গল্প প্রতিযোগিতা : থ্রিলারের থ্রিল
গল্পের নাম : দুই কাহন
কলমে : সিদ্ধার্থ পাল
বকুলদি আসছে না ক’দিন। রান্না কিছুই নেই ফ্রিজে। কালকে ভাত তরকারি অতিরিক্ত রয়ে গেছিল। কিন্তু টিফিন-বক্স খুলে গন্ধ শুঁকে রেখে দিল তিতির। টকে গেছে। ফ্রিজটা ঠিক মতন কাজ করছে না। এক গামলা দুধ নষ্ট হয়েছে দু’দিন আগে। তবে গরম যা পড়েছে, ফ্রিজ বেচারা কিই বা করবে। সময়, রাত পৌনে বারোটা। তিতিরের আলসেমি লাগল ঘড়ি দেখে। ঠিক করল, ম্যাগি দিয়ে আজকের ডিনারটা সেরে নেবে। সেইমতন রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াচ্ছিল, তখনই মোবাইল বেজে উঠল। অচেনা নম্বর। উটকো উপদ্রব হবে খুব সম্ভবত। মরুকগে যাক। ও ফোন রেখে দিল ডাইনিং টেবিলে।
তিতির দু’মিনিটের বেশি সময় নিয়েই ম্যাগি বানাল সসপ্যানে। ও’দিকে কাঠের ওপর মুঠোফোন ক্রমাগত ভাইব্রেশন করে যাচ্ছে। কেউ জরুরী প্রয়োজনে বারবার ওকে খুঁজছে। তিতির সাম্ভাব্য কলার-দের অনুমান করার চেষ্টা করল। রাজীবদা নয়, কারণ পুরনো অফিসের পাট চুকেবুকে গেছে অনেকদিন। বাড়িতেও সে তেজ্যকন্যা। তাহলে হয় নতুন চাকরীর আহ্বান অথবা বিয়ে। নওক্রি এবং শাদি, দুটো ডট কমেই পার্সোনাল নম্বর দেওয়া আছে। কিন্তু এত রাতে?
ADVERTISEMENT
“হ্যালো! হু ইজ দিস?”
তিতির প্রশ্নটা করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল। ফোনের ওপারে কেউ একজন আছে। নড়াচড়ার শব্দ আসছে অথচ কথা বলছে না। তিতির বারদুয়েক “হ্যালো” বলার পরে ফোন কাটতে যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তে ও’পাশ থেকে ঘড়ঘড়ে পুরুষ কণ্ঠে কেউ বলল, “হ্যালো, মিতা?”
“রঙ নাম্বার।“
শাল্লা, মাঝ রাত্তিরে কে আবার মিতা-কে খুঁজছে। মোবাইল রেখে ম্যাগির ঝোলে চুমুক দিয়ে একচোট হেসে নিল তিতির। লোকটার গলা শুনেই মনে হয় নেশারু।
“গড সেভ বেচারি মিতা… খ্যাঁক-খ্যাঁক!”
হাসি শেষ হতেই খিদেটাও দুম করে হারিয়ে গেল। উদ্ভট শুঁটকো গন্ধ আসছে নুডল্সের পাত্র থেকে। খাওয়া যাবে না। যদিও তাতে ক্ষতি বিশেষ নেই। কাঁচের বাহারি চামচটা বাটিতে অর্ধেক ডুবিয়ে গোটা চারেক ছবি তুলে নিল। সঠিক ফিল্টার লাগিয়ে ইন্সটা-তে দিলে এক বালতি লাইক চলে আসবে। ওতে পেট না ভরলেও মন ভরে। কারিকুরি শুরু করতে না করতেই বোঁ-বোঁ আওয়াজে নতুন মেসেজ ঢুকল।
“মিতা, ম্যাগির প্যাকেটগুলো পুরনো। এবারে ফেলে দাও।“
অবাক হল তিতির। মিলিয়ে দেখল, লাস্ট ইনকামিং কল আর এই মেসেজ প্রেরকের নম্বর আলাদা। অথচ দুজনেই মিতা-কে সম্ভাষণ করছে। একই ব্যক্তি সিম কার্ড বদলে চালাকি করছে নির্ঘাত। কিন্তু ম্যাগির বিষয়ে জানল কীভাবে? দ্রুত চারিদিকে তাকাল ও। বেডরুমে এসি লাগানো তাই ঘরের জানালা সব বন্ধই রয়েছে। সুতরাং বাইরে থেকে ওর ওপরে নজর রাখা সম্ভব নয়। পরিচিত কেউ কৌতুক করছে না ত’? আবীরের সঙ্গে ব্রেক-আপটা সমঝোতা করে হয়নি। ফোন করে শাসিয়েছিল সে কবার। হয়তো শয়তানিটা ওরই।
চোখের পাতা ভারী হয়ে আসলেও তিতির রিমোট নিয়ে সোফায় বসল। মুভি সার্ফিং অনেকসময় ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসির কাজ করে। কিন্তু আজ টিভি অন হতেই ঘুম চটে গেল। নেটফ্লিক্সের লগ-ইন স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে প্রোফাইল নেম “মিতা”।
তিতিরের কাছে ব্যাপারটা আর ইয়ার্কি নয়। কেউ ওর ঘরে ঢুকে টিভ-র সেটিং বদলে দিয়েছে ভাবলেই গা শিরশিরিয়ে উঠছে। কে জানে আর কী করে গেছে বদমাশটা। গোপন ক্যামেরা লাগায়নি ত’ কোথাও? হঠাৎ নিজেকে ভীষণ অরক্ষিত মনে হল তিতিরের। সোফা ছেড়ে লাফিয়ে উঠে পাগলের মতন খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করল দু’কামরার ঘরটায়। ঘুলঘুলি, বইয়ের তাক, টিউব লাইটের পিছন থেকে শুরু করে সিলিং ফ্যান, এসি, জানালা, দরজা কিছুই বাদ রাখল না সে। আধঘণ্টা পরে ঘর্মাক্ত কলেবরে তিতির এসে বসল ডাইনিং টেবিলের পাশের চেয়ারে। সন্দেহজনক কিচ্ছু নেই। শুধু মোবাইলে নতুন টেক্সট বলছে, “কিছু খুঁজছ? হাঁপিয়ে গেলে বড্ড।“
“হু দ্য হেল আর ইউ?” ক্ষিপ্র হাতে টাইপ করল তিতির। “এনাফ অফ দিস জোক!”
বার্তা পৌঁছালো না। ফোন নম্বরটি ইনভ্যালিড। ও বুঝল, এগুলো সফটওয়্যার জেনারেটেড ফেক আউটগোয়িং নম্বর। আগেভাগেই টাইম দিয়ে শিডিউল করে রাখা যায় কখন মেসেজ যাবে। পাল্টা যোগাযোগ করার চেষ্টা করে লাভ হবে না। অ্যাপটা ওর নিজের মুঠোফোনেও রয়েছে। মনে আছে ওর, ম্যানেজার রাজীবদা একসময় কি টেনশনেই না থাকত অজানা প্রেরকের ভয় পাওয়ানো মেসেজের ঠেলায়। কীভাবে যেন লোকটা আন্দাজ করেছিল ষড়যন্ত্রের পিছনে তিতিরই রয়েছে। চাকরীটা গেল সেই কারণেই। রাজীবদা আজ বদলা নিচ্ছে নাকি?
মাথায় দুশ্চিন্তার বোঝা নিয়ে মোবাইল হাতে শুতে গেল তিতির। খেয়াল নেই কখন হোয়াটস্অ্যাপের নোটিফিকেশন মিউট করে রেখেছিল। ইনবক্স খুলতেই রীতিমত আশ্চর্য হয়ে গেল। প্রচুর নতুন অপঠিত মেসেজ পড়ে আছে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলে ওকে হঠাৎ কী বলতে চাইছে? কোনও খারাপ খবর নেই ত’? দুরুদুরু বুকে শুচি-র টেক্সট খুলল তিতির। ও লিখেছে, “কনগ্রাচুলেশন্স! লাইফ চেঞ্জড আর সাথে নামও? আমায় জানালে কি এমন দোষ হত?”
হতভম্ব হয়ে বসে রইল তিতির মিনিট খানেক। তারপরে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে যেতেই বুঝল, অ্যাকাউন্ট হ্যাক্ড হয়েছে। ডিপি-তে এক নব্য বিবাহিত দম্পতির ছবি। মেয়েটা যে তিতির নিজে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। লাইফ ইভেন্টে দেখাচ্ছে যে আজই তার বিয়ে হয়েছে রক্তিমের সঙ্গে। রক্তিম গোস্বামী, বাড়িওয়ালা রূপক বাবুর ছেলে। ছিঃ, কি কেলেঙ্কারি কাণ্ড! লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার জোগাড়। ভাড়া বাড়ির ঠাঁইটাও যাবে এইবার।
নিজের প্রোফাইল খুঁটিয়ে দেখল তিতির। এখানেও মিতা। অন্তত বায়ো-তে সেই নামই রয়েছে। ছবিটা? ধোঁকা খেয়ে গেছিল সে প্রথমে। দুটো আলাদা ছবি নিখুঁত ভাবে জোড়া ফটোশপে। কোয়েলের বিয়েতে মেরুন বেনারসি পরেছিল ও। পরে সে’দিনের তোলা একলা ফটোটা দিয়েই শাদি ডট কমে খুলেছিল নতুন অ্যাকাউন্ট। ওখান থেকেই ঝেড়েছে নিশ্চয়ই। রক্তিমের ছবিটা সম্ভবত পুরনো। ও ফেসবুকে নেই।
“আবীর, ইউ ব্লাডি স্কাউন্ড্রেল…”
রাগে গরগর করতে-করতে তিতিরের মনে পড়ল ফ্ল্যাটের একটা ডুপ্লিকেট চাবি আবীরের কাছে ছিল। ফেরত নেওয়া হয়েছে কি? ওকে না পাওয়ার জ্বালা জুড়োতে ছেলেটা এমন নিচে নামবে সে কল্পনাও করতে পারেনি। রক্তিমকেও এর মধ্যে টেনে এনেছে। তিতির ঠিক করল, এর শেষ দেখে ছাড়বে। সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে আজই এফআইআর করবে। থানার নম্বর ওর কাছে নেই। বাড়িওয়ালা রূপক বাবু-র কাছে হয়তো থাকবে। তবে তিনি ঘণ্টা খানেক আগে অনেক লোকজন সাথে নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন। ফিরে এসেছেন কি? মধ্যরাত্রে বেল বাজালে আবার রেগে যাবেন না ত’?
বেল বাজল, তবে সেটা তিতিরের দরজায়। ও চুপচাপ দাঁড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত ভাবল, খুলবে কিনা। আই-হোল থাকলে উঁকি মেরে দেখা যেত কে এসেছে। হতে পারে রূপক বাবু তিতিরের খোঁজ নিতে এসেছেন। সাহস করে সে লক ঘুরিয়ে দরজাটা খুলেই ফেলল।
“একি! রক্তিম তুমি?”
বিহ্বল তিতির-কে পাশে রেখে ছেলেটা ঘরের ভিতরে ঢুকল। ভাগ্যিস রক্তিম সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। থাকলে বিড়ম্বনার একশেষ হত। কিন্তু ওর আচার আচরণ অত্যন্ত অদ্ভুত লাগছে তিতিরের। মাথা ঝুঁকিয়ে পা টেনে-টেনে হাঁটছে। প্রতিটা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে ঘড়ঘড় আওয়াজ আসছে বুকের ভিতর থেকে।
একটা চেয়ারে বসে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞাসা করল রক্তিম, “ভয় পেয়েছ তিতির?”
“যাক,” ছোট্ট শ্বাস ছেড়ে বলল তিতির। “তুমি সঠিক নামে ডাকলে। বাকিরা আমার আইডেন্টিটি ঘেঁটে ফেলল।“
“সবাই মিতা বলে ডাকছে বুঝি?”
“যা বলেছ। সব মনে হয় আবীরের বদমায়েশি। তুমি ত’ জানোই…”
“ওর আর দোষ কোথায় বল,” বাক্যালাপের কষ্টে হাঁপিয়ে-হাঁপিয়ে বলল রক্তিম। “আমারই তালগোল পাকিয়ে গেছে কতবার। তারমধ্যে আজকাল ডিজিটাল দুনিয়ায় উদর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ভীষণ সোজা। ফটোশপে মিতা সিদ্ধহস্ত। বললেই ঝট করে নামিয়ে দেবে।“
“আবার মিতা?” রেগে গিয়ে বলল তিতির। “আমার ফেসবুক প্রোফাইল সেই বুঝি হ্যাক করেছে? চেঞ্জ করেছে ডিপি?”
“ওই ডিপি-র ব্যাপারটা বুঝলে আমার আবদার ছিল। তোমায় বলব ভেবেছিলাম, কিন্তু মিতা খবর পেয়ে গেল। অমনি নামিয়ে ফেলল পুরো প্ল্যান। মেয়েটা আসলে তোমায় খুবই ভালোবাসে। শুধু আমার ওপরেই যত রাগ। নাহ্ ভুল বললাম। শুধু আমি নই। আবীর-কেও সহ্য করতে পারে না।“
“রক্তিম, মিতা বলে কেউ নেই। সুতরাং এই নিষ্ঠুর রসিকতা তোমারই মস্তিস্কপ্রসুত। ফোনে মেসেজ পাঠানো, ছবি বদলে দেওয়া, এ’সব করে কী মজা পেলে?” চাপা গলায় জানতে চাইল তিতির। ওর শিরদাঁড়া শক্ত। টুলের ওপরে রাখা সাঁড়াশিটা ডান হাতে তুলে পিছনে লুকিয়ে রেখেছে সে। মাঝরাতে এই ঘরে রক্তিমের আসার কারণ ও জানে না। মনে কু ডাকছে। অনভিপ্রেত ঘটনা কিছু ঘটলে নিজেকে আত্মরক্ষার জন্যে প্রস্তুত রাখাই শ্রেয়।
কিন্তু ওর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে হো হো করে হেসে উঠল রক্তিম। ওর কপালের গভীর ক্ষতটা তিতির এক্ষুনি লক্ষ্য করল। সে’খান দিয়ে ভলকে-ভলকে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। মাংস খুবলে খুলির সাদা হাড়ও দেখা যাচ্ছে। এমন ভয়ানক আঘাত নিয়েও ছেলেটা সহজ ভাবে কথা বলছে কী করে? পাগলের মত হাসছেই বা কেন?
“মিতা এই আছে আবার এই নেই। তুমি, আমি, আমরা কেউ বুঝব কী করে?” হাসির দমক থামিয়ে বিষণ্ণ মুখে বলল রক্তিম। “কাছে চেয়েছিলাম তোমায়। তাতেও এমন গোলমাল বাঁধালে যে সব ভোগে গেল।“
“কেন?” শুকনো গলায় জিজ্ঞাসা করল তিতির।
“ঐযে, বাবা আমায় নিয়ে গেল হাসপাতালে। ফিরতে পারলাম কই সে’খান থেকে।“
“ওহ্,” অস্ফুটে বলল তিতির। বুঝল, এই জন্যেই তাহলে ভিড় জমায়েত হয়েছিল বাড়িতে। কে যেন ছাদ থেকে পড়ে গেছিল কলতলায়। এতক্ষণ কেন মনে পড়ছিল না? মাঝে মধ্যে নিজেকে বুঝতে পারে না তিতির। সহজ স্মৃতিগুলো খাদের ভিতরে হারিয়ে যায় পলকের মধ্যে। অনেক খুঁজেও তাদের সামনে টেনে আনতে পারে না সে।
“তোমার দোষ নেই তিতির,” আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পায়ে-পায়ে এগিয়ে এল রক্তিম। ধরা গলায় বলল, “মনে পড়ছে ছাদের সিঁড়ি, ভাঙ্গা পাঁচিল? তোমায় হয়তো বেশিই জোর করতে গেছিলাম আমি। বুঝিনি কখন মিতা চলে এসেছিল। খুব রেগে গেল সে। তারপরে …”
নিশ্চয়ই কোনও ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখছে তিতির। তাই জেগে ওঠার আশায় রক্তিমের কথা শেষ না হতেই প্রাণপণে হাত চালাল ও। সাঁড়াশিটা হাত ফসকে সশব্দে ছিটকে পড়ল মেঝেতে। চোখের সামনে ধোঁয়ার মতন মিলিয়ে গেল রক্তিমের চেহারাটা। শূন্য ঘরে কেউ কোথাও নেই। দরজা যেমন বন্ধ ছিল তেমনই রয়েছে। শুধু একটা অট্টহাসি ওর অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে মিশে গেল অনন্তের মাঝে। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ছটফট করতে করতে বিছানায় আছড়ে পড়ল তিতির।
দেওয়াল ঘড়িতে তিনটে বাজার অ্যালার্মে ঘুম ভাঙ্গল মিতার। দেখল ঘরদোরের অবস্থা চূড়ান্ত অগোছালো। আলমারি, জামাকাপড়, বিছানা, বালিশ সব ওলটপালট। মেঝেয় চলটা উঠিয়ে পড়ে আছে সাঁড়াশি। টেবিলে ঠাণ্ডা ম্যাগির বাটিতে পিঁপড়ের ভিড়। দীর্ঘশ্বাস ফেলল মিতা। তিতির মেয়েটা বরাবরই উশৃঙ্খল। বন্ধুবান্ধবের হট্টগোলে একাকীত্বের অমৃত পেল কই? বারবার বিপদে পড়ে আর মিতা-কে আসতে হয় উদ্ধারে। তাও মানতে চায় না যে সে আছে। ফেসবুকের মজাটা তাই করতেই হত। যাইহোক, বিচ্ছিরি ফিনাইলের গন্ধটা আবার কোত্থেকে আসছে? হাসপাতালে এমন স্মেল পাওয়া যায়। কলতলায় শ্যাওলা পরিষ্কার করে ফিনাইল ছড়িয়েছিলেন রূপক বাবু সকালে। সেটার গন্ধও হতে পারে। রক্তিম ওখানেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল কিনা। জামাকাপড়ে রক্ত আর ফিনাইল লেগে জগাখিচুড়ি কারবার। এতোটা বাড়াবাড়ি চায়নি মিতা। ছেলেটা এমন ভীতু যে সামান্য চোখ বড় করতেই ভাঙ্গা পাঁচিল পেরিয়ে সোজা নিচে পড়ল। যাকগে, ভেবে লাভ নেই। বাড়িঘর গুছিয়ে আবীর-কে নিয়েও প্ল্যান করতে হবে। ও খুব জ্বালাচ্ছে তিতির-কে আজকাল।।
0 comments