অনন্ত প্রেম (অন্তিম পর্ব)

অনন্ত প্রেম (অন্তিম পর্ব)

দ্বিতীয় পর্ব : তিয়াসার প্রত্যেকটা কথা স্নেহার বুক তোলপার করে দেয়, ও ভেবে উঠতে পারেনা ওর এই মুহূর্তে ঠিক কি করা উচিত, প্রিয় বন্ধুর ভালোবাসায় বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য আনন্দ করা উচিত নাকি প্রথম ভালোবাসা কে হারানোর জন্য দুঃখ পাওয়া উচিত! নিজের অজান্তেই স্নেহা হাউ হাউ করে কেদেঁ ওঠে, তিয়াসা জানতে চাইলে বলে এটা তার আনন্দের কান্না, হয়তো সত্যিই তাই, স্নেহা তো রবীন্দ্রনাথ কে দেখে শিখেছে ভালোবাসা হারিয়েও কিকরে ভালোবাসা ফিরে পাওয়া যায়, আর আসল ভালোবাসা তো হারিয়েই পাওয়া যায়, আর সে তার বন্ধুত্বের জন্য না হয় নিজের প্রথম হয়তো বা শেষ ভালোবাসাকে হারিয়েই দিলো, এতে আর যাইহোক তার বেস্ট ফ্রেন্ড আর তার ভালোবাসা দুজনেই খুশি থাকবে, আর ভালোবাসার মানুষ যখন খুশি তে থাকে তখন তো তার থেকে বড় খুশি কিছু হয় না, তিয়াসার সাথেই সৌমিক ভালো থাকবে, আর এখন তিয়াসার একলা অগোছালো জীবন কে গুছিয়ে দেওয়ার লোক ও চলে এসেছে! তাই স্নেহা বুঝতে পারে  তার এখন ওদের থেকে দূরে চলে যাওয়াই শ্রেয়! 

ADVERTISEMENT
Tuhu Momo Video Teaser

এরপর সত্যিই স্নেহা ওদের জীবন থেকে অনেক দূরে চলে যায়, খানিক টা পরিস্থিতির চাপ আর অনেকটা নিজের ইচ্ছায় স্নেহা বিদেশে চলে যায়! কর্ম সূত্রে স্নেহার জামাই বাবু লন্ডনে থাকতেন, তিনিই স্নেহার যাবার ব্যবস্থা করে দেয়, দিদি জামাইবাবু র সাথে লন্ডনেই সেটেল করে স্নেহা,আর এদিকেও ওর মা বাবা একটা এক্সিডেন্টে মারা যান, ওকে আটকানোর মতো সেদিন কেউ ছিলো না, তবু তিয়াসা অনেক বুঝিয়েছিলো,কিন্তু সেদিন সেটা করা ছাড়া ওর কাছে আর কোনো উপায় ছিলো না, কারণ কাছে থেকে ভালোবাসার মানুষ কে অন্যের হতে দেখতে পারার মতোও মহান হয়তো স্নেহা নয়! তাই সাত বছর আগে তিয়াসার বিয়ের দিন রাতেই স্নেহা লন্ডন চলে যায়, বছর খানেকের চেষ্টায় স্নেহা ওখানে একটা স্কুলে চাকরি পেয়ে যায়! বর্তমানে ও ওখানেই থাকে! মাস খানেকের ছুটি নিয়ে এই কদিন আগেই স্নেহা কোলকাতায় ফিরেছে! আর আজ সে তার সাত বছর আগে ফেলে যাওয়া বন্ধুর সাথে দেখা করতে চলেছে! ওর যে অনেক কথা জানার আছে,আর নিজের ফেলে যাওয়া বন্ধুকে বিয়ের পর কেমন লাগছে সেটা দেখার কৌতুহল ও আছে! তাই সে আজ খুব এক্সাইটেড! 

বিকেল পাঁচ টা, প্রিন্সেপ ঘাট: তিয়াসা গিয়ে দেখে স্নেহা ততক্ষনে চলে এসেছে, অনেক বদলে গেছে, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, কাঁধে ব্যাগ, চুল স্ট্রেট করা, অনেক পরিণত, পরণে সালোয়ার না, পালাজো আর কুর্তি, দেখতে একদম আধুনিক ! আগের মতোই শান্ত চোখ,আর মুখে মিষ্টি হাসি! 
-কিরে? কখন এলি? 
তিয়াসা, তিয়াসা সেন, তারও চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, পরণে শাড়ি যে আগে কিনা জিন্স আর কুর্তি ছাড়া কিছুই পরতো না, ছিমছাম সাজ, কানে ছোট্ট দুটো দুল, কপালে হালকা সিঁদুর প্রায় দেখা না যাওয়ারই মতো, আর আগের থেকে অনেক বেশি শান্ত ধীর আর পরিণত! -বরাবরের মতো আবার লেট? হু? 
-ওসব ছাড়, কতোদিন পর তোর সাথে আবার দেখা হোলো, আমি সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম স্নেহা, আমার জীবনের ওরকম একটা দিনে তুই আমাকে ফেলে চলে যাবি ভাবিনি! 
-কি করতাম আমি বল!? বাবা মার ওভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারিনি, আর এখানে আমাকে কে দেখতো বল? আমাকে যে যেতেই হোতো! 

-কাকু কাকিমার চলে যাওয়া টা আমি আজও মানতে পারিনা! কেমন আছিস রে ঐ দূর দেশে? 
-শরীরে সুস্থ, কিন্তু মন কি আর ভালো থাকে? 
-বিয়ে করিসনি? -না রে, তুই ওখানে গেলে বুঝতিস ওখানকার মেয়েরা কতটা স্বাধীন, এক সময় আমি তোকে বলতাম বিয়েই মেয়েদের জীবনে সব,আমি ওদের দেখে বুঝেছি মেয়েদের বিয়ে ছাড়াও কত কিছু করার আছে, আমি ওখানে একটা চাইল্ড অয়েল ফেয়ার ইউনিটের সাথে যুক্ত, একটা স্কুলে পড়াই, আর বাড়িতে দিদি জামাইবাবু আর ওদের 6বছরের ছেলে,আমার দিব্যি সময় কেটে যায়! আমার কথা ছাড়, তোর কথা শুনবো বলে আজ এসেছি, তোর কথা, তোদের কথা বল! 
-আমি আমার কথা বলতে পারি, আমাদের কথা তো আর বলতে পারবো না রে! 
-মানে? সৌমিক কেমন আছে? -ও আর আমার সাথে থাকেনা রে! -কি? কি বলছিস? মানে টা কি? 
-বছর খানেক হল আমরা দুজন সেপারেশন এ আছি! 
-কিন্তু কেন? কি হয়েছে? 
-জানিনা, সব ঠিক ছিলো জানিস! হঠাৎ বছর দেড়েক আগে সৌমিকের মধ্যে এই পরিবর্তন টা লক্ষ্য করি! ও আমার প্রতি আর সেই আগের মতো ইন্টারেস্ট দেখাতো না! আসতে আসতে আলাদা ঘরে শোয়া শুরু করলো, আমাদের বাচ্চা মেয়েটার দিক থেকেও আসতে আসতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলো, আমি ভাবলাম হয়তো ওর আমাকে আর সহ্য হচ্ছে না, প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফিরতো, আর চেঁচামেচি করতো, ওর এই পরিবর্তন আমি মেনে নিতে পারছিলাম না, আর আমার বাচ্চাটার ওপরেও এর বাজে প্রভাব পড়ছিলো! বুঝতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত, জানিস তো আমারই ভুল হয়তো! আমিই হয়তো সৌমিক কে খুশি রাখতে পারিনি! বছর খানেক আগে আমি ডিসিশন নিই আমরা আলাদা থাকবো, আর আমার সন্তান কে আমি একাই মানুষ করবো! আমি বুঝে গেছি ভালোবাসা টালোবাসা সব মিথ্যে! এই যুগে ওসবের কোনও মূল্য নেই! এখন আমার জীবনের একটাই লক্ষ আমার মেয়েটাকে মানুষের মতো মানুষ করা! এখন একটা প্রাইভেট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াই, যা মাইনে পাই তাতে আমাদের দুজনের ভালোভাবেই চলে যায়! আমি এখন আমার বাড়িতেই থাকি তিস্তা কে নিয়ে! সৌমিক চেয়েছিলো মেয়ের পড়াশুনার খরচ দিতে,কিন্তু আমি নিই নি! বল ঠিক করিনি!? 

এক টানা নিজের জীবন কাহিনী বলে তিয়াসা থামলো! তিয়াসার থেকে এই কথাগুলো শুনবে একদমই এক্সপেক্ট করেনি স্নেহা! ও তো ওদের ভরা সংসারের গল্প শুনবে বলে এসেছিলো, সৌমিক কে খুশি দেখবে বলেই তো ও ওর সব অধিকার ভালোবাসা ছেড়ে সেদিন বিদেশে চলে গিয়েছিলো, তিয়াসাকে ভালোবাসার বিশ্বাসে বিশ্বাসী হতে দেখে নিশ্চিন্তে সেদিন ও সব ছেড়ে চলে গিয়েছিলো, আর আজ ফিরে এসে এসব কি শুনছে, সৌমিক তিয়াসা কে ছেড়ে দিয়েছে, যে সৌমিক একদিন তিয়াসার ভালোবাসায় পাগল ছিলো, যে মানুষের ছোঁয়ায় তিয়াসার মত মেয়ে ভালোবাসতে শুরু করে সে কিকরে এরকম করতে পারে! নাহঃ! তাকে জানতেই হবে এটা সৌমিক কেন করলো! কি এমন হয়েছে যার জন্য সৌমিকের মতো ছেলে তার ভালোবাসাকে ভুলে যেতে পারে! অনেক অনেক প্রশ্নের না পাওয়া উত্তর সেদিন স্নেহাকে সারারাত ঘুমোতে দেয়না! তার প্রিয় বন্ধুর এই দুখী মুখ, দৃঢ় চেহারা তাকে সারারাত ভাবায়! তবে কি সত্যিই ভালোবাসা মিথ্যে? সেদিন সৌমিকের চোখে যে তিয়াসার জন্য ভালোবাসা স্নেহা দেখেছিলো সেটা মিথ্যে! নাহঃ সব কিছু এভাবে মিথ্যে হতে পারেনা, আর হলেও তাকে সৌমিকের সাথে দেখা করতেই হবে! ওর মুখ থেকেই পুরো ব্যাপার টা শুনতে হবে! যে কি এমন হোলো যে সে তিয়াসাকে এভাবে কষ্ট দিলো! 

পরের দিন সকাল সকাল স্নান খাওয়া সেরে স্নেহা বেরিয়ে যায় সৌমিক কে খুঁজতে! কাল তিয়াসা বলে সৌমিক নাকি তাদের নতুন ফ্ল্যাটে থাকে না! তাই সে সৌমিকদের পুরোনো বাড়িতে যায়! সে জানতো সৌমিক কে এখানেই পাওয়া যাবে! বাড়ির দরজায় ধাক্কা মারতে একজন বয়স্ক মানুষ বেরিয়ে এসে দরজা খুলে দিলেন! 
-কাকে চাই? 
-সৌমিক সেন আছেন? 
-ওহ দাদাবাবু? আপনি কে বলুন তো? দাদাবাবু তো আজকাল কারও সাথে দেখা করেন না! আপনি তবে কে? 
-দেখা করেন না? মানে? আপনি বলুন আমি এসেছি,আমার নাম স্নেহা! বলুন বিদেশ থেকে তার বন্ধু স্নেহা এসেছে দেখা করতে! 
-আচ্ছা, দাঁড়ান একটু! মিনিট পাঁচেক পর বৃদ্ধ এসে স্নেহাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়! ভেতরে ঢুকতেই স্নেহা এক গাদা ওষুধের গন্ধ আর দু চারজন ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলাকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জটলা করতে দেখে,কেউ কেউ তার দিকে চেয়ে তির্যক দৃষ্টিতে দেখছে! একজন মহিলা এসে স্নেহাকে একটা ঘরে নিয়ে যায়! ঢুকতেই স্নেহার বুক টা কেঁপে ওঠে! এ স্নেহা কি দেখছে, এরকম ভয়ানক চেহারা হয়েছে সৌমিকের, মাথা ন্যাড়া, চোখ গুলো যেন কেউ ঠেলে বার করে দিয়েছে, চোখের তলায় কালো দাগ, সারা মুখ সাদা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে! সেদিনের সেই প্রাণোচ্ছল হাসি খুশি ভালোবাসায় ভরা ছেলেটার এই অবস্থা দেখে স্নেহা নিজেকে সামলাতে পারেনা! একজন মহিলা ওকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বলে, ব্লাড ক্যান্সার, লাস্ট স্টেজ, আর বড় জোর মাস খানেক আছেন, বেশি কান্না কাটি করবেন না ওনার সামনে, উনি বোধহয় আপনাকে কিছু বলতে চায়, শুধু শুনবেন, বেশি রিয়াক্ট করবেন না! আমি আসছি! আপনি ভেতরে যান, দাদাবাবু আপনাকে কিছু বলতে চান! 
 
স্নেহা ভেতরে গিয়ে সৌমিকের সামনে গিয়ে বসে, নিজেকে সামলাতে যেন সে কিছুতেই পারছে না, বিদেশে গিয়েছিলো এক দুঃখ নিয়ে, দেশে ফিরে যে সেই দুঃখ হাজার লক্ষ কোটি গুন বেড়ে যাবে তা সে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি! এই দিন দেখার থেকে তো তার বিদেশেই থেকে যাওয়া ভালো ছিলো! প্রিয় বন্ধুর সুখের সংসারের খোঁজ নিতে গিয়ে এরকম কিছু দেখবে তা বোধহয় স্নেহা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি! 
-কাঁদিস না স্নেহা! সৌমিকের কোথায় সম্বিৎ ফেরে স্নেহার! 
-তোর সাথে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, পারিনি। আমার এই অবস্থার কথা শুধু তুই ছাড়া আর কেউ জানবে না, কথা দে স্নেহা আমাকে! 
-মানে, আজ তোর এই রকম অবস্থার কথা তুই তোর স্ত্রীকে জানাবিনা? তুই জানিস ও তোকে ভুল বুঝছে? ভাবছে তুই ওকে ভালোবাসিস না! 
-ভুল বোঝেনি, আমি ওকে যেটা বোঝাতে চেয়েছি ও সেটাই বুঝেছে! 
-মানে? কিন্তু কেন? স্ত্রী হিসেবে এভাবে ওকে অন্ধকারে রাখার কি কারণ! 
-কারণ? কারণ জানতে তুই চাইছিস? তুই জানিস না ভালোবাসা কি? ভালোবাসার মানুষকে কাছ থেকে হারানোর যন্ত্রনা তুই বুঝিস না? 
-সৌমিক? 
-হ্যাঁ স্নেহা, প্রতি টা মানুষের মধ্যেই একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকে যেটা দিয়ে সে বুঝতে পারে কে তাকে কতটা ভালোবাসে, আমি জানি সাত বছর আগে তুই তোর ভালোবাসাকে তোর প্রিয় বন্ধুর কাছে সমর্পণ করে সব ছেড়ে চলে গিয়েছিলিস! কেন গিয়েছিলি? সেদিন তুই তো বুঝেছিলি ভালোবাসলে ঠিক কতটা স্যাক্রিফাইস করা যায়? বুঝেছিলি তো? তোর কি মনে হয় আমাকে এ অবস্থায় দেখলে তোর বন্ধু ঠিক থাকতো? আর সব থেকে বড় কথা আমাদের মেয়েটা, ও নিজের বাবাকে এভাবে দিনের পর দিন একটু একটু করে নরক যন্ত্রনা পেতে দেখতো? তাতে কেউ ভালো থাকতো? তার থেকে যা হয়েছে ভালো হয়েছে, ও আমাকে ছেড়ে বাঁচতে শিখে গেছে! ও আমার থেকে আঘাত খাওয়ার পর বাস্তব টাকে চিনতে শিখেছে, আমার বিশ্বাস ও ঠিক নিজেকে সামলে নিতে পারবে আর আমাদের মেয়েকেও ও মানুষের মতো মানুষ করবে! ভালোবাসি বলেই এই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি আমি ওকে হতে দিই নি! আর প্লিজ তুইও ওকে কিছু বলিস না! আমি এখন মৃত্যু পথযাত্রী! বেশি দিন আর নেই! আমাকে কথা দে আমার অবর্তমানে তুই তোর বন্ধুকে দেখে রাখবি? ওর গায়ে কোনোরকম আঘাতের আঁচ লাগতে দিবি না? আমি জানি তুই আমাদের জন্য অনেক করেছিস! প্লিজ আর একটু কর! তোর বন্ধুত্বের ঋণ আমরা কেউই মেটাতে পারবো না, আর মেটাতে চাইবোও না! তোর মতো বন্ধু পেয়ে সত্যিই আমি, তিয়াসা দুজনেই ধন্য! প্লিজ আমাকে কথা দে তুই ওদের খেয়াল রাখবি! তুই যেখানেই থাকিস এখানে বা লণ্ডনে, তুই ওদের খোঁজ রাখিস এটুকুই বলার ছিলো! 
 
কান্না তখন স্নেহার চোখের কাজল ধুইয়ে দিয়েছে! সত্যিই এতটা ভালো কেউ কাউকে কিকরে বাসতে পারে তা সৌমিককে না দেখলে বোঝা যেতো না! ও আমৃত্যু তিয়াসাকে এভাবে ভালোবেসে গেলো! সত্যিই সৌমিকের ভালোবাসার কাছে আজ স্নেহা পরাজিত! সৌমিকের ভালোবাসা জেতাতে এটুকু তো ও করতেই পারে! স্নেহা সৌমিকের হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করলো, সেও আমৃত্যু তার বন্ধুত্বের দায়িত্ব পালন করবে! কোনোরকম কোনো আঘাতের চিহ্ন সে বেঁচে থাকতে তার বন্ধুর গায়ে লাগতে দেবে না! আজ সৌমিকের ভালোবাসা আর স্নেহার বন্ধুত্ব দুইই জিতে গেলো! সেদিন সত্যিই বিদেশে চলে না গেলে এমন একটা বিরল ভালোবাসার মুহূর্তের সাক্ষী হতো না স্নেহা! মনে মনে এই জন্য সে ভগবানকে প্রণাম জানালো আর নিজে এই অনন্ত প্রেমের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করলো!

সেই মুহূর্তে ওর খুব রবি ঠাকুরের কবিতা টা মনে পড়ে যাচ্ছিলো-
“তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার,
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার!
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার-
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছো সে উপহার!
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার!” 

-সমাপ্ত-

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait