রিয়া মিত্রের কলমে থ্রিলার গল্প : আক্রোশ

রিয়া মিত্রের কলমে থ্রিলার গল্প : আক্রোশ

গল্প প্রতিযোগিতা : থ্রিলারের থ্রিল
গল্পের নাম : আক্রোশ
কলমে : রিয়া মিত্র

 
জগিং করতে করতে সরোবরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল সোহিনী। এই ভোরবেলায় এতগুলো মানুষ এক জায়গায় জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে কেন?! সামনে এগিয়ে যেতেই ভীড়ের মাঝে অভিমন্যু সিনহার দিকে চোখ পড়ল ওর। মানে... আবার মার্ডার???!! 
 
ভীড় ঠেলে সামনে যেতেই বুঝল, সে যা সন্দেহ করেছে, সেটাই। সরোবরের ঠিক সামনেই পাড়ের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে একটি লাশ। অভিমন্যু সিনহা লাশটার পাশে ঝুঁকে পড়ে খুঁটিয়ে দেখছে। মুখ থুবড়ে পড়ে থাকায় পিছন থেকে বোঝা যাচ্ছে না। মাঝবয়সী সুশীলা আন্টি বললেন, "এ তো আমাদের মধুজা বৌদি।" শুনেই বেশ ধাক্কা খেল সোহিনী। মর্নিং-ওয়াক করতে করতে মুখোমুখি হলেই একগাল হাসতেন তিনি, মাস কয়েক আগে হার্ট অ্যাটাকে মধুজা বৌদির স্বামীও মারা গেছিলেন। তারপর থেকে খুব মুষড়ে থাকতেন তিনি কিন্তু মুখের হাসিটা তার অমলিন ছিল। সেই মানুষটাই আজ নিষ্প্রাণ হয় পড়ে রয়েছেন। 
 
গত আট মাসে এই নিয়ে এই অঞ্চলে তিন নম্বর মার্ডার হলো। এদের প্রত্যেককেই চেনে সোহিনী। খুব ক্লোজ় রিলেশনশিপের নয়, তা-ও দেখা হলে একটা হাসি হাসত। ইনভেস্টিগেট করতে করতেই অভিমন্যু দেখতে পেল ওকে, কাছে এগিয়ে এসে বলল, "কী আশ্চর্য ব্যাপার, বলুন তো?! প্রত্যেকটা লাশের পাশেই আপনার সাথে আমার দেখা হয় কেন?!" সোহিনী একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল, "আমি কীভাবে জানব?!" অভিমন্যু একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, "এরকম নয় তো যে, আপনিই সমস্ত খুনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত?" সোহিনী এবার বেশ বিরক্ত হয়ে বলল, "এই অঞ্চলে পরপর এতগুলো খুন হয়ে যাচ্ছে আর আপনারা এখনও খুনীকে ধরতে পারলেন না!"
-- চেষ্টা তো করছি, ম্যাডাম। 
-- এরা প্রত্যেকেই নিরীহ মানুষ, প্রত্যেককেই আমি চিনি, অপরাধ জগতের সাথে তারা যুক্ত নয়, তবে এদের এরকম পরিণাম কেন?! 
-- আমাদের মনে হয়, কোনো গ্যাং বা কোনো আলাদা ব্যক্তি নয়, এই খুনগুলো একজন মানুষেরই কাজ। 
-- কিন্তু মোটিভটা কী? 
-- হয়তো ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ। খুনী যে-ই হোক্, খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। 
 
সরোবরের ধারে একটা বেঞ্চে এসে অনেকক্ষণ বসে রইল সোহিনী। গত কয়েকদিনে যা ঘটছে, তাতে বেশ ভয়ে ভয়ে রয়েছে এলাকাবাসী। প্রথম খুনটা হয় আট মাস আগে, সোহিনীদেরই কমপ্লেক্সের মধ্যে। সিসি ব্লকের ফ্ল্যাটটাতে একাই থাকতেন মিসেস চৌধুরী, ওর হাজ়ব্যান্ড নেভিতে চাকরি করেন বলে বছরে ক্বচিৎদৈবাতে আসেন। হঠাৎ দুতিন দিন ধরে মিসেস চৌধুরী দরজা খুলছেন না। এরপর পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ওর লাশ। কমপ্লেক্সে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও সেই সময়ের জন্য কোনো এক অজানা কারণেই কমপ্লেক্সের কারেন্ট চলে যায় ও জেনারেটরও খারাপ ছিল তার কয়েকদিন আগে থেকেই। তাই, পুলিশ কোনো কিছু ট্রেস- ই করতে পারছিল না। তখনই ইনভেস্টিগেটিং অফিসার অভিমন্যু সিনহার সাথে পরিচয় হয় সোহিনীর। ফ্ল্যাটের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সূত্রে সোহিনীকেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই প্রয়োজনেই ওর ফোন নংটা নিয়েছিল অভিমন্যু। 
 
দ্বিতীয় খুনটা হয় সোহিনীরই অফিস কলিগ ঝুমাদির। মাঝবয়সী ঝুমাদি অবিবাহিতই ছিলেন। বাবা ছাড়া তার আর কেউ ছিল না। অসুস্থ বাবাকে সেবা করার তাগিদেই ছোটবেলার প্রেমিকের সাথে আর বিয়েটা হয়নি। ঝুমাদিও ভীষণ হাসিখুশি ছিলেন, অফিসের সব পার্টিগুলো দারুণ জমিয়ে রাখতেন। সেই ঝুমাদি- ই সেদিন অনেক রাত অবধি অফিসে ছিলেন। পরদিন একটা প্রেজ়েন্টেশন সাবমিট করার ছিল। তাই, সকলে বেরিয়ে গেলেও অনেক রাত অবধি কাজ করছিলেন তিনি। অফিসেও সিসিটিভি থাকলেও ঠিক একইভাবে হঠাৎ সব কারেন্ট অফ্ হয়ে যায়। নীচের সিকিউরিটি গার্ডরা যতক্ষণে জেনারেটর জ্বালিয়েছে, ততক্ষণে আর প্রাণ ছিল না ঝুমাদির শরীরে। সিকিউরিটি গার্ডরা অধৈর্য হয়ে পড়ে, ঝুমা ম্যাডাম আর কতক্ষণ কাজ করবেন। শেষে থাকতে না পেরে যখন জিজ্ঞাসা করতে আসে, তখন দেখে, সামনের টেবিলের ওপর মাথা রেখে ঝুমা ম্যাডাম শুয়ে রয়েছেন। প্রথমে তারা ভেবেছিল, হয়তো কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়েও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ভুলটা ভাঙে। পরদিন সকালে সোহিনীরা অফিসে গিয়ে দেখে, অলরেডি পুলিশ ফোর্স চলে এসেছে। সোহিনীকে দেখেই অভিমন্যু একগাল হেসে বলল, "ম্যাডাম, আরেকবার যে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিরক্ত করব।"
 
ওর চিন্তার জালটা ছিঁড়ে যায় অমিতের ডাকে, "আরে দিদি, আজ এত বেলা পর্যন্ত এখানে বসে আছ যে!" অমিত এই এলাকারই বছর পনেরোর একটি ছেলে। বাবা-মা মরা অনাথ ছেলেটিকে সকলে খুব ভালোওবাসে। বেশ সচ্ছল পরিবারের ছেলে ছিল অমিত। যখন ওর এক বছর বয়স, তখন একটি দুর্ঘটনায় ওর বাবা-মা অকালে প্রাণ হারায়। তারপর থেকে সে মানুষ হচ্ছিল ওর একমাত্র জেঠির কাছে। জেঠিও নিঃসন্তান ছিলেন আর জ্যেঠুও কর্মসূত্রে বিদেশে থাকতেন। সকলেই আশা করেছিল, হয়তো নিজের সন্তানের মতোই জেঠি ওকে মানুষ করবেন কিন্তু আদতে তা তো হলোই না বরং অমিতের যখন সাত বছর বয়স, তখন জ্যেঠু ও জেঠি সব সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নিয়ে অমিতকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর সেই বাড়ি বিক্রি করে তারা বিদেশে চলে যান। এরপর সেই ছোট অমিত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। কখনো সকলের বাড়িতে পেপার দেয়, কখনো বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ দিয়ে আসে, কখনো বা বাদাম বিক্রি করে। ভারী মিষ্টি স্বভাবের ছেলেটি। এতটুকু ছেলে যে কীভাবে এই কঠিন পৃথিবীতে সংগ্রাম করে চলেছে, তা ভাবলেই অবাক হয়ে যায় সোহিনী! সকলেই তাই যখনই পারে, নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্য করে ছেলেটিকে। ওকে চুপ করে থাকতে দেখে অমিত ওর চোখের সামনে হাত নেড়ে বলল, "ও সোহিনী দি, কী এত ভাবছ?!" সোহিনী চমকে গিয়ে বলল, "তুই এখনো এখানে যে?! স্কুল যাবি কখন?!"
-- আজ তো স্কুল নেই, দিদি। তাই, আজ সারাদিনই বাদাম বিক্রি করব। তুমি অফিস যাবে না?"
-- হ্যাঁ রে, যাব। এই উঠব এবার। দে, এক প্যাকেট বাদাম দে তো। 
সোহিনীর ফোনটা বেজে ওঠে। ওপাশ থেকে অভিমন্যু বলল, "ম্যাডাম, কী করছেন?"
-- এই তো সরোবরের পাশে বসেই বাদাম খাচ্ছি। 
-- একটু যে থানায় আসতে হবে, প্রয়োজন আছে। 
-- ঠিক আছে, আসছি। 
 
গাড়িটা পার্ক করে থানায় ঢুকতেই অভিমন্যু বলল, "ঐ তো ম্যাডাম এসে গেছেন।" সোহিনী চেয়ারে বসে বলল, "কী দরকার, বলুন?"
-- আমাদের থানায় একজন নতুন মহিলা অফিসার আসাম থেকে এসেছেন। উনি আপনাদের এই এলাকাতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছেন কিন্তু এখানকার কিছুই চেনেন না। তাই, আমি ভাবলাম, এই এলাকায় ওকে হেল্প করার মতো আর কাকেই বা আমি চিনি? আপনার কথা মাথায় আসলো আর মনে হলো যে, আপনি নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন। 
-- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। উনি এলাকার নতুন অতিথি। আমি যতটুকু পারব, নিশ্চয়ই সাহায্য করব। 
মহিলা পুলিশ অফিসারটি হেসে বললেন, "আপাতত আমার বাড়িতে রান্না করবে, এমন একজন, রোজ সকালে পেপার দেবে এমন একজন ও সন্ধ্যায় দুধ দিয়ে যাবে, এমন একজন লোক চাই।"
-- আমি কালকের মধ্যে আপনার সাথে এদের সকলেরই যোগাযোগ করিয়ে দেব, ম্যাডাম। আপনি কি একাই থাকবেন? 
-- হ্যাঁ, আমি তো অবিবাহিত। অপরাধীদের ধরতে ধরতে বিয়ে আর করা হয়নি। তাই, একাই থাকি। 
-- ঠিক আছে। আচ্ছা, স্যার, খুনী কে, সেটা কি বুঝতে পারলেন? 
-- খুনীর খুব কাছাকাছি আছি, ম্যাডাম।"
 
মায়ের বয়স হয়েছে আর সে- ও সারাদিন বাড়িতে থাকে না। তাই, সন্ধ্যাদি রান্না করত সোহিনীদের বাড়ি। তাকেই ঠিক করে দিল ম্যাডামের বাড়িতে আর দুধ, পেপার দেওয়ার জন্য অমিত তো আছেই। 
 
আজ অফিস থেকে ফেরার পথে একবার ম্যাডামের বাড়ি যাবে। বেশ অনেকদিন হয়ে গেল তাঁর খোঁজখবর নেয়নি, ওরা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, একটা খোঁজ নেওয়া দরকার। 
 
ম্যাডামের বাড়ি ঢুকতেই দেখল, লোডশেডিং হয়েছে, দরজাটা আধা ভেজানোই রয়েছে। হয়তো উনি রান্নাঘরে রয়েছেন। অন্ধকারেই আস্তে আস্তে সেদিকে এগোতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল সে। মনে হচ্ছে, সামনেই একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে। ভয়ে মোবাইলের আলোটা জ্বালাতে যেতেই অনেকের ধ্বস্তাধ্বস্তির আওয়াজ পেল। সাথে সাথে যেন অনেকগুলো জোরালো টর্চ জ্বলে উঠল। সোহিনী অবাক হয়ে দেখল, ওর সামনেই ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে অমিত আর ওকে ধরে রয়েছে অভিমন্যু, ম্যাডাম ও আরও কয়েকজন অফিসার! সোহিনীর হাতের ব্যাগটা পড়ে গেল, অস্ফুটে বলল, "অমিত?! তুই?!... "
 
লক-আপে অমিতকে ঢুকিয়ে অভিমন্যু বলল, "ভয়ানক এক মানসিক রোগের শিকার অমিত.... আগ্ৰাফোবিয়া।" সোহিনী অবাক হয়ে বলল, "মানে?!"
-- ছোটবেলায় জেঠির কাছে মানুষ হওয়ার সময় জেঠির দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয় অমিত। জেঠু বাইরে থাকতেন, মাঝবয়সী জেঠি নিজের শরীরের খিদে মেটানোর জন্য ব্যবহার করত অমিতকে আর ছোট্ট অমিত অসহায় হয়ে মুখ বুজে সহ্য করত সব। এরপর ওকে ঠকিয়ে তারা চলে যায় বিদেশে। অমিত কষ্ট করে বড় হয়ে উঠতে থাকে ঠিকই কিন্তু মনের মধ্যে চেপে রাখা রাগ রূপ নেয় এক সাংঘাতিক আতঙ্কের। যেকোনো মাঝবয়সী ডিভোর্সি বা অবিবাহিত বা বিধবা মহিলাদের দেখলেই তার মনে পড়ত জেঠির কথা। ওকে সকলেই স্নেহ করতেন, সহানুভূতি দিতেন কিন্তু মাঝবয়সী মহিলারা এই সহানুভূতি দেখালে ওর মনের আতঙ্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটত, ও ভাবত, এরাও হয়তো ওকে যৌন নিপীড়ন করবে। দুধ বা পেপার দেওয়ার অছিলায় এদের ঘরে গিয়ে ছোটবেলায় ওর সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিত সে তার পরিচিত এই মাঝবয়সীদের খুন করে শাস্তি দিয়ে। কাজগুলো করার আগে সে ইচ্ছে করেই লাইটের লাইনগুলো কেটে দিত, যাতে কেউ না দেখতে পায় তাকে। এই সমস্ত কথাই সে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় স্বীকার করেছে নিজে মুখে। 
-- কিন্তু এত নিপুণভাবে সে খুনগুলো করল কীভাবে? আর আপনাদেরই বা ওর ওপর সন্দেহ হলো কেন?!
-- আমার প্রথম সন্দেহ হয় মিসেস চৌধুরীর খুনের সময় কারণ আপনাদের কমপ্লেক্সে অপরিচিত ব্যক্তির প্রবেশ বারণ। এমন কেউ সেখানে গেছে, যে তার পরিচিত, যেমন, পেপারওয়ালা, দুধওয়ালা, রান্নার লোক ইত্যাদি। তখনই অমিতের কথা প্রথম জানতে পারি, সে- ই গোটা কমপ্লেক্সে এগুলো দেয়। ওর ওপর নজর রাখতে গিয়ে ওর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে পারি। এরপর সরোবরের খুনের সময় লাশের মুখে আমরা বাদামের ভগ্নাংশ পাই। এখানেও বাদামওয়ালা হিসেবে অমিতকে পাই। যোগসূত্রটা খেয়াল করি, মৃতারা সকলেই মাঝবয়সী ও যাদের স্বামী তাদের কাছে নেই। এত কিছু মিলিয়ে দেখার পরও অমিতের মতো একটা ইনোসেন্ট ছেলেকে সন্দেহ করতে পারছিলাম না ও কারণও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখনই এখানে টোপ হিসেবে ম্যাডামকে আনি আর আপনার মারফৎ অমিতকে ম্যাডামের কাছে পাঠাই। যে কোনোদিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনে আমরা রেডি ছিলাম। সবগুলো খুনের মতো আজও যখন কারেন্ট অফ্ হলো, তখনই আমরা প্রস্তুত হলাম কিন্তু মাঝে আপনি চলে আসলেন। অমিতকে হাতেনাতে আমরা ধরতে পারলাম শেষ অবধি। কিন্তু ওর এই ব্যাপারে কোনো অনুতাপ নেই। জেঠির ওপরের রাগ থেকে সে অন্য নির্দোষ মহিলাদের ওপর ছুরিকাঘাত করে প্রতিশোধ নিচ্ছিল। 
-- কী সাংঘাতিক! ওর এই রোগ কি আর সারানো যাবে?! 
-- হ্যাঁ, ওকে সংশোধনাগারে দেওয়া হবে ও কাউন্সেলিং করানো হবে। 
সোহিনী একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, "দেখবেন যেন সমাজ থেকে তৈরী এসব মানসিক ব্যধি যেন কোনোভাবেই বাচ্চাদের ওপর প্রভাব না ফেলতে পারে.... নাহলে একদিন সমাজটা ঘুণপোকায় ভর্তি হয়ে উঠবে....।"
ADVERTISEMENT

0 comments

Paramita Pal

Paramita Pal

Shared publicly - 14th Aug, 21 08:27 am

Bhalo laglo

Tuli Das

Tuli Das

Shared publicly - 14th Aug, 21 08:27 am

Too good

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait