প্রেম বন্দী ফ্রেম

প্রেম বন্দী ফ্রেম

“প্রেমে পড়া বারণ”-এই কথাটিকে আজ কোন যতিচিহ্নে না বেঁধে একটা স্টেটমেন্ট হিসাবে রেখে দিলাম। আসলে প্রেম প্রতি মানুষের জীবনে অবশ্যম্ভাবী একটা অনুভুতি। যুক্তিবাদীরা হয়তো বলবেন, প্রেম একটা ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ব বা লিবিডোর উন্মাদনা। কিন্তু বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন সেজে ওঠে আপন খেয়ালে, ঘন-নীল-আকাশে হেলান দিয়ে কৃষ্ণচূড়া সাজে আগুন রঙে, কোকিলের কুহুতানে মাতাল হাওয়ায় মন উন্মনা হয়, তখন বোধহয় সবারই একটা ভালোলাগা কাজ করে।  তীব্র গরমের বিকেলে কালবৈশাখী যখন একটুকরো শান্তি দিয়ে যায়, তখন রোজকার এই জীবনকে আমরা খোলা বারান্দায় একটু ভাললাগায় জুড়িয়ে নিই,  এই হঠাৎ ভাললাগা, একটু শান্তি, এই কমর্ফট ফিলিংসটাই বোধহয় প্রেমের জায়গাটা তৈরী করে দেয় মনের মধ্যে।

প্রেমের স্বাভাবিক অনিবার্য পরিণতি ছাঁদনাতলা। স্কুল-কলেজ-ইউনির্ভাসিটির জীবনে চারচোখের মিলনে প্রেম আসবেই, সেই প্রেম কখনো পরিণতি পায় কখনো পায়না, আবার বেশীরভাগ সময়ে প্রেমের পাত্র-পাত্রী পালটে যায়। কিন্তু প্রেম বেঁচে থাকে। এদের কথা অন্য আরেকদিন বলবো। আজ বরঞ্চ তাদের কথা বলি, যাদের জীবনে প্রেম ‘বারণ’। 

ADVERTISEMENT
Swades Times Book

প্রথমে বলি, রুদ্রাণীর কথা, গরীব পিতার সাতটি সন্তানের মধ্যে সে প্রথমা, বাবামা চোখের জলে একদিন তাকে উৎসর্গ করল মহাকালের মন্দিরে। পঞ্চদশী রূপসী রুদ্রাণী অভিষিক্তা হলো দেবদাসী রূপে। নারীর স্বতন্ত্র জীবনযাপনের অধিকার ছিলোনা তখন। একদল কামার্ত ষড়যন্ত্রকারী, রূপসী নারীকে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বা অন্য অজুহাতে ভোগের উৎসবে মেতে থাকতো। দেবতার মূর্তিকে  সামনে রেখে পুরোহিত-রাজা-শ্রেষ্ঠী সবাই  দেবদাসীকে ধর্ষন করতো ।  সমাজ নির্বাক থাকতো। আর সেই হতভাগ্য নারী অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও এটাকেই নিজের ভাগ্য ভেবে নিতো।

কিন্তু পাথরের দেবতা এই সেবা চাইতেননা, তাই হয়তো দয়া করলেন মেয়েটির ওপর। প্রেম এলো  সেবাদাসীর জীবনে। অনাস্বাদিত অনুভূতিতে রোমাঞ্চিত হলো সে। তীব্র ভালো লাগায় এই  প্রথমবার স্বেচ্ছায় সে নিজেকে উন্মোচিত করলো সেই পুরুষটির সামনে। প্রেমিক পুরুষটির চোখে সে লালসা  নয়, পেলো মুগ্ধতা, পুরুষটি তার নারীত্বের  মর্যাদা দিলো, সে পেলো মানুষের সম্মান, দুজনে একসাথে দেখলো ঘর বাঁধার স্বপ্ন।

পেশীবহুল সুঠাম চেহারার যুবক রুদ্র, রাজার আদেশে সুন্দরী দেবদাসী রুদ্রানীর পাথরের মূর্তি  তৈরী  করতে এসেছে একবছরের চুক্তিতে, প্রধান পুরোহিতের কড়া পাহারায়, উপস্থিত হয়েছে দেবদাসী, কিন্তু   মদনদেবতার অব্যর্থ বাণে চোখের ভাষা বাঙময় হয়, হৃদয়ের গতি বেড়ে ওঠে, দোলা লাগে রক্তে, ধীরে-ধীরে দুজনের মাঝে তৈরী হয় ভালবাসার সেতু। কাপুরুষ লালসা মেটায় শরীর দিয়ে আর পুরুষ প্রেম  নিবেদন করে হৃদয় দিয়ে। প্রেমিকের হৃদয়-তৃষ্ণা নারীকে বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। রুদ্র-র বুকে মাথা রেখে সে কাঁদতে পেরেছে, রুদ্র-র আলিঙ্গনে পেয়েছে শান্তি, প্রেমিকের ঠোঁটের স্পর্শে পেয়েছে নিস্পাপ ভালবাসার ছোঁয়া। বারবার দেখেছে তাকে, কখনো চোখের আলোয়, কখনো মনের গভীরে। 

দেশ ছেড়েছে তারা, ভালবাসার ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে। এরপর শিল্পীর বীর্যে আর রুদ্রানীর মাতৃস্নেহে একদিন জন্ম নিয়েছে সেই ভবিষ্যৎ যে এই আসুরিক প্রথার অবসান ঘটিয়েছে, সার্থক হয়েছে দেবদাসীর প্রেম।

এবার বলি দ্বিতীয়ার কথা, জন্মের পরে তার বাবামা শখ করে নাম রেখেছিল বিশাখা। সতেরো বছরের জন্মদিনে গাড়ী অ্যাক্সিডেন্টে বাবামাকে হারিয়ে ঠাঁই হল মামারবাড়ীতে, সেখান থেকে বিশাখার   মাইমা তাকে হাত-পা-মুখ বেঁধে পাচার করে দিলো রাতের অন্ধকারে।  শেষে তার ঠিকানা হল শহরের  নাম করা পতিতালয়। মালকিন মাসী ভালো টাকাই দিয়েছিল একটা টাটকা কুমারী ‘মাল’ তোলার  জন্য। তারপর চার দেয়ালের একটি খুপরিতে একটা সস্তা চাদরে প্রতিদিন বিক্রী হত তার যৌবন।  প্রতি ঘণ্টায় তাকে প্রেমের অভিনয় করে খুশী করতে হত খদ্দেরদের।

মাঝেমাঝে মন খারাপ হলে গঙ্গার পারে সে একলা বসে থাকে, কিযে হয়, কিছুই ভালো লাগেনা। দু- চোখ ভরে দেখে নদীর পারে জড়াজড়ি করে বসে থাকা ছেলেমেয়েগুলোকে। ওরা কি নিবিড়ভাবে পরস্পরকে আঁকড়ে বসে থাকে। ওর খুব ইচ্ছা করে ওরও একটা বয়ফ্রেন্ড হবে, তাকে জড়িয়ে ধরে সে এভাবেই বসে থাকবে। বাইকে বসে বয়ফ্রেন্ডকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে হুশ করে উড়ে যাবে, তারাও ঘর বাঁধবে, এইসব স্বপ্নের কথা সে একদিন মাসীকে বলেছিল, মাসী শুনে বলেছিলো, “শোনরে ছেমরি, পুরুষের পিরিতে মজেছিস-তো-মরেছিস! ওরা শরীর ছাড়া আর কিছু বোঝে নাকি?” 

কিন্তু ওর অবুঝ মন মানতে চায়নি, এখন সে চুপিচুপি এসে গঙ্গার ধারের মন্দিরে, শিবঠাকুরকে বলে  যায় তার স্বপ্নের কথা।

তার এই ভক্তি দেখে পাড়ার মস্তান বিশু একদিন তাকে বলেছিল, “কিরে বিস্কে, আজকাল মন্দিরে  গিয়ে কিএতো বিড়বিড় করিস? আবার দেখি গঙ্গার পাড়ে একা বসে থাকিস, ব্যাপারটা কি তোর? কারো প্রেমে পড়লি নাকি? পড়লে জানাস, তোর বিয়ে দিয়ে দেবো। তোর মাসীর ক্ষমতা নেই এই বিশে  মস্তানকে আটকাবে।” আসলে পাড়ার এই বিশু মস্তান তাদের সবাইকে আপনজন ভেবে সবসময় আগলে রাখে,  কেউ বেয়াদবি করলেই, বিশুর  দলবল তাকে ধোলাই দিয়ে সাফ করে দেয়। বিশুর জন্যই তাদের  পাড়ায় দূর্গাপূজা হয়, মেলা বসে, ভাসানের দিন তারা রাস্তায় সবাই নাচে, হোটেলে খায়। বিশু সারাদিন দলবল নিয়ে আড্ডা দেয়, মদ গাঁজা খায়, রাতে শুধু বাড়ী যায়। বিশাখা মাসীর কাছে  শুনেছে, বিশু বড় বাড়ীর  ছেলে, সে যখন এগারো ক্লাসে পড়ে তখন তার মা গলায় দড়ি দেয়, বিশুর বাবার নাকি অন্য সম্পর্ক ছিল, বিশু মাকে খুব ভালোবাসতো, মা চলে যাবার পর থেকেই সে লেখাপড়া  ছেড়ে বখাটে হয়ে গেছিলো, কাউকে মানতো না।

বিশুকে বিশাখার ভালোই লাগে, কেমন যেন নিজের মনে হয়, মাঝেমাঝে ওর জন্য কষ্টও হয়,  বেশ কয়েকবার শিবের কাছে সে বিশুকেই বয়ফ্রেন্ড হিসাবে চেয়েছে।  অন্যমেয়েরা বিশুর সাথে কথা বললে সে ক্ষেপে যায়। বিনাকারনে বিশুর সাথে ঝগড়া করে। বিশু বিশাখার নাক টিপে বলে, “বিস্কে, তুই হলি ক্রাঞ্চি বিস্কুট, চায়ে না ডুবলে তুই নরম হবিনা।“ বিশাখাকে বিশু মেলা থেকে রঙ্গীন কাঁচের চুড়ি, টিপ, জিলিপি কিনে দেয়। তার বাইকে এদিক-ওদিক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।  বিশুর সাথে নৌকায় বেড়াতে গিয়ে, একদিন ওর কোলে মাথা রেখে বিশু বলেছিল, “বিস্কে তোর গায়ে কেমন মা–মা গন্ধ !  তোর কাছে থাকলে আমার মনখারাপটা চলে যায়।“  তারপর ওকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো, “আমার বৌ হবি?  আমাদের একটা ঘর হবে! তুই রান্না করবি, ঘর গোছাবি। আমি সব নেশা ছেড়ে দেবো দেখিস। যাবি আমার সাথে?” বিশাখা অবাক হয়ে তাকিয়েছিলো, তার বিয়ে হতে পারে এটা সে কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি।

তারপর একদিন মাসী নিজেই তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল। শাঁখা-পলা-সিঁদুর পড়া লাল শাড়ীতে বিশাখাকে কনে-বৌ লাগছিলো। বিশুর দলবল চাঁদা তুলে সবাইকে খাইয়েছিল। মাসী হেসে বলেছিলো, “ছেমরির জন্যে আজ আমি কন্যাদানের পুণ্যু করলাম, একটা মেয়ের অন্তঃত মা হতে পারলাম।”

ওরা থাকবে বিশুর মামারবাড়ীতে, সেখানে বিশুর দাদু নাতবৌ দেখতে চেয়েছে। যাবার আগে একছুটে  গিয়ে সে শিবের মন্দিরে প্রনাম করে এসেছে, বাবা তার ডাক শুনেছে বলেই আজ বিশাখা প্রেমিক-স্বামী পেয়েছে।

এবার বলি ইন্দ্রানীর কথা, গ্র্যাজুয়েট তরুণীর চোখে স্বপ্ন জার্নালিজম নিয়ে মাস্টার্স করবে, রিপোর্টার হবে, কিন্তু হল উল্টো, অসময়ে হার্ট অ্যাটাক, বাবার চলে যাওয়া, একধাক্কায় তাকে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনলো। আজকের বাজারে চাকরী যোগাড় করা সহজ নয়, অনেককে বলেও কিছু ব্যবস্থা হলোনা। বাড়ী ভাড়া বাকী পড়েছে, টাকা দেবার ভয়ে আত্মীয়রা কথা বন্ধ করেছে, ব্যাঙ্কের জমানো  টাকা শেষ হচ্ছে, বোনের মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে, আদৌ পড়াশোনা করতে পারবে কিনা জানা নেই, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, মা শুধু কাঁদছে আর ভগবানকে ডাকছে।

এইসময় হঠাৎই একটা চাকরীর যোগাযোগ হলো। আগরওয়ালার কোম্পানি, পোষ্ট সেক্রেটারীর কিন্তু   কাজের দায়িত্ব অনেক, কোম্পানির নামী-দামী ক্লায়েন্ট দেখার ভার তার, অনেকসময় তাকে ট্রাভেল করতে হয় মালিকের সাথে বিদেশেও। ইন্দ্রাণী লোন নিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনে মা-বোনকে নিয়ে শিফট  করলো। সময় এগিয়ে চললো। ইন্দ্রাণীর জীবন এখন অর্থের প্রাচুর্যে পূর্ণ, নামী-দামী প্রোডাক্ট, এসি  গাড়ী, ফ্ল্যাট, সব পেয়েছে, শুধু চলে গেছে  স্বাধীনতা, ইন্দ্রানীর শরীরটা আর তার নিজের নেই, সে এখন কোম্পানির ‘এসকর্ট’। বড় কোম্পানির ক্লায়েন্টদের শারীরিক কম্পানি  দিলে তবেই বড় অঙ্কের  বিজনেস আসে। সেখান থেকেই আসে ইন্দ্রাণীর খোরাকি। অফিসে কেউ তাকে বলে, ‘কেপ্ট’, কেউ বলে, ‘হাই-সোসাইটির বেশ্যা’।

এসব কথা গায়ে মাখেনা এখন আর তবে আজকাল ইন্দ্রানীর বড্ড ক্লান্ত লাগে, বিধ্বস্ত হয়ে থাকে মনটা, ভীষণ একা লাগে, মনে হয় বাবা থাকলে আজ তার জীবনটা অন্য রকম হত। মাঝেমাঝে শাওয়ারের নীচে বসে কাঁদতে থাকে অনেকক্ষন। কখনো ঝকঝকে বাথটাবে সুগন্ধি সাবানের ফেনায়  মুছে নিতে চায় মনের যন্ত্রণা। কখনোবা প্রচন্ড ঘৃণায় একদলা থু-থু ফেলে তার দামী  পোর্সেলিনের বেসিনে। সবাই জানে একটা বিদেশী কোম্পানিতে কাজ করে সে। আজ মনে হয় তার নিজের একটা মানুষ থাকলে বেশ হতো, যাকে সে মন-খুলে সব কথা বলতে পারতো, এভাবে গুমরে মরতে হতোনা।   অয়নের কথা মনে পড়ে খুব। স্কুলমেট ছিল ইন্দ্রাণীর। একসাথে ১২ক্লাস পড়া শেষ  করে দুজনে   দুদিকে ছিটকে গেলো, তারপর কোন যোগাযোগ নেই।  ওরা দুজনেই ক্রাশ ছিলো দুজনের জন্য কিন্তু  বলা হয়ে ওঠেনি কোনদিন। ইন্দ্রাণী ভাবে, হঠাৎ যদি অয়নের সাথে দেখা হয়, নাহওয়া প্রেমটা যদি এখন হয়?  লজ্জায় লাল হয়ে যায় তার মুখ, নিজের মনেই হেসে ওঠে। তার জীবনে ‘প্রেম’? অসম্ভব।

টেলিপ্যাথি কাজ করে গেলো, নিউমার্কেটে অয়নের সাথে ইন্দ্রাণীর চারচোখের মিলন ঘটালো কোন এক অদৃশ্য শক্তি, তারপর যথানিয়মে প্রেমের জোয়ারে দুজনেই ভাসলো, দুজনের বুকের ভিতরেই লাব-ডুবের গতি লাফিয়ে-লাফিয়ে বেড়ে চললো। ইন্দ্রাণীর জীবনের সব অঘটনগুলো সুন্দর ঘটনায় সাজানোর দায়িত্ব নিলো বিদেশী ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেন্ট অয়ন।

 তারপর একটা শুভদিনে ওদের চারহাত এক হয়ে গেলো, আশীর্বাদ করলেন অয়নের বাবা আর ইন্দ্রাণীর মা। পাড়াপড়শি বন্ধুবান্ধব পেট ভরে নিমন্ত্রণ খেলো।


ফুলসাজানো খাটে ইন্দ্রাণীকে জড়িয়ে ধরে অয়ন যখন বললো, “আমার কিন্তু আরেকটা তুই চাই, ছোট্ট ইন্দ্রাণী“। তখনও ইন্দ্রাণী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ভাবছে, সে স্বপ্ন দেখছে নাকি এটা সত্যি তার জীবনে ঘটছে? অয়নকে জড়িয়ে ধরে বাচ্ছা মেয়ের মতো কেঁদে উঠলো সে।
আমার গল্প শেষ হল কিন্তু জীবন শেষ হয়নি, তাই এসকর্টের জীবন থেকে বেড়িয়ে আমি ইন্দ্রাণী, আজ শ্বশুর-স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী সংসারী। আমরা বারেবারে ফিরে আসি, প্রতি যুগে, ভিন্ন নামে, ভিন্ন রূপে, অবহেলা-অপমান সহ্য করে কাঁদি, অপেক্ষা করি সেই প্রেমিকের জন্য, সে একদিন আসে, সমাজের সব হিসাব এলোমেলো করে প্রেম দিয়ে বাঁচিয়ে তোলে আমাদের, প্রেম বয়স বা সমাজ মানেনা, হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয় যখন বাঁধা পড়ে  তখন কেউই গণনা করতে বসেনা, কতোটা পেলো,  কতোটা হারালো। যাদের জীবনে প্রেম ছিল ‘বারণ’, তারাই ভালবেসে ঘর বাঁধে, সৃষ্টি করে নতুন জীবন। 


 
********

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait