স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় শিবিরে করোনার হানা। যার জেরে আপাতত আজ থেকে শুরু হচ্ছে না ভারত-ইংল্যান্ড পঞ্চম টেস্ট। বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনার পর ঘোষণা করে ইসিবি। যদিও, সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই ম্যাচ রিশিডিউল করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ভারতীয় বোর্ড। খবর সূত্রের, করোনার জেরে খেলতে অস্বীকার করে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপরই, ইসিবি জানিয়ে দেয় আজ থেকে পঞ্চম টেস্ট শুরু হচ্ছে না। ভারত না খেলায়, সিরিজের ফল কী হবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রয়েছে। সূত্রের খবর, শিবিরের মধ্যে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে, টিম ইন্ডিয়া গতকাল অনুশীলন করতে পারেনি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে রয়েছে যে, দল নামাতেই পারছে না ভারত।সূত্রের খবর, টিম ইন্ডিয়ার তরফে ইসিবিকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রয়োজনে ভারত ম্যাচ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত। যদিও, দুতরফের সুসম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে ইসিবির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ম্যাচ পঞ্চম টেস্ট এখন হচ্ছে না।
ADVERTISEMENT
ভারতীয় শিবিরে কোভিড প্রথম হানা দেয় চতুর্থ টেস্ট চলাকালীন। প্রথমে, করোনা পজিটিভ হন ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী। এরপর বোলিং কোচ ভরত অরুণ এবং ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন দলের ফিজিও যোগেশ পারমর। বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চারজনকেই আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখন জোড়া নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া, এঁরা কেউ বের হতে পারবেন না। সূত্রের খবর, টিম ম্যানেজমেন্টের চারজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার পঞ্চম টেস্টে খেলতে চাইছেন না। এই নিয়ে ইসিবি-র সঙ্গে আলোচনা করার পর ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি, রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে চেতেশ্বর পূজারা সহ ভারতীয় দলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কাজ করছিলেন পারমার। ফলে, অনেকের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্ব। ক্রিকেটাররা তার আগে কোনও প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
আইপিএল-এর সব দলই মরুদেশে পৌঁছে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রচারকারী এবং নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থাও শেষের পথে। এই অবস্থায় পঞ্চম টেস্ট পিছনো হলে তার প্রভাব পড়ত আইপিএল-এ। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আইপিএল পিছনোরও কোনও উপায় নেই। কারণ আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত দু'দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের আলোচনা চলে। শুক্রবার সকাল থেকে ফের আলোচনা শুরু হয়। ইসিবি চাইছিল ম্যাচ দু'দিন পিছিয়ে দিতে বা বাতিল করতে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে এরপর কথা বলেন বিসিসিআই কর্তারা। বিরাট কোহলীরা জানান, ম্যাচ কোনও ভাবেই ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। বরং পরে কোনও এক সময় এই টেস্ট খেলতে হলেও তাঁরা রাজি। বিসিসিআই সেই বার্তা জানিয়ে দেয় ইসিবি-কে। তারাও রাজি হয়ে যায়। তারপরই বাতিল হয় টেস্ট।
0 comments