিয়েছিস কেন? আবার মারপিট করেছিস?

– না তো!

– হুমমম… আচ্ছা খা আস্তে আস্তে,আমি বসছি।

তিতকুটে মুখে ভাত তোলে শাওন…আহ্‌, অমৃত। খেতে খেতে খিদেটা যেন আরও বাড়ে।

পাশে বসেন মনোরমা। বসার ঘরের লাগোয়া সোফাটায় কটা ফটোফ্রেম ছড়ানো।

-কিসের ছবি রে এগুলো?

– ঐ আমাদের এক বন্ধু ছবি তোলে, সে আমার আর অভির কটা ছবি তুলে দিয়েছিল। সেগুলো ফ্রেম করে সাজিয়ে রেখেছি।

সোফায় বসে ফ্রেমগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করেন মনোরমা।

-বাহ, খুব সুন্দর আর পরিষ্কার এসেছে তো ছবিগুলো।

– হ্যাঁ গো আন্টি, খুব দামি ক্যামেরায় তোলা তো।

– আমার বিয়ের ছবিগুলো তো সব লালচে হয়ে গেছে রে…

-হ্যাঁ, আমরা তো বিয়েতেও ঠিক করেছি…আধখেঁচড়া কথা শেষ করতে না পেরে থতমত খায় শাওন। তারা যে বিবাহিত নয় সেটা স্পষ্ট করে এই মাতৃসমা মহিলার কাছে উচ্চারণ করতে গিয়ে হোঁচট খায় তার আজন্মলালিত মফস্বলী সংস্কার।
ওর অস্বস্তিকে পাত্তা না দিয়ে মনোরমা নিজের মনে বলে চলেন-

-আমাদের সময়ে তো এতো ফটো-টোটো উঠত না রে। যে কটা আছে তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

– এখন সব সফট্‌কপি হয়ে গেছে আন্টি, আর নষ্ট হয়না। তোমারগুলো দিও না, আমি রেস্টোর করিয়ে দেবো।

– ওমা, ফটোর আবার নরম শক্ত কি রে? অবাক হয়ে বলেন মনোরমা।

এবার হেসে ফেলে শাওন। হাত ধুয়ে এসে বসে মনোরমার পাশে।

– তুমি দিও ছবিগুলো। আমি একেবারে ফ্রেমিং করিয়ে দেবো। ঘরে সাজিয়ে রেখো।

-দুর,দুর!!! ওসব কিচ্ছু করবিনা একদম। কি হবে এই বুড়োবয়েসে ঢং করে ছবি সাজিয়ে??? সারাদিন বুড়োর জ্বালায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি।

– বুড়ো কি গো? বিয়ের সময়ের ছবিগুলোতে আঙ্কলকে তো বেশ হ্যান্ডসাম লাগছিল দেখেছি…

– ছাই! ফুলসজ্জের রাতে খাটের পাশে দাঁড়িয়ে ঘেমেনেয়ে ঢোঁক গিলে কি বলে জানিস-“তুমি রাগ করবে না তো? আমি একটু নস্যি নেব?? আসলে খুব টেনশন হচ্ছে…”

শাওন এবার হোহো করে হেসে ফেলে।
– হাসছিস? আমার গা পিত্তি জ্বলে গেছিল শুনে। সারারাত গোমড়া মুখে শুয়েছিলাম ওপাশ ফিরে। সেগুলোর ছবি তো তোলেনি কেউ।

-হিহি,কি যে বল না। ওসব ছবি কেউ তোলে নাকি?

– অথচ আসল ছবি তো সেগুলোই বল? ঝগড়ার পর একে অপরের দিব্বি গেলে রাগ ভাঙ্গানো, দিনের পর দিন ভাতের থালা বেড়ে অভিমানে বসে থাকা, রাতবিরেতে ঘরে না ফেরা মানুষটার জন্যে গলার কাছে দলাপাকানো চিন্তা এগুলোর ছবি থাকে না জানিস কারুর কাছে? সেগুলোর কোন কপিই থাকেনা। কিন্তু এগুলো নিয়েই তো সুখেদুঃখে একে অপরের সাথে বাঁচা রে ছুঁড়ি…

এবার শাওন চুপ করে শুয়ে পড়ে মনোরমার কোলে। মনোরমা আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দেন শাওনের মাথায়।

– তোর এখনো সারাটা জীবন সামনে পড়ে আছে রে মা। এবার একটু সেটাকে গুছিয়ে নে, কেমন?
—————————————————————————————————-

দুপুরের মাছের ঝোলটা খেতে অতি উপাদেয় হলেও খেয়ে ঠিক তৃপ্তি পাননি অসীমবাবু। সন্ধ্যের আড্ডাতেও আজ বারবার ভুলভাল চাল দিয়ে ফেলছিলেন। কোথায় গেল রে বাবা ডিবেটা??? ফেরার পথে একবার চুপি চুপি বাজারের রাস্তাটাও ঢুঁ মেরে এসেছেন। কোত্থাও নেই। কালই একটা নতুন কিনতে হবে। তার আগে কি একবার গিন্নিকে জিগ্যেস করবেন? আবার খ্যাঁক করে ওঠে যদি…

অনেকদুর থেকে ভেসে আসা শাঁখের আওয়াজে চটকা ভাঙল শাওনের, অন্ধকার হয়ে গ্যাছে। পিং করে মেল ঢোকে দুটো পরপর। একটা অফিসের, আরেকটা পরের হপ্তার রেডিওজকির ইন্টারভিউএর কনফারমেশন মেল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে পড়ে ও, তারপর কোমরছাপানো চুলে আলগোছে একটা খোঁপা বেঁধে রান্নাঘরে গিয়ে অভির ফেভারিট চিকেন পাস্তার সবজি কাটতে বসে। সন্ধে গড়িয়ে রাত বাড়ে, চিন্তা শুরু হয় এবার। অভিটা আসছেনা কেন? ফোনটাও বন্ধ। পাস্তা ঠাণ্ডা হয়ে জুড়িয়ে যায়, চুপ করে হাঁটু মুড়ে রান্নাঘরে বসে থাকে শাওন।

রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খুট করে দরজা ঠেলে অভি ঢোকে। ততক্ষনে শাওনের চোখে আরেকপ্রস্থ বন্যা নেমেছে।

-শাওন…শাওন… ডাকতে ডাকতে রান্নাঘরে ঢোকে অভি।

-এই,কিরে?? সাড়া দিচ্ছিস না কেন?

– ফোন বন্ধ কেন তোর?

-আর বলিস না,ব্যাটারিটা…এই!!! কাঁদছিস কেন??

– কিছু নাহ্‌,খেতে বোস। পাস্তা বানিয়েছি,এতক্ষনে জল হয়ে গেল…

-শোন না…

-হুঁ…

-সকালের জন্যে সরি।

-হুঁ…

-হুম্‌কার ছেড়ে আগে শোন, একটা গুডনিউজ আর আরেকটা ব্যাডনিউজ আছে কোনটা শুনবি?

-ব্যাডটাই শোনা আগে…

– আমার শিফটটা চেঞ্জ করলাম বুঝলি? রাত ১১টা অব্দি শিফট এখন…মানে তুই যতই নাকের জলে চোখের ভাস্‌ আমার ফিরতে রাত হবে।

-আর গুডনিউজ???

-শিফটে ক্যাব দেবে। তাহলে যাতায়াতের প্রবলেম সল্ভড্‌, আর রেডিওজকিদের তো দেয়ই ক্যাব। ব্যাস!!! ল্যাটা চুকে গেল, কারুরি আপাতত গাড়ি লাগছেনা তাহলে।

-আমি এখনো জবটা পাইনি রে বলদ্‌,সবে সামনের উইকে ডেকেছে ইন্টার্ভিউতে।

– ও চাপ নেই,তুই ঠিক পেয়ে যাবি। সারাদিন বকে আমার মাথা খেতিস এতদিন,এবার অন্যদের খাবি। নে, হাতটা দে দিকি এবার…

-অভি…!!!!!

– গাড়ির ডাউনটা ক্যান্সেল করে দিয়ে আংটিটা কিনেই ফেল্লুম বুঝলি? ভাল কাজে ফালতু দেরি করে লাভ নেই। এই পাগলি…আবার কাঁদে??? বিয়ে করবি আমায়??কিরে?

হাতে হাত ঠেকে, অস্ফুট প্রতিশ্রুতিগুলো দৃঢ় হয় আরো। অভিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে শাওন।

—————————————————————————————————-
-গিন্নি, অ গিন্নি…ঘুমোলে নাকি…

– উফফ! কি হল কি?? হাজারবার বলেছি জোয়ানটা খেয়ে ঘুমোবে, আবার চোঁয়া ঢেঁকুর উঠছে তো??? বাবারে…জ্বালিয়ে খেলে আমায় সারাটা জীবন…

– আরে না না, বুক জ্বালা করছেনা।

– তাহলে? কি চাই?

-ইয়ে মানে…আমার ইয়েটা…

– ইয়েটা রান্নাঘরের তাকে তুলে রাখা আছে, বাজারের থলেতে পড়ে ছিল। পকেট থেকে বের করতে গেস্‌লে বোধয়।  সারাদিন খেটেখুটে শুতে আসি…একটু ঘুমোতে দাও এবার দয়া করে।

অন্ধকারে চোরের মত পা টিপে টিপে রান্নাঘরের তাক হাতড়ে ছোট্ট স্টিলের ডিবেটা হাতে নিয়ে এতক্ষণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন অসীমবাবু। তারপর বড় করে একটিপ নস্যি নিয়ে ডিবেটা লুঙ্গির কষিতে গুঁজে নিশ্চিন্তে শুতে গেলেন। সেদিন রাতে স্বপ্ন দেখলেন একের পর এক বাঘা চালে একেবারে কাত করে ফেলেছেন চাটুজ্যে বেটাকে। মুচকি হাসি ফুটে ওঠে অসীমবাবুর মুখে।

রাত বাড়ে। বারান্দাওলা দোতলা বাড়িটা আস্তে আস্তে নিঝুম হয়ে আসে। ভালোবাসা ভালো থেকো।

 


——————————————————————————————


সমাপ্ত

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait