“হোক খেলা, এ খেলায় যোগ দিতে হবে
আনন্দকল্লোলাকুল নিখিলের সনে”।…
থেকো না অকালবৃদ্ধ বসিয়া একেলা—
কেমনে মানুষ হবে না করিলে খেলা!
খেলাধুলার কথা বলার আগে রবীন্দ্রনাথ বলতে যে ছবিটা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীতশ্রষ্টা, নৃত্যনাট্যকার, শিল্পী ইত্যাদি। এছাড়া তিনি যে প্রাচ্যের অন্যতম শিক্ষাবিদ একথাও সর্বজন স্বীকৃত। তাঁর মত একজন দার্শনিক শিক্ষাবিদ খেলাধুলা বিষয়টিকে কিভাবে নিয়েছিলেন তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। অন্যান্য বহু বিষয়ের মত রবীন্দ্রনাথ খেলাধুলা নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেছেন, এবং নিজেও রীতিমত প্রতিদিন তার বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। রবীন্দ্রনাথ নিজে কখনও ক্রিকেট খেলেছেন বলে জানা যায়নি। শান্তিনিকেতনে শিক্ষক রেবাচাঁদ ছিলেন দারুণ ক্রিকেট খেলোয়াড়। তাই ছাত্রদের ক্রিকেটে উৎসাহী করে তুলতে রেবাচাঁদকে নিয়োগ করেছিলেন।
ADVERTISEMENT
এছাড়া রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে তাঁর ইংরেজ বন্ধুদের সঙ্গে টেনিস খেলতেন। ইংরেজদের এক শ্রেণীর উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ তরুণ বয়স থেকেই ছিল, তাঁদের সঙ্গে খেলাধুলা আমোদ প্রমোদে যোগ দিতে তাঁর আপত্তি ছিল না। এছাড়া স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও তিনি নিয়মিত টেনিস খেলতেন, এমনটাও শোনা গেছে। ১৮৮৯ সালে শোলাপুর থেকে বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে একটি চিঠিতে লিখছেন- “সম্প্রতি একদা সন্ধ্যাবেলায় এখানকার ইংরেজ মন্ডলীর সঙ্গে (টেনিস) খেলবার সময় পড়ে গিয়ে পা ভেঙে বসে আছি”।’
তবে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছোটবেলায় খেলাধুলার বিশেষ সুযোগ পাননি। ছেলেবেলার সঙ্গিনী লীলার সঙ্গে খেলার সময় বা তেতলার ছাতে থাকার সময় বালক মনের অধিকাংশ স্থান জুড়ে থাকত কল্পনা প্রবণতা। অন্দরমহলে মেয়েদের নানারকম তাসখেলা দেখেছিলেন কিশোর কবি।
সাহিত্য সৃষ্টিতে মগ্ন মানুষটির জীবনে খেলাধুলার তীব্র আকর্ষণের চিহ্ন সেভাবে আমরা পাইনা। সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করার পর অকালে যখন স্ত্রী মৃণালিনী দেবী দেহত্যাগ করেন তখন শিশুপুত্র-কন্যাদের ভার একলাই সামলাতে হয়েছিল তাঁকে। সেইসময় সন্তানদের মনোরঞ্জনের জন্য, তাদের সুস্থ আমোদ-প্রমোদের মধ্যে দিয়ে মায়ের অভাব ভুলিয়ে রাখতে রবীন্দ্রনাথ যত্নশীল হয়েছিলেন। রবীন্দ্র কন্যা মীরা দেবী বাবার সান্নিধ্যের স্মৃতিচারণ করেছেন, “বাবা আমাদের নিয়ে নানারকম Indoor Games খেলতেন”। একটা ছিল – একটা কোনও লাইন লিখে তার শেষের কথাটা বলে দিতেন, তারপর সেটা দিয়ে আমাদের আবার একটা লাইন লিখতে হত। এমনি করে অনেক সময় বেশ একটা গল্প তৈরি হয়ে যেত”। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে খেলার মধ্যে দিয়ে সন্তানদের মানসিক শক্তি বিকাশে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ এই ধরনের খেলা খেলতেন ও তাদের খেলাধুলাতে যোগ দিতেন। শান্তিনিকেতনের প্রাচীনা ছাত্রী অমিতা সেনের স্মৃতি থেকে আমরা জানতে পারি – “মহাভারত পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তিনি আমাদের সঙ্গে শব্দের খেলা করতেন। নতুন নতুন শব্দে নতুন নতুন বাক্য রচনা হত”।
ইন্দিরাদেবী তাঁর স্মৃতি গ্রন্থে জানিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় ‘প্রমারা’ নামে একটি পয়সার খেলা হত। এই ‘প্রমারা’ সম্পর্কে ‘স্মৃতিসম্পুট’– গ্রন্থের শেষে প্রসঙ্গ কথায় বলা হয়েছে –‘প্রমারা’: তৎকাল প্রচলিত একটি পয়সার খেলা। অবসর সময়ে জোড়াসাঁকো বাড়ির কেউ কেউ এই খেলায় সময় কাটাতেন, জানা যায়। এই খেলায় রবীন্দ্রনাথ বিশেষ অভ্যস্থ না হলেও দু-একবার যোগ দিয়েছেন। বঙ্গদর্শনে কবি লিখছেন, “এই সময় এ অঞ্চলে প্রমারা খেলার অতিশয় চলন ছিল । সকলেই প্রমারা খেলিত, পাড়ায় পাড়ার প্রমারার আড্ডা ছিল। বালকেরা পর্য্যন্ত এ খেলায় দক্ষ হইয়া উঠিয়া ছিল । কোজীগর লক্ষ্মী পূজার রাত্রে নারিকেল জল খাওয়া যেমন অবশ্য কৰ্ত্তব্য ছিল, সেইরূপ ঐ রাত্রে প্রমারা খেলা ও অবশ্য কৰ্ত্তব্যের মধ্যে গণ্য হইয়াছিল”।
প্রমথ চৌধুরিকে একটা চিঠিতে লিখছেন, “শুনে খুশি হবে কালিগ্রামে একত্রে নৌকাবাসকালীন লোকেনের কাছে আমিও দু-একটা lesson নিয়েছি”। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে ‘প্রমারা’ খেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। কবিতাটি, -
মেঘ্লা শ্রাবণের বাদ্লা রাতি,
বাহিরে ঝড় বাতাস,
জান্লা রুধি ঘরে জ্বালায়ে বাতি
বন্ধু মিলি খেলে তাস।…
অবন বলে ভাই তর্কে কাজ নাই
প্রমারা হোক এক বাজি --
সমর মুদি চোখ বলিল তাই হোক
সত্য কহে আছি রাজি।
ইন্দিরাদেবী রবীন্দ্রনাথের খেলা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন – “রবিকাকাও সপরিবারে প্রায়ই আসতেন। রথীর আত্মকথায় তার উল্লেখ আছে। কিন্তু তিনি সে খেলায় যোগদান করতেন না। যতদূর মনে পড়ে, রবিকাকাকে কোনো সাধারণ খেলায় কখনও যোগ দিতে দেখিনি। তবে এরকম খেলায় যোগ না দিয়ে তাঁর স্বাভাবিক উদ্ভাবনী শক্তি আমাদের সঙ্গেও নতুন নতুন খেলায় প্রকাশ পেত। যথা, পাঁচজনে একত্রে বসে মুখে মুখে পালাক্রমে গল্প রচনা করা। ‘মেরি সার্কেল’ বলে একটা ইংরেজি বই দিয়েছিলেন, তাতেও নানারকম ঘরে-বসে খেলার বর্ণনা ছিল”।
রাণী চন্দ তাঁর স্মৃতিচারণে তাস খেলার কথা জানিয়েছেন, - “এ খেলাটা আমাদের বাড়িতেই খেলতাম। ছুটির দিনে দুপুরবেলা বন্ধুবান্ধব রথীদা-সুরেনদা জন কয়েক মিলে। খেলার শেষে হিসাব দিতাম গুরুদেবকে। গুরুদেব বলতেন, “আমি এরকম তাস খেলা জানতুম, পয়সা দিয়ে খেলতুম, ছেলেবেলায় বিলেতে শিখেছিলুম। দাঁড়া মনে করে নি’ই, শিখিয়ে দেবখ’ন”।
মংপুতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তাস খেলার কথা জিজ্ঞাসা করেছেন মৈত্রেয়ী দেবীকে। মৈত্রেয়ী দেবীর গ্রন্থ থেকেই উদ্ধৃত করি, “এখানে সন্ধ্যাবেলা তোমরা কি কর? তাস খেল না? আজকাল যে ঐ এক খেলা হয়েছে ব্রীজ”?
“না ওসব আমার আসে না একেবারে”।
“আমারও না, তবে একসময় একটু একটু খেলেছি বটে দায় পড়ে। আমাদের সময় সব অন্যরকম খেলা ছিল, গ্রাবু খেলা হত সব”।
“আজ তাস খেলবেন সন্ধ্যাবেলায়”?
মৈত্রেয়ী দেবীরা সন্ধ্যাবেলায় সবাই মিলে তাস সাজিয়ে বসলেন। কবির সঙ্গে তাস খেলায় মজা গ্রহণে আগ্রহী সবাই। মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা থেকে জানতে পারি কবি বলছেন, “… দেখ, আমি তোমাদের ও সব আধুনিক খেলা মোটেই জানিনে। দুটো খেলা জানি, একটার নাম ন্যাপ্ আর একটার নাম” – (সে নাম আমারও লেখা নেই, খেলাটা অনেকটা poker খেলার মত) সবাই মিলে টেবিল ঘিরে খেলতে বসা হল, - আলুবাবু বললেন, “ও কি আপনি গুরুদেবের পাশে বসেছেন যে? তা’হলে আপনাদের পার্টনার হতে দেওয়া যাবে না”।
“বা, তাতে কি হয়েছে বসলেই হল”!
“কৈ তোমাদের সম্বল কি? টাকা বের কর, বিনি পয়সায় তাস খেলবে তা হবে না, এবার আমার স্বচ্ছল অবস্থা, সাড়ে উনিশটাকা থলি ভর্তি তা জানো? অবশ্য এখন আছে কি না তা জানিনে”।
সুধাকান্তবাবু ধরে ফেললেন, “এ কি কান্ড, নিশ্চয়ই কিছু গোলমাল করেছেন আপনারা, তাস বদল করেছেন”।
উনি হেসে হাতের তাস ফেলে দিলেন, “নাঃ, এরকম মোটাবুদ্ধি পার্টনার নিয়ে আর যাই হোক, তাস খেলা চলে না। কতক্ষণ থেকে ইশারা করছি, বোকার মত হাঁ করে চেয়ে আছে। তার চেয়ে কবিতা পড়া যাক। এরকম স্থুল বুদ্ধির পক্ষে তাসের চেয়ে কবিতাই ভালো”।
আরেকটি অদ্ভুত ধরণের খেলা খেলতেন কবি। খেলাটির বিবরণ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা থেকে আর আবার উদ্ধৃত করছি, … “হঠাৎ দুই হাত দুই কানের উপর চাপা দিয়ে বললেন – ‘শিগগির বল এটা কি”?
“কোথাও কিছু নেই, কি প্রশ্ন বুঝতেই সময় লাগে”।
“হ্যাঁ, অত চট কর যদি বলবে তবেই হয়েছে। ভেবে বল। এটা চাপকান…”।
তারপরে প্রায়ই এই খেলাটা হত, এর নাম শ্যারাড। অন্য কথাবার্তা হচ্ছে ফস্ কে বলতে শুরু করে দিলেন তিন লাইনের গল্প, “… বাঃ অনিলচন্দ্র যে, চলেছ কোথায়, এক হাত হয়ে যাক এস এস। না-না আজ আর তাস নয় বিষ্ণু ঘোষের বাড়ির দাওয়ায় আজ যে পঞ্চায়েত বৈঠক বসবে। দিব্যি ফুরফুরে বাতাস বইছে, - এক চক্কর দিয়ে আসি চল”। এর মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে হবে ‘বাতাস’ কথাটা। সেটা প্রথম দুলাইনে ভাগ হয়ে তৃতীয়তে একসঙ্গে আছে, এই হলো খেলা। “শান্তিনিকেতনের কাছে একটা জায়গার নাম যার অর্থ – খুব ভাল গভর্মেন্টও হয়, খুব খারাপও হয়, বল দেখি কি? সু-রুল। সু-rule বা Shoe-rule।
এই শ্যারাড খেলার কথা আমরা শান্তা দেবীর ‘পূর্বস্মৃতি’ গ্রন্থেও পাই। তাঁরা যখন শান্তিনিকেতনে আতিথ্য গ্রহণ করতেন তখন যে সব মজার খেলা হত মাঝে মাঝে, তার মধ্যে শ্যারাডও ছিল। ইন্দিরা দেবী তাঁর স্মৃতি গ্রন্থে লিখেছেন – “হেঁয়ালি নাট্যতে পরে যা বিস্তৃতভাবে লিখেছিলেন সংক্ষেপে ও ঘরোয়াভাবে তা খেলাচ্ছলে অভিনয় করা হত। অর্থাৎ একটা কথাকে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের অভিনয় দেখিয়ে সমস্ত কথাটা দর্শকদের অভিনয় করতে বলা হত –শ্যারাড্। এর একটি ভিন্নরূপ হয়েছে মূকনাট্য বা ডাম্বশ্যারাড্ – অর্থাৎ কেবল অঙ্গভঙ্গি দ্বারাই কথাটি বোঝানো। যথা, দু হাত দিয়ে দু কান চেপে ধরলে তার মানে হল ‘চাপকান’। এই খেলার এত চল এক সময়ে আমাদের মধ্যে হয়েছিল যে, ক্রমাগত পাগলের মত নানা প্রকার অঙ্গ-ভঙ্গি করতে করতে সাধারণ সামাজিক বাক্যালাপ একরকম উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কাজেই এ খেলা বন্ধ করা শ্রেয় মনে হল”।
রবীন্দ্রনাথের মত মহামানবের অতিব্যস্ত জীবনে আলাদাভাবে অবসর বলে কিছু ছিল না। তিনি অবসর খুঁজে নিতেন লেখার মধ্যে, গানের মধ্যে, ছবির মধ্যে। সাধারণ মানুষের জীবনে খেলাধুলা অনেক সময়ই আত্মবিনোদনের অঙ্গ। বিশ্বকবি কিন্তু অন্যকে আনন্দ দেওয়ার জন্য খেলায় মাততেন এবং ছোটদের ক্ষেত্রে সবসময়ই তাঁর লক্ষ্য ছিল খেলার মধ্যে দিয়ে যেন শিশুদের মনের বিকাশ ঘটে, উদারতার সঙ্গে তার সম্যক পরিচিতি ঘটে।
খেলার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড় ও দর্শক উভয়েরই মঙ্গলময় আত্মীক বিকাশই ছিল কবিগুরুর অভীষ্ট। এই আত্মীক বিকাশ যে খেলায় হার-জিতেরও উর্দ্ধে ছিল তাঁর কাছে তা রানী চন্দের স্মৃতিচারণ থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি। – ‘ফুটবল খেলার কথায় একবারের কথা মনে আসছে। ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ হতে ফুটবল টিম এল আশ্রমের ছেলেদের সঙ্গে খেলতে। উৎসাহী অপূর্বদা নিয়ে এসেছেন তাদের। ইনি তখন সে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল। তখনকার দিনে বাইরে হতে আশ্রমে কোনও দল খেলতে এলে সাড়া পড়ে যেত। আশ্রমের ভিতরে খেলার মাঠ, উত্তরায়ণ হতে অনেকটা দূরে। কিন্তু খেলা বেশ টের পাওয়া যায় ঘরে বসেই। এক একটা গোল হতেই সোরগোলের যে রব উঠত তাতেই বোঝা যেত কোন্ পক্ষ জিতল। বলাবাহুল্য, আশ্রম জিতলে হল্লাটা একটু প্রচণ্ডই হতো। সেদিনও খেলা শুরু হল। কিছুক্ষণ খেলতে না – খেলতে হৈ হৈ করে একটা জোর হল্লা উঠল। আশ্রমের যে যেখানে ছিলাম, বুঝলাম, আশ্রম এক গোলে জিতল। খুব খুশি আমরা, গুরুদেবও। খানিক বাদে আর - একটা হল্লা। দু-গোলে জিতল আশ্রম। খানিক বাদে আর - একটা হল্লা, তিন-গোল। গুরুদেব এবার একটু উসখুশ করে উঠলেন। খানিক বাদে আর - একটা হল্লা, আর - একটা , আর একটা, পরপর আটটা হল্লা হল। গুরুদেব রেগে উঠলেন, বললেন, এ হচ্ছে বাড়াবাড়ি। বাইরের ছেলেরা খেলতে এসেছে, হারাতে হয় এক গোল কি দু গোলে হারাও। তা নয়, পর-পর আট গোল। এ দস্তুর মত অসভ্যতা”। এ হলেন আমাদের বিশ্ব মানব দরদী রবীন্দ্রনাথ। খেলাধুলার আনন্দের মাঝেও পরাজিত দলের জন্য এই মনোবেদনার ছবি রবীন্দ্র প্রেমীদের স্মৃতিচারণ ছাড়া আর কোথাও ধরা পড়েনি।
ঋণ: মীরা দেবী – স্মৃতিকথা। ইন্দিরাদেবী – স্মৃতিসম্মুট। অমিতা সেন – শান্তিনিকেতনে আশ্রমকন্যা। রাণীচন্দ – গুরুদেব। মৈত্রেয়ী দেবী – মংপুতে রবীন্দ্রনাথ।
0 comments