মধুরিমা চক্রবর্ত্তীর কলমে থ্রিলার গল্প : জলার ধারে

মধুরিমা চক্রবর্ত্তীর কলমে থ্রিলার গল্প : জলার ধারে

গল্প প্রতিযোগিতা : থ্রিলারের থ্রিল
গল্পের নাম : জলার ধারে
কলমে : মধুরিমা চক্রবর্ত্তী

 
সৃজন সদ্য ডাক্তারি পাশ করে মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে পোস্টেড হয়ে এসেছে। সেখানে হাসপাতাল নেই। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মফস্বলের ছেলে সৃজন। গ্রামীণ অসুবিধেগুলো এখনো ঠিক মানিয়ে নিতে পারেনি। পাকা বাড়ি হাতে গোনা। তারই মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছাকাছি পরিত্যক্ত জমিদারবাড়ির একতলার একটি ঘরে সৃজনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। জমিদারী শেষ হয়ে গেলেও বেশ কিছু বছর আগে পর্যন্ত এবাড়িতে লোক বসবাস করত। কিন্তু এখন আর কেউ থাকে না। দু'চারটি বাড়িতে বিজলি বাতি এসেছে বটে কিন্তু বাকিরা কুপি, মোমবাতি, লণ্ঠন জ্বেলে কাজ সারে সন্ধেবেলা। সৃজনের ঘরে হলুদ আলোর একটা টিমটিমে বাল্ব লাগানো হয়েছে। সমস্ত ঘরটাকে কেমন হলদেটে আবছায়া ঘিরে থাকে। দিনের বেলাটা রোগীর ভিড়ে ভালোই কাটে। কিন্তু সন্ধে থেকে সময় আর কাটতেই চায় না।
 
সেদিন সৃজন পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপে গেল। সন্ধে হতেই চারদিক নিঝুম হয়ে যায়। তখনো আলো আছে দেখে সৃজন দোনামোনা করে চলেই গেল। গিয়ে দেখে বেশ আড্ডা বসেছে। সকলে খুব খাতির করে তাকে বসাল। রামগোপালখুড়ো বললেন, 'আমাদের গাঁয়ে এসে কেমন লাগছে ডাক্তারবাবু ?' মুখের ওপর ভালো না লাগার কথাটা বলতে না পেরে সৃজন একটু হাসল। তবে এরই মধ্যে সে বুঝেছে, মানুষগুলো খাঁটি। অন্তর আছে। রামগোপালখুড়ো ফের বললেন, 'কোনো অসুবিধে টসুবিধে হচ্ছে না তো ?'
- 'না না, অসুবিধে আর কী !'
শ্রীদাম কমবয়সী ছেলে। বলল, 'আপনি শহুরে মানুষ। আমাদের গাঁয়েগঞ্জে এসে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। মাঝে মাঝে এসে খানিক গল্পগুজব করে যাবেন। দেখবেন আর একা একা লাগবে না।'
- 'নিশ্চয়ই আসব। আপনারাও আমার ওখানে যাবেন। সন্ধের পর আমি একাই থাকি।'
কেউ জবাব দিল না দেখে সৃজন আবার বলল, 'কী ? আসবেন তো ?' গ্রামের বহুকালের কবিরাজ চরণদাস বললেন, 'আসলে কী জানেন ডাক্তারবাবু? সন্ধের পর আমরা ওদিকে বড়ো একটা যাই না। তেমন প্রয়োজন না পড়লে গ্রামের কেউই ওদিকে যায় না।' সৃজন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, 'কেন ?'
- 'সেকথা আরেকদিন বলব না হয়।'
সৃজন হেসে বলল, 'কেমন রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি !'
- 'না..., ওই আর কী ! আপনিও সন্ধের পর একা বেরোবেন না ডাক্তারবাবু।' 
- 'কেউ রোগী দেখার জন্য ডাকতে এলে তখন তো যেতেই হবে, সে সন্ধে হোক বা রাত।' 
চরণদাস বললেন, 'যা করবেন ডাক্তারবাবু, সন্ধের আগে। রোগী দেখতেও সন্ধের পর কোথাও যাবেন না।'
- 'কেন ? কী হবে গেলে ?'
বলাইয়ের ছোটোখাটো ব্যবসা। সেইজন্য তাকে নানা শহরে ঘুরতে হয়। শহুরে মানুষ সে অনেক দেখেছে। বলল, 'আপনি শহরের লোক। পাড়াগেঁয়ে গপ্পো বিশ্বাস করবেন কি ?'
- 'অলৌকিক কিছু নাকি ? মানে ভূত টুত ? বলুন না কী ব্যাপার।'
বলাই হেসে বলল, 'প্রথম দিনেই এইসব গল্প শুনবেন ?'
- 'ক্ষতি কী ?'
- 'বেশ। রামগোপালখুড়ো, আপনি বয়ঃজ্যেষ্ঠ। আপনিই বলুন। ডাক্তারবাবু শুনতে চাইছেন যখন।'
রামগোপালখুড়ো একটু কেশে বললেন, 'সেই ভালো। আজ নয় কাল তো বলতেই হত।' এই বলে শুরু করলেন।
 
আপনার বাড়ি থেকে পশ্চিমদিকে খানিকটা গিয়ে একটা জলা মতন আছে। জমিদারীপ্রথা থাকাকালীন ওটা জমিদারীর মধ্যেই পড়ত। বাড়ির মেয়েরা খিড়কির দোর দিয়ে ওই দিঘিতে স্নান করতে যেত। এখন অব্যবহারে জলা হয়ে আছে। চারপাশে জঙ্গল। জলও সর পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য। ওদিকে এখন আর কেউ যায় না। যেতে ভয় পায়। আমি যদিও নিজের চোখে কিছু দেখিনি। তবে আমাদের পূর্বপুরুষের কাল থেকে শুনে আসছি এই কাহিনি। আপনি যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে বহু বছর আগে জমিদারের পারিবারিক চিকিৎসক থাকতেন। জমিদারবাবুর বোন মোহিনীর সেই ডাক্তারকে খুব ভালো লেগে যায়। ছুতোয় নাতায় ডাক্তারের ঘরে যাওয়া শুরু করল সে। নিত্য নতুন রোগও তার শরীরে বাসা বাঁধতে লাগল। ডাক্তার কিছুকাল পরে বুঝলেন, এ রোগ মোহিনীর শরীরে নয়, মনে। ডাক্তার একদিন বললেন, 'আপনার অসুখ তো লেগেই থাকে। বোধ হয় আমার ওষুধে কাজ দেয় না। আপনি বরং শহরের কোনো বড়ো ডাক্তারকে দেখান।' মোহিনী দৃষ্টি দিয়ে যেন বিদ্ধ করল ডাক্তারকে। তারপর বলল, 'কেমন ডাক্তার তুমি ? একজন মেয়ের মনের জ্বালা মেটাতে পার না !' ডাক্তার ততক্ষণে ঘামতে শুরু করেছেন। মোহিনী তাঁকে অপাঙ্গে দেখে চলে এল।
 
মোহিনী তরপর থেকে যখন তখন গিয়ে উৎপাত করত। সে বুঝতে পেরে গিয়েছিল ডাক্তারের মন অন্য কোথাও বাঁধা পড়ে আছে। তাই নানাভাবে ডাক্তারকে মানসিক পীড়ন করে সে সুখ পেত। এদিকে বাড়ির লোক সন্দেহ করতে আরম্ভ করল। একদিন জমিদারবাবু নিজে এসে ডাক্তারকে একপ্রকার হুমকি দিয়ে গেলেন। 'আমরা বনেদী ঘর। আমার বোন আকাশের চাঁদ। তুমি বামন হয়ে...। বুঝলে তো কী বলছি ? আমার বোনের কোনো বদনাম রটলে আমাদের মান থাকবে না। তোমার এ গাঁয়ে আর না থাকাই ভালো। কালই রওনা হয়ে যেও। মোহিনীর সঙ্গে যেন কাল আর তোমার দেখা না হয়।' শেষের কথাটা একেবারে আদেশের মতো শোনাল। ডাক্তার পরদিনই প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচলেন। এমনিতেই মোহিনীর অত্যাচারে তিনি কাতর হয়ে পড়েছিলেন। ফলে এ হল শাপে বর। কিন্তু মোহিনী যখন দেখল ডাক্তারের ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে তখন সে পাগলের মতো হয়ে গেল। ডাক্তার তার প্রতি আকৃষ্ট না হলেও সে তো তবু রোজ তাঁকে দেখতে পাচ্ছিল। এখন ডাক্তারকে না দেখে সে থাকবে কেমন করে ! মোহিনী সকলের চোখ এড়িয়ে মাঝে মাঝেই উন্মাদিনীর মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। গাঁয়ের বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াত ডাক্তারকে। তারপর একদিন ওই দিঘিতে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেল। কেউ বলল মোহিনী ডাক্তারের শোকে আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ বলল জমিদারবাবু নাকি নিজের বোনকে হত্যা করে দিঘির জলে ফেলে দিয়েছেন। তারপর থেকে কোনো ডাক্তার এখানে টিকতে পারেন না। রাতের অন্ধকারে মোহিনী ছল করে ভুলিয়ে ডেকে নিয়ে যায় জলার ধারে। 
 
চণ্ডীমণ্ডপে প্রদীপের আলোয় বেশ গা ছমছমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। গল্প শেষ হতেই সৃজনের হা হা হাসিতে তার রেশ কেটে গেল। তারপর সে জিজ্ঞেস করল, 'সেই ডাক্তারদের কী পরিণতি হয়েছিল ?' রামগোপালখুড়ো বললেন, 'কেউ মরে পড়েছিল পাড়ে, কেউ জলার মধ্যে। আবার কেউ পাগল হয়ে গিয়েছিল।' সৃজন কৌতুক করে বলল, 'তাহলে দেখাই যাক না আমার কী পরিণতি হয় !' রামগোপালখুড়ো একটু অপ্রতিভ হয়ে বললেন, এ কাহিনি বিশ্বাস করবেন না তা আগেই জানতাম।' চরণদাস কবিরাজ বললেন, 'তবে কী জানেন তো ডাক্তারবাবু? বিশ্বাস করা না করা অন্য কথা। তবু সাবধানের মার নেই। কী দরকার রাতবিরেতে রোগী দেখতে যাবার ?' সৃজন এবার দৃঢ়ভাবে বলল, 'ডাক্তারি পড়ার সময় আমাদের শপথ নিতে হয় জানেন বোধ হয়। কখনোই কোনো রোগীকে আমি ফেরাতে পারব না। আজ উঠি।' শ্রীদাম পেছন থেকে চেঁচিয়ে বলল, 'সাবধানে যাবেন ডাক্তারবাবু।' সৃজন বড়ো বড়ো পা ফেলে চলে এল।
 
বিশাল জমিদারবাড়ি। একপেশে মাঝারি একটা ঘরের তালা খুলে ঢুকল সৃজন। আলোর সুইচ টিপল। কিন্তু আলো জ্বলল না। নিশ্চয়ই কারেণ্ট নেই। হাঁতরে হাঁতরে টেবিলের ধারে গিয়ে দেশলাই দিয়ে মোমবাতি জ্বালাল। এই আলোয় বইও পড়া যাবে না। মোটা মোটা দেওয়ালের ভেতর দিয়ে মোবাইলের টাওয়ারও ধরে না। থাকার মধ্যে আছে কেবল রেডিও। রেডিওটা চালাল সে। সব স্টেশন ধরে না। নব্ ঘোরাতে ঘোরাতে এক জায়গায় এসে থামল। পুরনো দিনের বাংলা গান দিচ্ছে। চৌকিতে গা এলিয়ে দিয়ে শুনতে শুনতে সৃজনের একটু ঘুমের মতো এসে গিয়েছিল। হঠাৎ চটকা ভেঙে দেখে রেডিওর গান থেমে গেছে। ঘরঘর করে আওয়াজ হচ্ছে। ক্রমে আওয়াজটা গোঙানির মতো শোনাচ্ছে। সৃজন যথেষ্ট সাহসী ছেলে। কিন্তু নিজের অজান্তেই সে কেমন চমকে চমকে উঠতে লাগল। রেডিওর গোঙানিটা এখন ফিসফিসে কথার মতো শোনাচ্ছে। কান পেতে শুনল সৃজন। কোনো এক নারী যেন চাপাস্বরে বারংবার ডাক দিচ্ছে। আয়...আয়...। কেউ কোত্থাও নেই। সৃজন নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। হৃৎপিণ্ডটা গলার কাছে লাফিয়ে উঠতে চাইছে যেন। সে জোর করে অস্বস্তি কাটাতে একটা গান ধরল। দু'কলি গাইতেই মনে হল সে যেন একা গাইছে না। আর কেউ গাইছে তার সঙ্গে। কোনো মেয়েলি মৃদু কণ্ঠ। সৃজন চুপ করে খানিকক্ষণ কান পেতে রইল। নাহ্, কোনো শব্দ নেই। নৈঃশব্দও অসহ্য লাগছে। চারিদিক থেকে তাকে জড়িয়ে ধরছে শব্দহীনতা। আজ সন্ধেবেলা ওইসব আজেবাজে গল্প শোনা তার মোটেই উচিত হয়নি। ভাবতে ভাবতেই দরজায় টোকা পড়ল। টক্ টক্ টক্। শব্দের আকস্মিকতায় আবারও চমকে উঠল সৃজন। জিজ্ঞেস করল, 'কে?'
- 'দরজাটা একটু খুলবেন ডাক্তারবাবু ?'
নারীকণ্ঠের উত্তর এল। 
- 'কে আপনি ? কী চান ?'
- 'আমি এই গাঁয়েই থাকি। আমার স্বামীর বড়ো অসুখ। আপনি না গেলে বাঁচবে না।'
এবার ধাতস্থ হয়ে সে দরজা খুলে দিল। এক গ্রাম্য মহিলা গলা অবধি ঘোমটা টেনে ঘরে ঢুকল। সৃজন ভাবল মহিলার সাহস মন্দ নয়। বেশ তো একাই এসেছে ! হয়তো বাড়িতে আর কেউ নেই। স্বামীকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে। বাইরে কখন বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে সৃজন টেরই পায়নি। সঙ্গে দমকা হাওয়ার শোঁ শোঁ আওয়াজ। মনের দুর্বলতায় এতক্ষণ এইসব শব্দেই সে ভয় পেয়েছে। এখন ভাবতে লজ্জা করল। মহিলার মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঘোমটার ভেতর থেকে ক্ষীণস্বরে বলল, 'আমার স্বামীকে বাঁচান ডাক্তারবাবু। একবারটি চলুন। নাহলে ও ঠিক মরে যাবে।' সৃজন বলল, 'আপনি আগেই এত ভয় পাচ্ছেন কেন ?' মহিলাটি একথার কোনো উত্তর দিল না। এদিকে মোমবাতি প্রায় নিভু নিভু। সৃজন টর্চটা টেবিল থেকে নেওয়া মাত্র হাওয়ার ঝাপটা এসে মোমবাতিটা নিভিয়ে দিল। টর্চটা সে জ্বালাল বটে, কিন্তু বেকায়দায় সেটা হাত থেকে পড়ে গেল। সৃজন নিচু হয়ে টর্চটা কুড়োতে গেল। জ্বলন্ত টর্চ এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে গড়িয়ে যেতে যেতে আলো ছড়াতে লাগল। সেই আলোয় সৃজন দেখল বৌটির হাঁটু পর্যন্ত কাপড় পরা। পায়ের উন্মুক্ত অংশ বিঘত পরিমাণ কালো লোমে ঢাকা। ঠিক যেন কোনো পশুর পা। তার থেকে টপিয়ে টপিয়ে জল পড়ছে। বিস্ফারিত চোখে চেয়ে থাকতে থাকতে সৃজন শুনল, মহিলাটি বলছে, 'চলুন ডাক্তারবাবু।' রেডিওতে কিছুক্ষণ আগে শোনা ফিসফিসে আয় আয় ডাকের সঙ্গে এই কণ্ঠস্বরের অদ্ভুত মিল। সৃজনের আর কিচ্ছু খেয়াল নেই।
 
পরদিন সন্ধ্যেবেলা সৃজন আবার চণ্ডীমণ্ডপে গেল। তার মুখ অসম্ভব গম্ভীর। চোখ রক্তবর্ণ। বলাই জিজ্ঞেস করল, 'ডাক্তারবাবু, আপনার কি কিছু হয়েছে?' 
- 'হুম, কাল রাতে আমার এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে। আপনারা মিথ্যে বলেননি।'
সকলের চোখের প্রশ্ন রামগোপালখুড়োর কথায় ভাষা পেল, 'কী হয়েছে ডাক্তারবাবু ? আমাদের বলা যায় ?'
- 'বলব বলেই তো এসেছি। কিন্তু সেটা তো ওই জলার ধারে না গেলে বোঝাতে পারব না !'
রামগোপালখুড়ো অবাক হয়ে বললেন, 'এখন জলার ধারে ?'
- 'এখনো সন্ধে হয়নি। চলুন না একবার।'
তবু সকলে যেতে রাজি হল না। শ্রীদাম, বলাই আর গণেশ চলল সৃজনের সঙ্গে। 
 
জলাটা এখন কয়েক হাতের মধ্যে। অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সৃজন বলল, 'কাল রাতে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, জলার ধার অবধি আর যেতে পারব না। আমি এখানেই দাঁড়াচ্ছি। আপনারা এগিয়ে গিয়ে দেখে আসুন।' পায়ে পায়ে এগোল শ্রীদাম, বলাই আর গণেশ। এখনো আকাশের আলো সবটুকু নেভেনি। গোধূলিবেলায় সামান্য ঘোলাটে চাদর যেন বিছিয়ে রয়েছে চরাচরে। জলার ধারে গিয়ে কালচে জলের দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠল তিনজনেই। ও কী ভেসে রয়েছে জলে ? কার শরীর ? এ যে ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে থাকা সৃজন ডাক্তারের দেহ !
ADVERTISEMENT

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait