স্পোর্টস ডেস্ক: শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ইউরোর শেষ ১৬ এর হাইভোল্টেজ মহারণ। আটটি ম্যাচ থেকে শেষ আটে জায়গা করে নেবে সেরা ৮টি দল। শনিবার প্রথম রাতেই রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ওয়েলশের সামনে নামছে ডেনমার্ক। গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই দলের অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এরিকসেন। এবারের ইউরোয় ডেনমার্কের সঙ্গে এরিকসনের নামটা যেন জুড়ে গেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেষ ১৬-র টিকিট কেটেছে ডেনমার্ক। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরেছে ওয়েলস। চলতি ইউরোতেও তেমন নজর কাড়েনি গ্যারেথ বেলদের পারফরম্যান্স। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকলেই চাপ বেড়েছে ওয়েলসের। ডেনমার্কেরও তাই। ড্যানিশরা তো গ্রুপের ৩টির মধ্যে ২টিতেই হেরেছে। অন্যদিকে বেলরা হেরেছে মাত্র ১টি ম্যাচে। তবে গ্রুপ পর্বের ব্যর্থতা ভুলে দুটি দলই নতুন লড়াইয়ে নামছে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই নিজেদের ঘরের মাঠে খেলেছে ডেনমার্ক। এবার গন্তব্য আমস্টারডাম। চ্যালেঞ্জটা কঠিন। ১৭ বছর পর ফের একবার কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় ১৯৯২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
ADVERTISEMENT
অন্যদিকে শনিবার মধ্যরাতে আরও ভয়ঙ্কর লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি ও অস্ট্রিয়া। বিশ্বকাপে চার বারের চ্যাম্পিয়ন। অথচ ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের সেরা মঞ্চে ইটালি যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি! রবের্তো মানচিনির কোচিংয়ে আবার স্বমহিমায় তারা। গ্রুপে পর্বে নীল ঝড়ের দাপটে মুগ্ধ ফুটবপ্রেমীরা। ইটালি মানেই রক্ষণাত্মক ফুটবল, এই ধারণাই বদলে দিয়েছেন মানচিনি। ইউরো কাপের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে যদি অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায় ইমমোবিলেরা তবে নিজেদের দেশের ৮৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙবেন তাঁরা। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত টানা ৩০টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইতালি। আর মানচিনির ইতালি এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ৩০টি ম্যাচে। গ্রুপ পর্বের ৩টি ম্যাচই জিতেছে ইনসিয়েনেরা। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে তাই ম্যাচ জিতে ইতিহাস তৈরি করতে মরিয়া ইতালি। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে কাগজে কলমে ফেভারিট আজুরিরাই। অঘটন না ঘটলে আজুরিরাই পৌছবে শেষ আটে, মত ফুটবল বিশেষজ্ঞদের। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে রবার্তো মানচিনির দাবি, ১৩৫ সালের ইতালি তাঁদের থেকে অনেক এগিয়ে। কারণ সেই অপরাজেয় ইতালি জিতেছিল বিশ্বকাপ। অলিম্পিকে জিতেছিল সোনা। মানচিনি যতই বিনয়ী হোন না কেন, ফুটবলবিশেষজ্ঞরা অবশ্য দাবি করছেন, এই ইতালি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার।
0 comments