স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম টেস্টের মতোই সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা উইকেটেই লর্ডসে বিরাটদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জো রুট অ্যান্ড টিম ইংল্যান্ড। সামনে এল লর্ডসের ২২ গজের ছবি। তার থেকে ধারনাটা স্পষ্ট আবারও বাউন্স-সুইং এ ভরা গ্রিনটপেই ইংরেজ পেসারদের সামলাতে হবে বিরাট-রাহানে-পূজারাদের। প্রথম টেস্টে ইংরেজ বোলারদের সামনে ধরাশায়ী হয়ে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার। সুতরাং ইংরেজদের লাকি গ্রাউন্ড লর্ডসে জিততে হলে এদিন রানে ফিরতে হবে ভারতের মিডল অর্ডারকে, তা নিশ্চিত। উইকেটের চরিত্র বিচার করে সূত্রের খবর চার পেসারেই প্রথম একাদশ সাজাচ্ছে কোহলিরা। নেটে চোট পাওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারছেন না ভারতের তারকা পেসার শার্দুল ঠাকুর। সুতরাং তার বদলে দলে শামি,বুসরাহ, সিরাজের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসাবে খেলতে পারেন সম্ভবত ইশান্ত শর্মা। চার পেসার ও একমাত্র স্পিনার হিসাবে খেলবেন জাদেজাই। আর ইংল্যান্ডে ৪ পেসারই আদর্শ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত, এই টেস্টে হিসেব ওলোটপালট করার চাবি থাকবে পেসারদের পারফরম্যান্সের উপর।
ADVERTISEMENT
অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট দেখে মনে করা হচ্ছে দলে সম্ভবত দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে থাকছেন না রবীচন্দ্রন অশ্বিণ। কিন্তু লর্ডসে পা দিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০০২-এ ন্যাটওয়েস্ট জয় থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্বে টেস্ট জেতা— ক্রিকেটের মক্কায় ভারতের সাফল্য অনেক। অশ্বিন বলেন, “ঐতিহাসিক ঘটনা সব আমার জন্মের আগে ঘটেছিল। তবে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর এই লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কপিল দেবের কাপ তুলে নেওয়ার ছবি আমার কাছে এখনও সেরা মুহূর্ত। এর পরেই চলে আসবে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় ও দাদার টি-শার্ট ওড়ানো। সেই ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠলে ভারতীয় হিসেবে গর্ববোধ করি। কারণ মুম্বইতে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের জার্সি খোলার সেটা মোক্ষম জবাব ছিল।” তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে সুখবর একটাই। প্রথম দিন কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। অর্থাৎ প্রথম দিন জমজমাট টেস্ট ম্যাচের অপেক্ষায় থাকবে ঐতিহাসিক লর্ডস। ২০১৪-য় এই লর্ডসে ধোনির অধিনায়কত্বে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সিরিজে দলের সঙ্গে থাকলেও অশ্বিনের খেলা হয়নি। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্র জাডেজাকে সুযোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৫ রানের সেই টেস্ট জয়ের প্রতি মুহূর্ত এখনও তাঁর মনে আছে।
0 comments