স্পোর্টস ডেস্ক: চুক্তিজট কাটাতে আজ আবারও বৈঠকে বসতে চলেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। গত দুদিন আগেই ক্লাব তাঁবুতে ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে ৫ বছরের ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থার মধ্যে আসন্ন ৫ বছরের চুক্তি সম্পাদনের বিষয়কে ক্লাব স্বাগত জানাচ্ছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার সময় চেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এরপর আজ আবারও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে বিকেল চারটে নাগাদ কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। তার আগে দুপুরে নিজেদের মধ্যে ফের আলোচনায় বসার কথা লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকাদের। আজ, শুক্রবার লাল-হলুদের কর্মসমিতির বৈঠকে জট খোলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলার পক্ষে জোরালো সওয়াল করা মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যও যোগ দিচ্ছেন এই বৈঠকে। তিনি বললেন, “লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। তাঁদের স্বার্থেই এই সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই আমার আশা।” সপ্তাহখানেক আগেও আলোচনায় বসেছিলেন প্রাক্তন তারকারা। বৈঠকের পরে তাঁরা জানিয়েছিলেন, কয়েকটি শর্ত পরিবর্তন না করলে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত নয় ক্লাব কর্তাদের। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেন সময় দেওয়ার। পাশাপাশি, লগ্নিকারী সংস্থার প্রধান হরিমোহন বাঙুরকেও অনুরোধ জানান আলোচনায় বসার। আর ইতিমধ্যেই শহরে হাজির হয়েছেন শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুর।
ADVERTISEMENT
এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব ও আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্তের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েকটি শর্ত পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্লাব কর্তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘এ বারও বলছি একটু ছেড়ে খেলুন। সব হয়ে যাবে। পাঁচ বছরের জন্য কেউ গ্যারান্টি দেবেন, এটাও মুখের কথা নয়। ৫০ কোটি টাকা করে লাগে। তাঁদেরও অনেক বলে রাজি করানো হয়েছে। সদস্যদের নিয়ে সমস্যা মিটে গিয়েছে। বাকি সমস্যারও আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে। আমি আশাবাদী, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে। আমার কাছে সে রকমই তথ্য রয়েছে।‘‘এরপর কর্মসমিতির জরুরি বৈঠকের পরে লাল-হলুদ কর্তারা জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চূড়ান্ত চুক্তির কী কী শর্তে আপত্তি রয়েছে, তা বোঝাতে চান। উল্লেখ্য গত ২৬ জুলাইয়ের বৈঠকের পরে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা জানিয়েছিলাম, চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত নয়। তার পরে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ে এখনও কেন আপত্তি রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করা হবে শুক্রবারের বৈঠকে। পাশাপাশি প্রত্যেকের মতামত নেওয়া হবে।
0 comments