কোনও এক অমুক বাবুর গপ্পো বলব আজ
এই অমুকবাবুকে আমরা রোজ দেখি
আমাদের অমুকবাবু শান্ত নিরীহ গোছের…
অফিসে সিঁটিয়ে থাকেন সর্বদা।
বড়সাহেব ভীষণ রগচটা
যখন তখন তার কপালে জোটে ধমক।
স্কুল জীবনে পিছন সারিতেই
শিক্ষকদের নজরে ছিল তাচ্ছিল্য
“এ ব্যাটার কিস্যু হবে না… হ্যাঁ রে এবারও অংকে দুই!”
লজ্জা আর সংকোচ ছেলেবেলার সঙ্গী।
খেলাধুলোতেও তার দৌড় কম,
রোগা চেহারায় কিছুই চোখে পড়ার মতো নয়।
কলেজে মেয়েদের দিকে তাকানোর সাহস হয়নি কখনও।
রাতে ক্লান্ত শরীর যখন বাড়ির দরজায়
আমাদের অমুকবাবু তখন আলাদিন!
সত্যি বলছি, বিশ্বাস করুন
দরজা খুলে যে মেয়েটি দাঁড়ায় লাল সিঁন্দুরে রেঙে
তার চোখে খুশির ঝিলিক খেলে….
কলম পেশা হাত ছুঁয়ে যায় গাল
ব্যাগ থেকে আলাদিন বের করেন
বউয়ের আবদার মেয়ের বায়না!
কোন্নগরে জন্ম, মাখলার স্কুলে পড়াশোনা করে একে একে স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বি.এড পাশ করে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করি, বর্তমানে বাড়িতেই ছাত্রছাত্রী পড়াই। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কবিতার চর্চা ও লেখালিখির শুরু। বর্তমানে আকাশবাণীর সঞ্চালক। সোশাল মিডিয়ায় লেখার সঙ্গে কিছু পত্রিকায় লিখি।
0 comments