তৃতীয় পর্বের শেষাংশ - এর আগে অর্থাৎ তৃতীয় পর্বে আমরা জেনেছিলাম এলিফেন্ট করিডোর হালকা পাতলা এমন এক জঙ্গল যা এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে হাতি চলাচলের সাহায্য করে এবং যা হাতিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাতি যে পরিমানে খাদ্য গ্রহণ করে তাতে একই জঙ্গলে খুব বেশিদিন থাকলে তাদের খাদ্যাভাব হয় তাই মরসুন অনুযায়ী তারা একাধিক জঙ্গল কে সনাক্ত করে রাখে যাতে সারা বছর তাদের খাবারের অভাব না ঘটে। একটি হাতি সারা দিনে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি খাবার খেতে পারে।
ADVERTISEMENT
ধান পাকলে হাতি তার গন্ধ পায় অনেক দুর থেকে, হাতির ঘ্রান শক্তি খুব প্রবল। গ্রামের ক্ষেতে হাতি পড়লে ফসলের অনেক ক্ষতি হয় তাই ধান পাকার সময় বড়ো বড়ো গাছে বা খুঁটির উপরে মাঁচা বেঁধে চাষীরা পালা করে পাহারা দেয়, হাতি খেদানোর জন্য। কানেস্তারা বা টিন পিটিয়ে হৈ হল্লা করতে করতে গ্রামবাসীরা কখনো কখনো মশাল বা পটকা নিয়ে হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতিদের জখম করে ফেলে। হাতির রোষে প্রানও যায় দু চারজন গ্রামবাসীর। এভাবেই চলতে থাকে হাতি মানুষে দ্বৈরথ।
আরও পড়ুনঃ ছোটনাগপুরের পাহাড়ে জঙ্গলে (তৃতীয় পর্ব)
চতুর্থ পর্ব
লোধাশুলির রাস্তা খুবই দুর্গম ও এবড়ো খেবড়ো, সম্প্রতি অবশ্য রাস্তা খুব ভালো হয়েছে, বিস্তর গাছও কাটা হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গে।
কনক দূর্গা মন্দির থেকে লোধাশুলির মোড়ে পৌঁছতে সময় লাগল পাক্কা পঁয়তাল্লিশ মিনিট, ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পরেই ডান দিকে বাঁক নিলো আমাদের গাড়ি, এবারে গাড়ি চললো জাতীয় সড়ক ধরেই।পথে দাড়িশালে,পশ্চিম বঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বোর্ডের পেরিয়ে পথে সারডিহা হয়ে বহাড়াগোড়া পর্যন্ত গাড়ি চললো সোজা। বহাড়াগোড়া থেকে ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়ক টি চলে গেলো বামদিকে আর ডানদিকে গেলো ১৮ নম্বর সড়ক পথ। আমরা ৪৯ নম্বর ধরে কিছুদূর এগিয়ে সুবর্ণরেখাকে অতিক্রম করলাম জামশোলা ব্রিজের উপর দিয়ে। এই নদীতেই মিশেছে আমাদের ছোট্ট ডুলুং নদীটি। সুবর্ণরেখা পেরিয়ে কিছুটা সোজা গিয়ে হঠাৎ বাঁদিকে পাওয়া গেল হাতিবাড়ি রোড, রাস্তার দুদিকে শালের জঙ্গল ক্রমশ ঘন হতে শুরু করেছে, আরো কিছক্ষন যাওয়ার পরে হাতিবাড়ি গেস্ট হাউস যাওয়ার অপেক্ষাকৃত সরু রাস্তাটা দেখা গেলো বাম দিকে এঁকে বেঁকে চলে গেছে, আমাদের গাড়ি নেমে গেলো সেই জিপের রাস্তা ধরে, মিনিট দশেক চলার পরেই হাতিবাড়ি গেস্ট হাউসটি উঁকি মারলো শাল জঙ্গলের মধ্যে।
সেখানেই গাড়ি রেখে আমরা পায়ে পায়ে হেটে চললাম জঙ্গলের পথ ধরে, আমাদের বাঁদিকে সুবর্ণরেখা, নদী এখানে বেশ কিছুটা চওড়া ও গভীর। আমাদের ডান দিকে শাল পিয়ালের বন থেকে ঝিম ধরা গলায় তিলে ঘুঘুরা ডেকে ডেকে আমাদের ক্লান্তি যেন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল, এই সময় শাল গাছে নতুন পাতা বেরোয় তার সবুজে গাম্ভীর্য নেই, আছে তারুণ্যের চঞ্চলতা। শাল গাছের মাথায় মাথায় ঘিয়ে হলুদ রঙের মঞ্জরী এসেছে, তাদের একরকম হালকা অথচ মনোযোগ হরণকারী গন্ধ আছে। সেই গন্ধে মন মাতাল হয়, নেশা লেগে যায়। গরমের দুপুরে গোটা জঙ্গল থেকে একটা গরম ভাপ বেরোচ্ছিল। বেশ বুজতে পারছিলাম এবারে আমাদের একটা দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রাম নেবার সময় হয়েছে। সঙ্গে খাটানোর মতো কোনো তাবু নিয়ে যাওয়া হয়নি সেবারে, অগত্যা অরণ্যের বিছানায় শতরঞ্চি, তোয়ালে গামছা যে যা পেলো পেতে একটু গড়িয়ে নেবার ইচ্ছে হল। সকালের জলখাবারের পরে পেটে আর তেমন কিছু না পড়ায়, সবারই খুব খিদে পেয়েছিল। আমাদের সঙ্গে ছিল ভালো কেক আর নানা রকমের বিস্কুটের প্যাকেট আর ছিল অপর্যাপ্ত ফল, কলা, আপেল, আঙ্গুর এমন কি তরমুজ পর্যন্ত। সে সব কিছুর সদ্ব্যবহার করে ক্লান্তি কিছুটা কাটল বটে তবে, জমি ছেড়ে এখুনি উঠতে ইচ্ছে হলো না।
চক্রবর্তী কাকু ছিলেন দলের সবথেকে বয়জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি, উনি এই অস্বস্তিকর গরমে জামা পর্যন্ত খুলে ফেললেন। কাকু ধুতি পাঞ্জাবি পড়তেন, পড়তেন বললাম এই কারণে উনি এখন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বয়জেষ্ঠ হলেও বেড়াতে গিয়ে কোনোদিন ওনার উৎসাহে কোন ঘাটতি দেখিনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে উনি ছিলেন তরুণদের থেকেও উৎসাহী ও তরতাজা মানুষ। এমন মানুষেরাই বোধ হয় তাড়াতাড়ি না ফেরার দেশে চলে যান। কাকিমা ছিলেন ছোট খাটো একজন মিষ্টি মানুষ, কখনো ওনাকে তীব্র স্বরে কথা বলতে শুনিনি। কোনো ব্যাপার পছন্দ না হলে বিরোধিতা করতেন বটে তবে তা অত্যন্ত নমনীয় ভাবেই। ওনাদের কথা মনে হতেই গতকালের নৈশ্য ভ্রমণের কিছু টুকরো ঘটনা মনে পরে গেল।
গতকাল রাতে খাওয়ার পরে ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ীর চারপাশে আমরা নৈশ্য ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম, তখন সম্ভবত কাকুর একটু তামাকু সেবনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল, সিগারেট ওনার কাছেই ছিল কিন্তু বয়জ্যেষ্ঠতার কারণে দলের কোনো সদস্যের কাছেই উনি আগুন চাইতে পারছিলেন না। এই তামাকু সেবনের বেপ্যারটায় কাকিমার একটা বরাবরের আপত্তি ছিল, সেটা আমরা জানতাম।
কাকু বলছিলেন - একটু আগুনের দরকার ছিল, কার কাছে যে চাই, খানিকটা স্বগোক্তির মতো করেই।
কাকিমা বললেন - কি দরকার এখন ওসব খাওয়ার।
কাকু রেগে গিয়ে বললেন - মানে ? মানেটা কি ? ঘুরতে এসেছি, খাওয়ার পরে একটা সিগারেট খেতে পারব না ?
কাকিমা ততোধিক রাগ দেখিয়ে বললেন - তোমার যা ইচ্ছা হয় কর।
এই শুনে কাকু হন হন করে হেটে কিছুটা সামনে একটা নাটমন্দিরের চাতালের দিকে এগোতে লাগলেন।
ওখানে চার পাঁচ জন স্থানীয় লোক, সম্ভবত দারোয়ান, মালি বা ড্রাইভার গোছের কয়েকজন বসে তাস খেলছিল আর সম্ভবত মৌতাত করছিলো, কাকু সম্ভবত তাদেরকেই টার্গেট করেছিলেন।
এহেন দৃশ্য দেখে কাকিমা রাগে গজ গজ করতে লাগলেন।
তাই দেখে কুন্দগ্রামী কাকু (সম্পর্কে উনি চক্রবর্তী কাকুর ভাগিনা হন ) কি হয়েছে - কি হয়েছে বলতেই
অগ্নিতে একেবারে ঘৃতাহুতি হলো, কাকিমা রুদ্ধ স্বরে বলতে লাগলেন -
ওই যে একজন নেশাড়ু আর এক দল নেশাড়ুর কাছে গেছে আগুন খুঁজতে, এই কথা শোনা মাত্র দলের কয়েকজন উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করতেই, হাসিটা খুব তাড়াতাড়ি সবার মধ্যেই সংক্রামিত হল। কয়েকজন তো ঘটনার পরম্পরা না বুঝেই হাসিতে যোগ দিলো এমন কি চক্রবর্তী কাকু স্বয়ং (জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ফিরে আসার পরে)।
জঙ্গলের মধ্যে গরমের ভাপ টা ক্রমশ বেড়েই চলেছিল, বেশিক্ষন টিকে থাকা দায় হচ্ছিল। হাতিবাড়ি জঙ্গলের আশেপাশে বেশ কিছু রেসিডেন্স হাতি থাকে, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া তেও বেশ কিছু এমন রেসিডেন্স হাতি দেখতে পাওয়া যায়। এরা সারা বছরই পাশাপাশি জঙ্গল গুলির মধ্যে ঘুরে বেড়ায়, সাধারণত এক রাজ্যর জঙ্গল থেকে অন্য রাজ্যের জঙ্গলে যায় না। কাজেই এদের অবস্থিতি নিয়ে এলাকার মানুষের মনে বেশ ভয় থাকে, তারপরে যদি এদের মধ্যে কোনো রোগ এলিফ্যান্ট থাকে তাহলে ভয়টা বিভীষিকায় পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। হাতি রোগ হয়ে যাওয়াকে চলতি ভাষায় গুন্ডা হাতি বলে। এদের এই পরিণতির বিশেষ কিছু কারণ থাকে, হাতি যুথবদ্ধ জীব। এক একটি দলে ৪-৫ টি থেকে শুরু করে ১৫- ২০ টিরও বেশি হাতি থাকতে পারে তবে এর ব্যতিক্রম আছে, একবার কাঁকড়া ঝাড়ের জঙ্গলের খুব কাছে একটা গ্রাম এ একসঙ্গে প্রায় ৮০ - ৮৫ টার একটা হাতির দলকে দেখেছিলাম লালমাটির রাস্তা পেরিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যেতে।
প্রতিটি দলে একটি করে দলপতি থাকে। দলপতি হয় সবথেকে শক্তিশালী দাঁতাল। দলের কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঘিরে থাকে মাদি হাতিরা। বাচ্চারা বড় হলেই দলের বাইরের সারিতে স্থান পায়। দলপতি হওয়ার লড়াই হলো হাতি রোগ (গুন্ডা) হয়ে যাওয়ার একটা মুল কারণ। দলের পরিণত দাঁতালরা শক্তিতে দলপতির সমকক্ষ হয়ে গেলে অনেক সময় নিজেই নতুন দল গড়ার চেষ্টা করে আবার কখনো পুরো দলটার দলপতি হতে চায়, তখন তাকে পুরোনো দলপতির সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়। এই লড়াই দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন। লড়াইতে অনেক সময় একটি হাতির মৃত্যু হয়ে আবার কখনো একটি হাতি রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া হাতিটির সাধারণত বয়স্ক পুরোনো দলপতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। গভীর ভাবে আহত সেই হাতিটি শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ সে আর কখনোই পুরোনো দলে ফায়ার যেতে পারেনা। অধিকাংশ সময় এরাই রোগ এলিফেন্ট হিসাবে কুখ্যাত হয়ে ওঠে। সিংভূম জেলার সারান্ডা জঙ্গলে একবার এমন একটি হস্তী দৈরথ এর সাক্ষী হয়েছিলাম। তিন দিন লড়াইয়ের পরে পুরাতন দলপতিটি মারা যায়। বনবাংলোর পিছনের দিকে যেখানে হস্তিযুথের লড়াই হয়েছিল সেখানে গাছ পালা ঝোপঝাড় সব উপরে একটি সমতল মাঠের সৃষ্টি হয়েছিল। হাতির প্রজনন ঋতুতে তরুণ দাঁতালদের "মস্ত" হবার মরসুম। এই সময় হাতির কানের সামনে অবস্থিত "মস্তগ্রন্থি" থেকে একধরণের চেটাল রস বের হয়। এই রসের অত্যধিক ক্ষরণে যুবা হাতিরা মত্ত ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দলপতি বা অন্য দাঁতালদের আক্রমণ করে। এই ঘটনাতে অনেক সময় সদ্য তরুণ হাতি আহত হয়ে একটি বা দুটি দাঁতই খুইয়ে বসে, একদন্তী হাতিকে স্থানীয় ভাষায় গণেশ এবং দন্তহীন হাতিকে মাকনা বলা হয়। এরাও সাময়িক ভাবে রোগ এলিফ্যান্ট হতে পারে, পরে অন্য কোনো দলের সাথে যুক্ত হয়ে গেলে এরা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই মুল দুই কারণ ছাড়াও আরো অনেক কারণে হাতি রোগ হতে পারে সে সব নিয়ে পরে কখনও আলোচনা করব। ব্যাহেরাগোরা পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়ে ধলভূমগড় হয়ে ঘাটশিলা যাওয়ার যে ১৮ নম্বর জাতীয় সড়ক পথ টি রয়েছে সেটি ধরেই আমরা এগোতে শুরু করলাম।
সড়ক পথে উঠবার আগে কিছুটা পথ যেতে হলো গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে, কখনো কখনো লালা মোরামে বিছানো রাস্তা ধরেও চলছিল গাড়ি। রাস্তার দুই পাশে মাঝে মাঝে বাবুই ঘাসের জঙ্গল চোখে পড়ছিল, বুক সমান উঁচু হলদেটে খয়েরি এই ঘাস দিয়েই বানানো হয় বাবুই ঘাসের দড়ি, সারা ভারত বর্ষেই এই ঘাস দিয়ে চারপাইয়া বা খাটিয়া বানানোর প্রচলন আছে। ছোটবেলায় খড়্গপুর থাকতে বাবা শখ করে রামভজন কাকুকে দিয়ে বানিয়েছিলেন এমন একখানি চারপাইয়া । লাল মোরামের রাস্তা সোজা চলে গেছে দূর দিগন্তের দিকে, দিগন্ত বৃস্তিত কচি সবুজের সমারোহ।
রাস্তার একদিকে রয়েছে বড় বড় সরোবর, তাতে লাল শালুকের ছড়াছড়ি আবার কোথাও ফুটে আছে শ্বেত পদ্ম আর অন্য পাশে দিগন্ত বিস্তৃত ধানের ক্ষেত, এটা ধান পাকার মরশুম, ক্ষেতের পর ক্ষেত পাকা ধান থেকে একধরণের গন্ধ মাঝে মাঝে হওয়াতে ভেসে ঢুকে পড়ছিলো আমাদের গাড়িরই মধ্যে, রাস্তার পাশেই কোথাও কোথাও বট অশথের বড় বড় গাছ, ঝুড়ি নেমেছে তার থেকে। আবার কোথাও লাল রাস্তা হলুদ করে পরে আছে মহুল, বাতাসে তার মাদকতা ছড়িয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। ভালুকরা এই মহুয়া ফুল খেতে খুব ভালোবাসে, প্রচুর পরিমানে পাঁকা মহুল খেলে ভালুকদের নেশা হয়, নেশার ঘোরে অনেক সময়ে ভালুক সারা রাতই মহুয়া গাছের তলায় ঘুমিয়ে থাকে। লাল মাটির পথ ছেড়ে এবারে গাড়ি পড়ল একটা কাঁচা রাস্তায়। কিছুক্ষন চলার পরেই দূরে একটা ছোট গ্রাম নজরে পড়ল, গ্রামটি ছবির মতো সুন্দর, মাটির বাড়ি এবং প্রতিটি বাড়ির সামনে সুন্দর করে নিকানো আর তাতে যে কি অপূর্ব আলপনার বাহার তা বলার নয়। গ্রামের ভিতরে কয়েকটা বড়ো পলাশ গাছ নজরে পড়ল, মধ্যাহ্নের রোদ তাতে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে । তারই নিচে কিছু শিশু কিশোরের দল কে খেলা করতে দেখলাম, গ্রামের শেষে একটা ছোট মন্দির মতো, তার পাশেই একখানা ঝাঁকড়া শিমুল গাছ। গাছের নিচে বসা এক বৃদ্ধ হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের হাত তুলে থামতে বললেন, গাড়ি থামাতেই কাছে এসে প্রশ্ন করলেন - কুথায় যাচ্ছেন? আইজ্ঞা।
আমরা গন্তব্যের কথা বলতেই জানালেন সামনের জঙ্গলে পাকা সড়কে ওঠার আগেই নাকি হাতির দল আছে, সংখ্যায় তারা অনেক। আমরা ওনাকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে কিছুটা চিন্তিত মন নিয়ে সামনের দিকে গাড়ি বাড়ালাম...
0 comments