-কী চাও আমার কাছে?
-গভীরতা।
-কি কথা ছিলো বাকি?
-রাধা কৃষ্ণ প্রেম।
-কোন আকাশ চেয়েছিলে আমার কাছে?
-আকাশ তো চাইনি। চেয়েছি আকাশের নাভিতে জমে থাকা ওই লাল সূর্যটা।
-সারাদিন এতবার ফোন করো কেনো? বারবার রিং হয়।
-কথার শরীরে ডুবে থাকব বলে।
-এভাবে দৃষ্টিপাত?
-বৃষ্টিপাতের আশায়।
-আমিতো বৃক্ষ নই। আমার কোন ছায়া নেই।
-আমার মায়ায় যত্নে রাখবো তোমার বৃক্ষ হীন কায়াকে। সবুজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চেয়েছি। সবুজ বন্দি করেছি তোমার বৈরাগ্য।
-জানো কি শুধু দুঃস্বপ্ন আছে আমার। নীল খামে ভরা চিঠি নেই। আছে কিছু অবিশ্বাস। আছে বিদ্বেষ।
-বেশ। কিছু অবিশ্বাস না হয় তুলে নেবো ভালোবাসা মনে করে। রাতের জঠরে নিঃশ্বাস তৈরি করব সুখে-দুখে। প্রেম অছিলা ভেবে ফুলের ফাগুনে বৈরাগী বিছানায় ব্যথার আকর হবো।
-আমার আছে ক্যাকটাস। রুক্ষ মরুভূমিতে গজিয়ে ওঠা কাঁটাগাছ।
-সে হোক। গোলাপেও কাঁটা থাকে। কাঁটা দিয়ে আমি স্বপ্ন আঁকি।
ভালো লাগে কাঁটা তার। কাঁটাতার দিয়েই তো বিভক্ত দু-দেশ। তবুতো কথা রেখেছি প্রিয়ভাষিণী হয়ে ভালোবেসেছি আদরিনী মাতৃভাষাকে। কাঁটা দিয়েই যীশুকে বিদ্ধ করেছো আমার হৃদয়ে। রক্তগোলাপ আমি দিয়েছি তোমাকে। কাঁটা কে পালক দেখি আমি। আমার পালকের উঃ শরীর তোমার কাঁটা বৃত্তের সীমাকে বরফের মতো গলিয়ে দেবে।
ADVERTISEMENT
0 comments