সঞ্চারী ভট্টাচার্য্যের কলমে থ্রিলার গল্প : অপ্রতিরোধ্য

সঞ্চারী ভট্টাচার্য্যের কলমে থ্রিলার গল্প : অপ্রতিরোধ্য

গল্প প্রতিযোগিতা : থ্রিলারের থ্রিল
গল্পের নাম : অপ্রতিরোধ্য
কলমে : সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য

 

নিজের থেকে পালানোর চেষ্টা করে চলেছি আজও । জানিনা এর শেষ কোথায় ? আদৌ এর হাত থেকে কোনদিন মুক্তি পাবো কিনা ! নিজের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম যেদিন ,সেদিন সবটা তালগোল পাকিয়ে গেছিল । এ যেন এক অন্য  আমি , এক অন্য সন্ধিক্ষণ! 

পর্তুগালের সিরস্কি থেকে ৮ কিলোমিটার  দূরেই ছিল হেলেনোভা শহর । ঐ শহরটি নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তির মোড়কেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিল । আভিজাত্যের এই মোড়কে বাঁধা পড়েছিলাম আমিও। ক্ষণিকের আবির্ভাব , তারপরেই শহরটা যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। জিওন্স ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিতে ব্লাড স্যাম্পেল জোগাড় করার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলাম । এছাড়াও বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিয়ে এসে আমাদের সঞ্চয় করে রাখতে হত । রক্তের চাহিদা মেটাতে এর চেয়ে বড় কম্পানি বোধহয় গোটা শহরেও ছিলনা । নেকড়ের মত ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকত সকলে । সকালবেলা অফিস থেকে বাইরে পা রাখতেও ভয় করত । ধূর্ত শিয়ালের মত লোলুপ দৃষ্টিগুলি আমার দিকে নিবদ্ধ হয়ে থাকত ।

ADVERTISEMENT
Tuhu Momo Video Teaser

বড় সাহেবের হুকুম অমান্য করতে পারতাম না কোনদিনই ।

১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ঐ কনকনে শীতের রাতে ব্লাড স্যাম্পেল জোগাড় করতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল । সেন্ট লুইস রোডের আরলন সাহেবের বাড়িতে ঘটে গেছিল এক হুলস্তুল কাণ্ড । আরলন সাহেব নিজেই নাকি পশুদের মত আচরণ শুরু করেছিলেন । তার জন্য পাড়া প্রতিবেশীরা সন্ধ্যের পরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হতেন ।সেদিন রাতে সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে একলা রেখে যাওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিলনা । স্ত্রী হাজারবার নিষেধ করা সত্তেও বিষয়টা প্রশ্নচিহ্নের মতই চোখের সামনে ফুটে উঠল।

“আমার তো এটাই কাজ । না করতে পারলে যে সংসার চালানোটাও দায় হয়ে দাঁড়াবে ।যেতেই হবে । তুমি সাবধানে থেকো । আমার কিছু হবেনা । ভয় নেই সেলিনা ।"

সেলিনা আমার ঠোঁটে এসে চুম্বন করে বলেছিল , “তোমার সাথেই আছি প্রতিটি মুহূর্তে। আমার ভালোবাসা তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখবে ।"

আরলন সাহেবের বাড়িতে পৌঁছতেই চোখে পড়ল কালো আলখাল্লা পরিহিত দুই সাহেবকে ।আমি সিঁড়ির দিকে পা বাড়াতেই তারা বাঁধা দিলেন ।

“ওদিকে যাবেন না । যাওয়া নিষিদ্ধ । এভাবে গেলে আপনার প্রাণ সংশয় হতে পারে । উনি এখন আর কোন সাধারণ মানুষের পর্যায়ে নেই । পবিত্র জল সঙ্গে রাখুন । আমরা সকলেই প্রায় হার মেনেছি।"

আমার কাছে ওদের সকলের কথাগুলি একপ্রকার অসহনীয় হয়ে উঠেছিল ।

“আমাকে ছাড়ুন । আমাকে যে যেতেই হবে ! " – কথাটা শেষ করতেই কানের কাছে এক অস্ফুট কণ্ঠস্বর ভেসে এলো । এক অজানা কণ্ঠস্বর , অথচ বেশ তীক্ষ্ণ। আমি অবুঝের মতই সেই কণ্ঠস্বরকে নিজের দিকে টেনে নিলাম । আকৃষ্ট হয়ে সেদিকে ধাবিত হতে লাগলাম । তারস্বরে সকলে চিৎকার করে উঠলেন।

“আরে এই ছেলেটি কি নিজেকে শেষ চাইছে নাকি ? সে কি জানে সে কত বড় বিপদকে নিজের দিকে ডেকে নিয়ে আসতে চাইছে ?”

আমার দৃষ্টি সাবলীল । ভাবতেই পারলাম না । কখন যে পৌঁছে গেলাম ঐ নীল দরজার সামনে হুঁশই নেই । হুহু করে দমকা হাওয়া বয়ে এলো । দরজাটা যেন নাভিশ্বাস ফেলে খুলে গেলো আমার দিকে । কিছু অজানা ভয় আমাকে নিজের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ফেলতে চাইল ।আমিও ভবঘুরের মত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে গেলাম ।

ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরটায় প্রাণের কোন অস্তিত্বই ছিলনা । নিজেকে আশ্বস্ত করলাম। 

“এমন বিপদের সম্মুখীন আমি আগেও অনেকবার হয়েছি । রোগীরা আমার কাছেই জব্দ। ঐ সব কালো কাপড়ে মোড়া আচ্ছাধনের প্রয়োজন নেই ।" – মনের গহীন কোণে একটা চাপা ভয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছিল । সেগুলিকে অবহেলা করেই একপ্রকার এগিয়ে গেলাম । ব্যগটা পাশে রেখে দিয়েই সিরিঞ্জটা বার করলাম ।

আবার একটা হাওয়া আমার ডান কাঁধের পাশ ঘেঁসে সুরসুর করে অন্ধকারে গায়েব হয়ে গেলো । মনে হল শুধু হাওয়া নয় , এর সাথেও কেউ যেন রয়েছে । নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলাম । আচমকা কিছু একটা যেন আমার শরীরের ঘ্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করছিল । আমি সব যুক্তির  মাপকাঠি পেরিয়ে বলে উঠলাম , “ মিস্টার আরলন , আমি জানি আপনি এই ঘরেই আছেন । ওরা আপনার উপরে অযথা অত্যাচার করেছে ।  আপনার কিছুই হয়নি । সামান্য শরীর খারাপ হয়েছে মাত্র , এ আমাদের সকলেরই কমবেশি হয়েই থাকে । ডাক্তারি ভাষায় একে এনিমিয়া বলে ।"– মনে হল আমার পাশেই দাঁড়িয়ে কেউ যেন পুরো কথাটি শুনছিলেন । সামনের মোমবাতিটা ধরালাম ।

হঠাৎ মনে হল পিছনেই কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছে । তার গায়ের গন্ধটা পরিষ্কার নাকে ভেসে এলো । ভিনটেজ পারফিউম এর স্মেল । চোখ গেলো সামনের আয়নাটির দিকে ।

“এখানে তো মিস্টার আরলন এর অবয়বটা স্পষ্ট দেখলাম মনে হল ।এখন জায়গাটা এমন আবছা কেন ?”

পরিস্থিতির রেশটা বুঝতে না বুঝতেই ঘাড়ের কাছে সজোরে একটা কামড় অনুভব করলাম । কেউ যেন তার দুটো ধারাল দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল আমার ঘাড়ে । আমি সজোরে চিৎকার করে উঠলাম ।

“বাঁচান,কেউ আমাকে বাঁচান , কোথায় আছেন আপনারা , কেউ দয়া করে বাঁচান আমাকে !” – ঘাড় বেয়ে গরম রক্তের স্রোত সোয়েটারের একটা অংশ ভিজিয়ে দিয়ে গলা বেয়ে নামতে শুরু করল ।একনিমিষেই সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেলো । কিছু পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম । মনে হল কারা যেন তড়বড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে এই ঘরের দিকেই ছুটে আসছেন ।

সময়টা যেন হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল । আমি হাত দিয়ে সেই মানুষরূপী জন্তুটিকে আটকানোর চেষ্টা করলাম । বুটের আওয়াজগুলো আরও স্পষ্ট হওয়ার পরমুহূর্তেই মনে হল কেউ যেন নিজেকে কালো চাদরে জড়িয়ে কাঁচের জানলা ভেঙে বরফের দেশে বিলীন হয়ে গেলো । আমি কোনরকমে পা চালিয়ে জানলার অভিমুখে গিয়ে দাঁড়াতেই মনে হল কেউ যেন নীচের রাস্তার ডান পাশের মসৃণ অন্ধকারটা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে । ঐ কালো অন্ধকারের সারি ভেদ করেও তার সদন্ত চকচক করছিল । লাল রক্তের দাগটা তখনও তাতে নিখুঁতভাবে লেগে ছিল । 

অদূরেই কোন একটি বাড়ির ধার ঘেঁসে কোথায় যেন লোকটি মিলিয়ে গেলেন ।

আমার শরীরটাও যেন ছেড়ে দিল । কোন একটি অবলম্বনের টানে এদিকে ওদিকে চোখটা ঘোরাচ্ছিলাম । শরীরটা নেতিয়ে পড়তে চাইছিল।

যখন চোখ খুললাম, নিজেকে আবিষ্কার করলাম একটি হাসপাতালে।

সামনে কিছু লোক নিজেদের মধ্যে কোন একটি গম্ভীর বিষয়কে নিয়ে আলোচনায় মগ্ন ছিলেন । ওদের মধ্যে একজনকে চিনতে অসুবিধা হল না । গতকাল রাতের কালো আলখাল্লা পরিহিত লোকদুটির মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন ।নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থাতেই খুঁজে পেলাম । শুধু স্যালাইন চলছিল তার সাথে ব্লাডও । আমি সাবলীলভাবে ওঠার চেষ্টা করতেই ডান ঘাড়ের কাছে ভয়ঙ্কর ব্যথা অনুভব করলাম।

“আঃ , আমি উঠতে পারছিনা কেন সিস্টার?"

কালো আলখাল্লা পরিহিত লোকটি এগিয়ে এলেন । আমার কথাটি যেন তাঁকে আরও আচম্বিত করেছে এমন!

“সিস্টার আপনি যান । আমার ওনার সাথে কিছু কথা আছে ।“

সিস্টার আমাদের দুজনের মুখের দিকেই তাকালেন । তারপর লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বললেন , “ সরি , ফাদার নরমান , আমরা এখন আপনাকে কোনভাবেই রোগীর সাথে দেখা করার অনুমতি দিতে  পারব না । উনি যতক্ষণ না পর্যন্ত সুস্থ হয় উঠছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি দেখা করতে পারবেন না ।"

ফাদার নরমানের চোখদুটি যেন সেদিন দয়া ভিক্ষা চাইছিল।

“প্লিজ সিস্টার । হি ইজ ইন ডেঞ্জার । আমাকে ওনাকে বিষয়টা বলে বোঝাতে দিন । আপনাদের এই ক্ষণিকের চিকিৎসা পেয়েই কি ভাবছেন উনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন ? কোনদিন নয় ।সিস্টার প্লিজ , সিস্টার !”

সেদিন আমিও জানতাম না ফাদার নরমান কোন বিপদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন । সময় নিজের গতিবিধি মেনেই এগিয়ে যেতে শুরু করেছিল । আমিও আবার স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তন করে যেতে পেরেছিলাম।এরপর প্রায় একটা মাস কেটে গেছিল । অফিসে বলে ঐ কটাদিন বাড়িতে থাকবার অনুমতি পেয়ে গেছিলাম । সেলিনার সেবার দ্বারা বেশ অনেকটাই সুস্থ হয়েও উঠেছিলাম । একমাস বাদে অফিসে জয়েন করার পর থেকেই বিষয়টা আরও গম্ভীর থেকে গম্ভীরতর হয়ে উঠতে শুরু করেছিল।

ব্লাড স্যাম্পেলগুলো কালেক্ট করতে যাওয়ার সময়েই নজর গেলো সঞ্চিত রক্তের প্যাকেটগুলির দিকে । গলার কাছটায় শিরাগুলি দপদপ করতে শুরু করল । হাত , পায়ের শিরাগুলিও অবশ হয়ে আসতে শুরু করল । নিদারুন তৃষ্ণায় গলাটা শুকিয়ে আসতে শুরু করল ।নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না । হাত থেকে সমস্ত কাগজপত্র মাটিতে ফেলে দিলাম । সিরিঞ্জগুলো গড়িয়ে এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে গেলো । আমি উন্মত্তের মত শুধু ঐ রক্তপূর্ণ প্যাকেটগুলির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এগোতে থাকলাম । মনে হল সমস্ত রক্ত আজ আমার শরীরে প্রবেশ করুক । কাঁচা রক্তের স্বাদ গ্রহণ করে নিজেকে তরতাজা করে ফেলি ।হাজার হাজার প্যাকেট  ছিঁড়ে মুখের মধ্যে পাগলের মত ঢালতে শুরু করলাম ।সারা শরীর রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো । সেদিন যেন সারাজীবনের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিতে মন চেয়েছিল ।

ডক্টর রাসেল হঠাৎ ঢুকে এলেন।

“একি অবস্থা আপনার ? আপনি কাঁচা রক্ত পান করছেন মিস্টার জন ? এসব কি দেখছি আমি । আমি এক্ষুনি স্যারকে বিষয়টা জানাব ।"

রাসেল ঘর থেকে বেরোনোর আগেই দরজার ঠিক সামনেটায় আমাকে অপেক্ষারত পেয়ে অবাক হয়ে গেছিলেন।

“একি , আপনি এখানে চলে এলেন কি করে ?” – ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই আছড়ে পড়লাম । সর্বশক্তি দিয়ে নিজের শিকারকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে লাগলাম । ওর ঘাড়ের গন্ধটা আমাকে ব্যকুল করে তুলেছিল । শিরার দিকে তাকাতেই গরম রক্তের স্রোতটা অনুভব করতে পারছিলাম । সদন্ত বার করেই সেই অনুভূতিকে বাস্তবেও উপভোগের মাধ্যম বানিয়ে ফেললাম । সোঁ সোঁ করে দেহের অর্ধেক রক্তটাই সেদিন টেনে হিঁচড়ে ওর শরীর থেকে বার করে নিয়েছিলাম । শরীরটাকে জঞ্জালের মতই ঘরের এক কোণে ফেলে রেখে সোজা এগোতে শুরু করলাম । পিছনের দরজা দিয়ে সেদিন বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা । জানতাম যে রোগ আমাকে আক্রান্ত করেছে,তা কোন সাধারণ রোগ নয় । ফাদারের কথাগুলির মর্ম সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম । এ শুধু সূত্রপাত ছিল মাত্র।

পুলিশের গাড়ির শব্দ কানে আসতেই আরও জোরে পা চালাতে লাগলাম । সূর্যের আলোটা গায়ে যেন এসে বিঁধছিল । শরীরের ঢাকা অংশগুলি বাদে সবটাই জ্বলে যাচ্ছিল । মনে হচ্ছিল কেউ যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে । জায়গাগুলি পুড়ে যেতে লাগল । ধোঁয়া নিঃসৃত হতে লাগল । আমার ঐ অবস্থা দেখে কেউই গাড়ি দাঁড় করালেন না । অগত্যা দৌড়তে শুরু করলাম । সেদিন যেন শরীরে নেকড়ের চেয়েও বেশী জোর অনুভব করেছিলাম । মনে হচ্ছিল দ্বিতীয়বার যেন জন্ম নিয়ে এসেছি।

সেলিনাকে না জানিয়েই পিছনের জানলা দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়লাম । সেলিনা রান্নাঘরে কাজ করছিল । পায়ের শব্দ পেয়ে এদিকে ছুটে আসতেই নজরে পড়লাম আমি । সেই পিশাচের চেহারাটা লুকোনোর চেষ্টা করেও সেদিন ব্যর্থ হয়েছিলাম । সে আমার দিকে ছুটে আসতে চাইছিল । ইশারায় বাঁধা দেওয়ার পরেও কোন লাভ হল না । আমি তাঁকে শেষ করতে চাইনি । কিন্তু সেদিনের ঐ তৃষ্ণা ছিল মৃত্যু ফাঁদের মতই ।  আমি জ্ঞানশূন্য হয়ে তার শরীরের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়লাম । রক্তগুলো শুষে নিয়ে ওর নিথর দেহটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলে উঠেছিলাম,

“হে ঈশ্বর,এ কেমন তৃষ্ণা দিলে, যা শেষই হতে চায় না !"

এই আজানা পৃথিবীর বুকে অন্ধকারকে সঙ্গী বানিয়েই নির্লিপ্ত তৃষ্ণা নিয়ে ছুটে চলেছি আজও । আরও আরও আরও ,অনেক রক্তের খোঁজে ।

 

সমাপ্ত 

 
 

0 comments

Shared publicly - 14th Jul, 21 09:13 am

ওরে বাবা ..এ যে সাংঘাতিক .....গায়ে শিহরণ খেলিয়ে দিলো মূহূর্ত গুলো ....আপনার প্রতিটা গল্পই নতুন নতুন ধরনের হয় এবং ভীষণ রকম ইন্টারেস্টিং

Madhumita Dey

Madhumita Dey

Shared publicly - 13th Jul, 21 11:50 am

Baap re

Arnab Mukherjee

Arnab Mukherjee

Shared publicly - 12th Jul, 21 08:09 am

শিহরিত হলাম, সেই ড্রাকুলা ছায়াছবি গুলো যেনো চোখের সামনে ভেসে উঠলো, ব্যাখ্যার বাইরে তো কত কিছুই ঘটে, তোমার লেখনীতে সেই অজানার স্বাদ পেলাম। ভালো লাগলো।

Sunandita

Sunandita

Shared publicly - 12th Jul, 21 04:44 am

আপনার গল্প বরাবরই দারুন।আর ডার্কনেস এর মাহাত্ম আপনার লেখা থেকে অনেকটাই অনুধাবন করতে পারি।খুবই ভালো লাগলো এই গল্পটি ও।

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait