ঢেউ আসে ঢেউ যায়

ঢেউ আসে ঢেউ যায়

১)

হোটেল মালিকের সাথে কথাবার্তা সেরে রাস্তায় নামতেই চোখ আটকে গেল ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা বছর ত্রিশের একটা মেয়ের উপর। আমাকে দেখে সেও দাঁড়িয়ে পড়েছে। রাস্তা পেরিয়ে তার কাছে এগিয়ে গেলাম, “কেমন আছো? কবে এসেছ?” রোহিনী আমাকে আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে একটু হেসে বলল, “এই তো গতকাল সকালে। ভালোই আছি। তোমার খবর কি? বিয়ে করেছ? বৌয়ের সাথে আলাপ করাবে না?” এবার আমিও হেসে ফেললাম, “না ম‍্যাডাম বিয়ে করিনি।” কথাটা শুনে রোহিনীর মুখের হাসিটা মিলিয়ে গেল।

রোহিনীকে দেখে বুঝলাম সে বিয়ে করেছে। কোলে একটা বাচ্চা। বাচ্চাটা একবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে, একবার আমাকে দেখছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “বয়স কত?” রোহিনী বলল, “দু বছর।”

— তুমি একা কেন? তোমার বর কোথায়?
~ ও আসেনি। ছেলেকে নিয়ে আমি একা এসেছি কয়েকজন আত্মীয়ের সাথে।
— কি করেন সে? 
 বড় ব‍্যাবসায়ী। ব‍্যাবসার কাজে এখন মুম্বাইয়ে আছে।
রোহিনী আমার সাথে কথা বলার জন্য বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে অনেক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। বলল, “এবার চলি। ভালো থেকো।” তারপর নিজের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করল। আমি ব‍্যাস্তভাবে বললাম, “আরেকটু দাঁড়িয়ে যাও। কতকিছু জানা বাকি। তোমার মা বাবার কথা, বাচ্চার কথা, বরের কথা, তুমি কোন হোটেলে আছ, কদিন আছ…..”!

ADVERTISEMENT
Swades Times Book

 “কি করবে এতকিছু জেনে?” আবার হাসল রোহিনী। সে আর দাঁড়াল না। সমুদ্রের পাড়ের বাঁধানো রাস্তা ধরে এগিয়ে গিয়ে পুরীর অগুনতি পর্যটকদের ভিড়ে মিশে গেল। আমি তখনও সেদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে র‌ইলাম।

সকালে রোহিনীর সাথে দেখা হ‌ওয়ার পর থেকে মনটা উদাশ হয়ে গেছে। সন্ধ‍্যের পর হোটেলের ঘরে মন টিকল না। বাইরে বেরিয়ে সমুদ্রের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। জোরে হাওয়া ব‌ইছে। ঢেউগুলো গর্জন তুলে ছুটে এসে বালুচরে হারিয়ে যাচ্ছে। আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম।

 সমুদ্রের ধার ধরে হাঁটতে হাঁটতে জীবনের নানা স্মৃতি আমাকে ঘিরে ধরল। অনেক ছোটবেলায় মা মারা গেছে। বাবাই মানুষ করেছে আমাকে। তবে এই পঁয়ত্রিশ বছর বয়স পেরিয়ে প্রকৃত মানুষ কতটা হতে পেরেছি, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। কলেজে পড়াকালীন শ্রেয়া নামে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম। সেটা একতরফা প্রেম ছিল। যখন বুঝলাম ততদিনে শ্রেয়া হাতবদলী হয়ে গেছে। ছেঁকা খেয়ে ভাঙা মনে আমার তখন দেবদাস পরিনতি। বাবা সরকারি চাকরি করত, টাকার অভাব ছিল না। আমার এই কষ্টের জীবন সহ‍্য করতে না পেরে পঁচিশ – ছাব্বিশ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিল। কিন্তু তখন আমার মধ্যে সাংসারিক পরিপূর্ণতা আসেনি। রোজগার‌ও নেই সেরকম, লেখালেখি করে সামান্য যা আয় হয়। বাবার কাছে বৌয়ের নিত্য আবদার মেটানোর টাকা চাইতে আমার ভালো লাগত না। সবথেকে বড় কথা আমি তখন ছিলাম আমার ভাবের জগতে। নতুন বৌয়ের প্রতি ছিলাম উদাসীন। মাঝেমধ্যে ঝগড়া অশান্তিও করতাম। ও মুখ বুজে সব সহ‍্য করত। এখন বুঝি একটা মানুষ কতদিন আমার মত একরোখা, বদমেজাজী, উদাসীন সঙ্গীকে সহ‍্য করবে! আমার স্ত্রীও বেশিদিন পারেনি। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। মেয়েটাকে ভালোভাবে দেখিনি পর্যন্ত ঐ দেড় বছরে।

হাঁটতে হাঁটতে স্বর্গদ্বার পেরিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছি। এদিকে ভিড়ভাট্টা কম। পূর্ণিমার চাঁদ চারিদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এক স্নিগ্ধ আলো। সমুদ্রের নিকষ কালো বুকে সেই আলো কতগুলো রূপালী রেখা এঁকে দিয়েছে। সাদা ঢেউয়ের ফেনা মুক্তমালার মত চকচক করছে। তার মধ্যেই মৎসজীবীর দল ঝাঁপ দিয়ে সেই আলোক রেখায় আন্দোলন তুলছে। তারপর জাল টেনে তুলছে পাড়ে। আমি দেখছি কোথায় কি কি মাছ জালে ধরা পড়ছে।

ঠান্ডা হাওয়ার গতি আরেকটু বেড়ে গায়ে ধাক্কা দিল। আকাশের এককোনায় লাল মেঘ জমতে দেখলাম। ঢেউগুলোও আগের থেকে আরো উপরে উঠে বারংবার পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। ফিরে যাব ভেবে পিছনে ফিরতেই কিছুটা দূরে একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম, আপনমনে হেঁটে এদিকেই আসছে। খোলা চুল, শাড়ির আচল হাওয়ায় উড়ছে, দৃষ্টি সমুদ্রের দিকে। আলো আঁধারীতে দূর থেকে স্পষ্ট দেখা না গেলেও এই শরীর, এই ভঙ্গি আমার চেনা, রোহিনী।

কাছাকাছি আসতে দুজনেই অবাক হলাম। বললাম, “দেখেছ, এখনও কত কথা বলা বাকি!” রোহিনী বলল, “তুমি এখন, এখানে?”
— আমারও তো এক‌ই প্রশ্ন।
~ ঘরে ভালো লাগছে না। ছেলেটা ঘুমাচ্ছে, তাই ভাবলাম ওকে আত্মীয়দের কাছে রেখে একটু হেঁটে আসি।
— আচ্ছা রোহিনী, আমরা দুজন কি এই সমুদ্রের পাড়ে নির্জন জ‍্যোৎস্নায় একটু সময় কাটাতে পারিনা! মনের না বলা কথাগুলো শেয়ার করতে পারিনা!”

রোহিনী আর কিছু না বলে বাধ্য মেয়ের মতো বসে পড়ল। আমিও ওর পাশে গিয়ে বসলাম।
প্রায় ছয় বছর পর আমার সাথে রোহিনীর দেখা। অনেক গল্প হল দুজনের। আমি বললাম আমার কথা। এই ট‍্যুর এজেন্সির ব‍্যাবসার কথা, যার কারনেই আমার পুরীতে আসা। রোহিনী বলল ওর কথা, আমি বিভোর হয়ে শুনলাম। ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে আজ ওকে। দুষ্টু হাওয়া বারবার ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে, আর ও অপটু হাতে সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার ব‍্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। কতবার চোখাচোখি হল দুজনের। ও হয়তো আমাকে দেখে অবাক হচ্ছে। যে আমিটাকে ও চিনতো তার সাথে আজকের আমিটাকে হয়তো মেলাতে পারছে না।

শেষে আমি ওর স্বামীর কথা, বৈবাহিক জীবনের কথা জিজ্ঞাসা করলাম। নিঃশব্দে মাথা নিচু করল ও। আমি দেখলাম শুধু আকাশে নয়, ওর মুখেও মেঘ জমেছে। হিংসুটে মেঘের দল চাঁদটাকে ঢেকে ফেলেছে অনেক্ষণ। ও ধীরে ধীরে বলল, “ঋজু একজন বড় ব‍্যাবসায়ী। সারাবছর নানা জায়গায় ছুটে বেড়ায়। আজ দিল্লী, কাল মুম্বাই, পরশু বিদেশ। আমাদের কোনো অভাব রাখেনি। তবে কি, কম উপার্জন করেও ও যদি আমাদের আরেকটু সময় দিত….”।

রোহিনীর কন্ঠস্বর ভারি হয়ে এল। এদিকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমেছে। আমি ওর হাত ধরে ওঠালাম। তারপর ছুটলাম হোটেলের দিকে। বৃষ্টি জোরে নামার আগে ওকে হোটেলে পৌঁছে দিলাম। চলে যাওয়ার আগে ও একবার আমার দিকে ফিরে তাকালো। চাপা স্বরে বলল, “কাল দেখা হবে।” আমার ভিতরটা এক অজানা অনুভবে মুচড়ে উঠল। ফেরার পথে বৃষ্টি আরও জোরে নেমে ভিজিয়ে দিল আমায়।

(৩)

তিনটে দিন যে কিভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি। আমার মধ্যে এত প্রেম লুকিয়ে ছিল কোনোদিন টের পাইনি আগে। রোহিনীও যেন সব ভুলে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়েছে। দুজনে একে অপরকে মুখ ফুটে কিছুই বলিনি যদিও। তবু যেভাবে সব বাঁধা পেরিয়ে দুবেলা দেখা করেছি, সময় কাটিয়েছি তাকে প্রেম ছাড়া অন্য কোন নাম দেওয়া যায় কিনা জানিনা। 

সকালের দিকে বিশেষ কথা হত না। রোহিনী আত্মীয়দের সাথে সমুদ্রে স্নান করতে আসত। আমিও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ওকে দেখতাম। আজ ওর অনুরোধে জলে নেমেছিলাম। ও সবার অলক্ষ্যে আমার কাছে এসেছিল। ভেজা পোশাক পেরিয়ে ওর শরীর আমার শরীরে ও মনে দোলা দিয়ে গেছে। দুপুরের দিকে কেনাকাটা করতে ও দোকানে আসত। আমিও যেতাম। টুকটাক কথা হত। আর রাতের এই সময়টা তো একান্তই আমাদের নিজস্ব। হাত ধরে হেঁটে বেড়াই, সুখ দুঃখের কথা বলি। সেইসব সুখ দুঃখ যখন নিরবে ভাগ করে নেই, আমি ওর কোমর জড়িয়ে ধরি। ও পরম নিশ্চিন্তে মাথাটা আমার কাঁধে হেলিয়ে দেয়। অবিন‍্যস্ত কেশরাশি আমার চোখেমুখে সোহাগ বুলিয়ে দেয়।

আজও সৈকতের এক নির্জন প্রান্তে দুজনে দাঁড়িয়ে আছি। অনেক্ষণের নিরবতা ভেঙে রোহিনী বলল, “আর তো একটা দিন। পরশু সকালে আমরা চলে যাব।” আমার মনটা এক শূণ‍্যতায় হাহাকার করে উঠল। বললাম, “সত্যি, এই তিনদিনে এত ভালোবেসেছি, যা হয়ত সারা জীবনেও কেউ বাসেনি।” হঠাৎ রোহিনী আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। আমি নীরবে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। ওর মনের ভিতরটা যেন অনেকটা পড়তে পারছি। দুহাতে ওর মুখটা তুলে ধরলাম, চোখ মুছিয়ে দিলাম। রোহিনী চোখ বুজে আমার আদরের প্রতীক্ষা করল। আমি আমার ঠোঁটদুটো ওর কম্পিত ঠোঁটের গভীরে মিলিয়ে দিলাম। সমুদ্রের ঢেউ বাইরে ভিতরে তোলপাড় করে উঠল। রোহিনী মৃদু কন্ঠে বলল, “আমি তোমাকে নিজের করে পেতে চাই কৌশিক।” মোহাচ্ছন্ন হয়ে বললাম, “আমিও শুধু তোমাকে চাই রোহিনী।”

পরদিন সকালে হোটেল বদলে চলে এলাম রোহিনীর হোটেলে। কোনভাবে রোহিনীর বদনাম হোক, আমি চাইনা। আজ সারাদিন দেখা হবে না ওর সাথে। রাতে সবাই যখন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকবে তখন আমি যাব ওর ঘরে। সারাদিন ছটফট করে সময় কাটালাম।

রাত প্রায় দেড়টা। নিঃশব্দে করিডোর পেরিয়ে রোহিনীর ঘরে ঢুকলাম। দরজা খোলা ছিল। আমি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম। নিভু আলোয় রোহিনীকে মায়াবী পরীর মত দেখাচ্ছে। একটা হলুদ রঙের হাতাকাটা ব্লাউজ আর কালো রঙের শাড়ি পড়ে খাটের ধারে চুপ করে বসে আছে রোহিনী। আমি ধীর পায়ে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম। তখনও একটা খটকা ছিল, রোহিনীর মনে কোন দ্বন্দ্ব নেই তো। কিন্তু আমার সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে আমাকে জড়িয়ে ধরল দশ বছর আগে বিয়ে করা আমার প্রাক্তন স্ত্রী রোহিনী। তখন তো এত ভালোভাবে দেখিনি, এত ভালো করে জানিনি। তবু বিচ্ছেদের পরে এতগুলো বছর পেরিয়ে ভালোবাসা কাছে টেনে এনেছে দুটো অসম্পূর্ণ মানুষকে। যেখানে চাপা পড়ে গেছে বিশ্বাস অবিশ্বাস, ঠিক ভুলের সীমারেখা।

আলিঙ্গনবদ্ধ দুটো শরীর চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে একে অপরকে। রোহিনীর বুকের শাড়ি খসে গিয়ে বক্ষ ভিভাজিকা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। আমি ওর আলুথালু শাড়িটা খুলে ওর অর্দ্ধনগ্ন শরীরটাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। তারপর আমার ঠোঁটের স্পর্শে ওর প্রতিটি অঙ্গ অনুভব করতে শুরু করলাম। রোহিনী ততক্ষণে ব্লাউজ আর পেটিকোট খুলে ফেলেছে।

সহসা আমাদের পাশে অঘোরে ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চাটা নড়ে উঠল। বাচ্চাটাকে দেখে আমার মনটা কেমন হয়ে গেল যেন। ছিটকে উঠে পড়লাম বিছানা থেকে। অসহায় রোহিনী কিছু একটা আন্দাজ করে আমার হাত টেনে ধরল। আমি ওর ফুলের মত শরীরটা শেষবারের মত জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু এঁকে বললাম, “এক ভুল আমি দুবার করব না রোহিনী। আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু আজকের এই ভুলে সারাজীবন তোমার স্বামীর কাছে অপরাধী হয়ে যাবে তুমি। আবার ভুল বোঝাবুঝি, আবার বিচ্ছেদ, আর নয়।” আমার বাহুডোরে রোহিনী শুধু বলল, “আমিও শুধু তোমাকেই ভালোবাসি”। তারপর এক মায়াময় মুগ্ধতায় আমার দিকে চেয়ে র‌ইল।


আমরা কতক্ষণ এভাবে ছিলাম জানিনা। ছোট্ট শিশুটি  শৈশবের অভ‍্যাসে কেঁদে উঠতে আমাদের চমক ভাঙল। মাতৃত্বের মমতায় পূর্ণ রোহিনী ছুটে গিয়ে বুকে টেনে নিল তার সন্তানকে। আমিও সেই ঘর ত‍্যাগ করলাম।

(৪)

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সমুদ্রের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। সমুদ্রের জলে একরাশ লাল আবির ঢেলে দিয়ে সূর্য আকাশের গায়ে জায়গা করে নিল। রোহিনীও আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারপর আমার হাতে একটা কাগজের টুকরো গুঁজে দিয়ে চলে গেল। ওর মুখে লেগে ছিল সেই পরিচিত হাসি।

ও চলে যাওয়ার পর আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে র‌ইলাম। একটা ঢেউ এসে পা ভিজিয়ে আবার ফিরে গেল। ঠিক যেভাবে আমরা প্রেমসাগরে ভিজেছিলাম। ঠিক যেভাবে প্রেম বলেছিল, আর বেশি নয়, এতটুকুই থাক। মনকে কিন্তু কষ্ট পেতে হয়নি। প্রেমের গতি যখন বিবেকের বারন শুনে থমকে দাঁড়ায়, তখন স্মৃতি এসে সান্ত্বনা দেয়। কানে কানে বলে যায়, অপেক্ষার অবসান শেষে আবার দেখা হবে। আমি শক্ত হাতে রোহিনীর দেওয়া কাগজটা চেপে ধরে অপেক্ষা করতে লাগলাম, আবার কখন ঢেউ এসে আমার কাছে ধরা দেবে। অবুঝ চোখদুটো ভিজে গিয়ে সামনের দৃশ‍্যটা ঝাপসা করে দিল।

 

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait