বিশ্বরূপ মিত্রের কলমে থ্রিলার গল্প :  অনন্ত পথের যাত্রী

বিশ্বরূপ মিত্রের কলমে থ্রিলার গল্প : অনন্ত পথের যাত্রী

গল্প প্রতিযোগিতা : থ্রিলারের থ্রিল
গল্পের নাম : অনন্ত পথের যাত্রী
কলমে : বিশ্বরূপ মিত্র

 
বিকাশ বার বার হাত ঘড়িটা দেখছে আর নিজের মনেই বকবক করছে একটু টেনশনে আছে দেখে মনে হচ্ছে।আর কুড়ি মিনিট বাকি এখনো হতচ্ছাড়া টার
দেখা নেই,ট্রেন টা না মিস হয়ে যায়!
বিকাশ সামন্ত মুম্বাই আই আইটি র ছাত্র অপেক্ষা করছে আরেক বন্ধু সুমন্ত বিশ্বাসের জন্য ।সেমিস্টার শেষ এবার বাড়ি ফেরার পালা একসাথে কলকাতায় ফিরবে বলে টিকিট বুক করেছে,ওদিকে স্টেশনে সুমিতা আর রিমলি ও অপেক্ষা করছে ওদের জন্য।এর মধ্যে সুমিতা অলরেডি দু বার ফোন করেছে ট্রেন প্লাটফর্মে ঢুকে গেছে কিন্তু এখনো সুমন্তর দেখা নেই।
না আর ওয়েট করা চলবে না, বিকাশ বেরোতে যাবে এমন সময় ট্যাক্সির জোরালো হর্ন বাজল আর সেইসঙ্গে সুমন্ত মুখ বাড়িয়ে হাঁকল, আয় চলে আয়, আমি এসে গেছি।
ট্যাক্সির মধ্যে একচোট হল ওদের মধ্যে আর বাকি টা স্টেশনে গিয়ে ,যাইহোক অবশেষে নিরাপদে ট্রেন টা ওরা সময়মতো ধরতে পারল ।ট্রেনে ওঠা মাত্রই ট্রেনটা ছেড়ে দিল।লোকমান্য তিলক টার্মিনাল থেকে ট্রেন ছুটে চলল কলকাতার দিকে।
 
প্রায় ঘন্টা দুয়েক হল ট্রেন ছেড়েছে ,এখন রাত দশটা বাজে।ট্রেনের কামরার লোকজন অধিকাংশই রাতের খাওয়া সেরে শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিকাশ একবার জানলার কাঁচ তুলে দেখল বাইরে তখনো ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে,বিকেল থেকেই বৃষ্টি নেমেছে আজ রাতে মনে হচ্ছে বৃষ্টি আর থামবে না।আরও কিছুক্ষণ গল্পগুজব করল ওরা তারপর লাইট নিভিয়ে যে যার বাঙ্কে শুয়ে পড়ল,বেশ শীত শীত করছে কম্বল চাপা দিয়ে শোয়ার কিছুক্ষণ পরেই সবার ঘুম এসে গেল।রাতের অন্ধকারে ট্রেন ছুটে চলেছে ,কতক্ষন ওরা ঘুমিয়ে ছিল জানে না হঠাৎ একটা প্রবল ঝাঁকুনিতে সবার ঘুম ভেঙ্গে গেল।আপার বাংক থেকে বিকাশ আর সুমন্ত ছিটকে নীচে পরে গেল।
উফ মা বলে একটা অস্ফুট চিৎকার বেরিয়ে এল ওদের মুখ থেকে।ওদিকে কামরার বাকি লোকগুলো র মোটামুটি একই অবস্থা, কমবেশি সকলেই চোট পেয়েছে।ব্যাপার কি!প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেল কেন!বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল কিন্তু ট্রেন আর চলছে না, কামরার বাকি যাত্রীদের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তারা আগের মতো ই যে যার সিটে আবার শুয়ে পরেছে যেন কিছুই হয়নি।আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল ওরা ,না ট্রেন ছাড়ার কোনো লক্ষণ নেই,বাইরে থেকে মানুষজনের কোনো আওয়াজ ও শোনা যাচ্ছে না হলো টা কি!ব্যাপার টা দেখার জন্য ওরা চারজন ট্রেনের কামরা থেকে বাইরে বেরিয়ে এল।
বাইরে সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে, সুমিতা ঘড়ি দেখল ,পাঁচটা সতেরো।বৃষ্টি টা ধরে গেছে,কিন্তু বাইরে আসতেই ওরা চোখে সর্ষে ফুল দেখল ।রিমলি তো ভয়ে চিৎকার করে উঠল,ভয় ওরা কমবেশি সকলেই পেয়েছে চোখের সামনে ওদের ট্রেন টা লাইনচ্যুত হয়ে গেছে ওদের কামরা সহ বাকি তিনটে কামরা একেবারে হেলে পড়েছে।ড্রাইভার ভীষণরকম জখম হয়েছে, বেঁচে আছে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
সর্বনাশ,এবার কি হবে!সুমিতার গলায় একরাশ উৎকণ্ঠা প্রকাশ পাচ্ছে।
কয়েক মিনিট কেউ কোনো কথা বলতে পারল না, অবশেষে নীরবতা ভেঙে বিকাশ বলল,এখুনি স্টেশন মাস্টার কে খবর দিতে হবে ।কাম কুইক।ওই দেখ দূরে একটা প্লাটফর্ম দেখা যাচ্ছে।
সকলে হন্তদন্ত হয়ে স্টেশন মাস্টারের ঘরের দিকে ছুটল ,কিন্তু এ কি!ঘর যে ফাঁকা !চারপাশে কোথাও কোনো লোকজন নেই এতবড় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে আর কোনো লোক নেই আশেপাশে কি অদ্ভুত ব্যাপার।কিন্তু ভাববার সময় এটা নয়,যে করেই হোক লোকজন জমায়েত করে তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা করতে হবে।সেইমত ওরা প্লাটফর্ম ছাড়িয়ে টাউনের দিকে এগিয়ে চলল।
সকাল হয়ে গেছে কিন্তু এখনো রাস্তার ধারে দোকান পাট সব বন্ধ,আশেপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু লোক কে তো জানাতেই হবে ।কিছুক্ষণ চলার পর কাঁচা রাস্তা ছেড়ে ওরা পাকা রাস্তায় উঠল, ঐ তো সামনে বেশ কিছু বাড়ি দেখা যাচ্ছে, ওরা সেই দিকে এগিয়ে গেল।
দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অফিস কোয়ার্টার হবে বাড়িগুলো একই প্যাটার্নের তৈরি রংটাও সবকটা বাড়ির এক।কিন্তু সামনে গিয়ে ওরা একটু হতাশ হল,প্রথম বাড়ির গেট বন্ধ আশেপাশে ও কেউ নেই।সামনের বাড়িগুলোর প্রত্যেকটার একই অবস্থা।
এখন কি করা যাবে?রিমলি বলল।
গেট ধরে ঝাঁকা আর দেখ কলিং বেল আছে কি না ,থাকলে জোরে জোরে বাজা যাতে এদের ঘুমটা ভাঙে,সুমন্ত উত্তর দিল।
সেইমত ওরা গেট ধরে ঝাঁকাল, জোরে জোরে কলিং বেল বাজাল কিন্তু লাভ হল না কেউ কোনো রেসপন্স করল না।প্রত্যেকটা বাড়ির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটল।এদিকে ওদের তখন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে গেটের ওপর এলোপাতাড়ি লাথি চালালো কিন্তু সবই বৃথা।
কি ব্যাপার বলত!লোকগুলো কি কালা নাকি ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়েছে কাল রাতে এত হাঁকাহাকি তেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না?বিকাশ বলল,তার কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠেছে।
আমার ব্যাপার টা ভালো ঠেকছে না,কিছু একটা গন্ডগোল আছে মনে হচ্ছে।চল ফিরে যাই,সুমিতা বলল।
কোথায় ফিরে যাবি?এতটা রাস্তা তো হেঁটে এলাম কাউকে কি দেখতে পেলি এখনো পর্যন্ত!না ফিরে গেলে চলবে না আরেকটু এগিয়ে দেখি তারপর না হয় দেখা যাবে।চল আর দেরি করলে চলবে না, কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে সুমন্ত সামনের দিকে এগিয়ে গেল।বাকিরাও ওকে অনুসরণ করল।
 
 
 
 
বেশ কিছুদূর এগিয়ে চলে এসেছে ওরা,এখানে রাস্তাঘাট,দুপাশের বাড়ি সবকিছু র মধ্যে একটা মিল রয়েছে কিন্তু মিল টা ওরা বুঝতে পারছে না।
 সুমিতা হয়ত কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে, সে পিছনের দিকে তাকিয়ে ওদের দৃষ্টি আকর্ষন করল।ভালো করে দেখ সামনের রাস্তা বাড়িঘর আর তার মাঝের লেন গুলো র দিকে তাকা সবকটা একই রকম দেখতে,এ যেন একটা গোলকধাঁধা।আমরা কোন রাস্তা দিয়ে এখানে এসেছি তা বলতে পারবি?
সত্যিই একটা গোলকধাঁধায় পরে গেছে ওরা,প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়ে একই রকম দেখতে বাড়ি,গলিগুলো সেখানে এঁকেবেঁকে দূরে চলে গেছে কোন পথে ওরা এসেছে নিজেরাই বুঝতে পারছে না।এতটা পথ  পেরিয়ে এসেও একটা জীবন্ত প্রাণী এখনো নজরে আসেনি।কিছু একটা গণ্ডগোল তো আছেই কিন্তু সেটা যে কি তা কেউ বুঝতে পারছে না।
 
বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা রেস্তোরাঁ নজরে এল,ভিতরে আলো জ্বলছে।কালো জানালার মধ্যে দিয়ে ও কি দেখা যাচ্ছে!হ্যাঁ মানুষ!ঠিকই দেখেছে ওরা।আর কালবিলম্ব নয় সকলে ছুটে গিয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল।ভিতরে সোফাতে মানুষজন বসে আছে সামনে টেবিলে কিছু ড্রিঙ্কস ও খাবার রয়েছে কিন্তু লোকগুলোকে কেমন যেন অস্বাভাবিক লাগছে।ঘরের মধ্যে একটা ভ্যাপসা গন্ধ ছেয়ে আছে।এটা একটা হল ঘরের মতো, অনেকগুলো টেবিল রয়েছে যদিও সব টেবিলে লোক নেই।
বিকাশ ধীরে ধীরে সামনের সোফার লোকটার দিকে এগিয়ে গেল,কিন্তু সামনে গিয়ে যা দেখল তাতে তার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শীতল স্রোত দ্রুত বয়ে গেল।সামনের ব্যাক্তিটি মৃত,তার দেহ বরফের মতো ঠান্ডা।মুখটা ফ্যাকাশে আর ঘাড়ের কাছে চাপ চাপ রক্ত জমে আছে।ততক্ষণে বাকিরাও সেই জিনিসটা লক্ষ্য করেছে,ঘরের মধ্যে উপস্থিত সকলেই মৃত,প্রত্যেকের মুখ ফ্যাকাশে আর ঘাড়ের কাছে রক্ত জমে গেছে।
আর একমুহূর্ত অপেক্ষা নয়, ঝড়ের গতিতে ওরা সেখান থেকে বেরিয়ে ছুটতে লাগল,কিন্তু কোন পথে তারা ছুটছে তাই তারা জানে না।এ গলি ও গলি দিয়ে ছুটে প্রত্যেকবার তারা একই রাস্তায় এসে পড়ে,এ যেন গোলকধাঁধায় আটকে পড়েছে তারা,এখান থেকে মুক্তির উপায় কি নেই?
বারকয়েক ছোটাছুটির পর ক্লান্ত অবসন্ন দেহে রাস্তার ধারে ফুটপাতের ওপর ওরা বসে পড়ল।মাথার ওপর চড়া রোদ, সকাল থেকে পেটে একটা দানাও পড়েনি,এমনকি একফোঁটা জল ও নয়।সুমিতা একবার ঘড়ির দিকে তাকাল কিন্তু কি আশ্চর্য ঘড়ির কাঁটা সেই পাঁচটা সতেরো তেই থেমে আছে,বাকিদের ঘড়িতেও একই সময়ে কাঁটা স্থির হয়ে গেছে।
অদ্ভুত ব্যাপার!এখানে সময় ও থেকে গেছে।কি যে হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না ওরা।কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রেস্তোরাঁর লোকগুলোর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু এতগুলো লোক একসাথে মরল কীভাবে?
এপর্যন্ত যতগুলো বাড়িতে ওরা নক করেছে কোথাও কারোর সাড়া পায় নি এমনকি রাস্তায় এখনো অবধি একটা মানুষ বা কোনো জীবন্ত প্রাণীর দেখা পায়নি।এই শহরের কি সকলেই তবে মৃত!সবার ই কি ওই লোকগুলোর মতো পরিণতি হয়েছে!এই চিন্তা টা ওদের সকলের মনেই ঘুরছে আর সেটা ভাবামাত্রই একটা আতঙ্ক তাদের মধ্যে জমাট বাঁধতে শুরু করেছে।
অনেকক্ষণ ধরে সুমন্তর কি একটা বিষয়ে খটকা লাগছিল হঠাৎ সেটা যেন ওর চোখের সামনে ধরা দিল।
আচ্ছা বিকাশ,তুই যে লোকটার কাছে এগিয়ে গেলি তাকে চিনতে পেরেছিস?লোকটাকে আমাদের কামরাতে কাল রাতে দেখেছিলাম না?মনে করে দেখ ওই লোকটাই কাল ফোনে জোরে জোরে ঝগড়া করছিল না?আর তার পাশের লোকটা সে তো কাল কামরার মধ্যে সিগারেট খাচ্ছিল সেই নিয়ে ঝামেলা হল তাই নয় কি?সুমন্ত কাঁপা কাঁপা স্বরে জিজ্ঞেস করল।
দেখেছে ওরা সকলেই কিন্তু ব্যাপারগুলো তখন তাদের নজরে আসেনি।সুমন্তর কথায় সেগুলো ওদের চোখের সামনে ভেসে উঠল,সুমন্ত ঠিকই বলেছে।আতঙ্কিত চোখে সকলে পরস্পরের দিকে একবার তাকাল,তারপর সত্যি টা যাচাই করার জন্য সেই রেস্তোরাঁর দিকে এগিয়ে গেল।
রেস্তোরাঁয় তখনও আলো জ্বলছে,ওদের সকলের হৃদস্পন্দন দ্রুত ওঠানামা করছে।এক পা এক পা করে সামনে এগিয়ে দরজার হাতলে চাপ দিল বিকাশ,ক্যাচ করে একটা বিশ্রী শব্দে দরজাটা খুলে গেল।ভেতরে সেই পরিচিত দৃশ্য ,সোফায় লোকগুলো নিশ্চল হয়ে বসে আছে।ভেতরটা কিন্তু বেশ ঠান্ডা।ওরা খুব সন্তর্পণে প্রথম লোকটার দিকে এগিয়ে গেল ,হ্যাঁ এ সেই লোক সুমন্তর অনুমান সঠিক।ওই যে পাশের লোকটা ,কি আশ্চর্য তার শরীর নিশ্চল হলেও হাতে একটা জ্বলন্ত সিগারেট দেখা যাচ্ছে যেন সদ্য ধরানো হয়েছে সেটা।
ভয়ে ওদের সারা শরীর ঠকঠক করে কাঁপছে,ওদের চোখ তখন বাকি টেবিলগুলোর ওপরে গিয়ে পড়েছে, হ্যাঁ ওদের সন্দেহ ই সত্যি ট্রেনের কামরার প্রত্যেকটা লোক টেবিলে নিশ্চল হয়ে বসে আছে।দেখতে দেখতে শেষের টেবিলটাতে ওদের চোখ আটকে গেল, সেখানে ও চারজন বসে আছে তাদের ও একই পরিণতি কিন্তু সেই চারজন আর অন্য কেউ নয় তারা নিজেরাই!
প্রচন্ড ভয়ে তারা চিৎকার করতে গেল কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হল না।এদিকে মুহূর্তের মধ্যে ঘটে গেছে এক ঘটনা,আশেপাশের সকল মৃত ব্যক্তির দেহে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে কিন্তু না তারা কেউ আর জীবিত নয় ,তাদের শরীর রক্ত শুন্য, চোখগুলো ঘোলাটে।তারা সকলে টেবিল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে।সহসা সেই লোকগুলো তাদের দেখে হাসতে লাগলো, উফ কি বীভৎস সেই হাসি।হলঘরের দেওয়ালে সেই হাসি প্রতিধ্বনিত হয়ে এক অপার্থিব পরিবেশ সৃষ্টি করছে,ওদের কানে তালা লেগে যাচ্ছে দুহাত দিয়ে ওরা কান চেপে ধরল।তারপর একসময় হাসি থামলে সামনের লোকটা ওদের উদ্দেশ্যে বলল,ওয়েলকাম টু আওয়ার টাউন,এখানে যে একবার আসে সে আর কখনো ফিরে যেতে পারে না।কাল রাতের ট্রেনটা আমাদের সকলকে এই মৃত্যুপুরীতে নিয়ে এসেছে,আমরা সকলে অনন্ত পথের যাত্রী,হা,হা,হা---।একটা বরফ শীতল বাতাস ওদের শরীর স্পর্শ করে গেল।
দরদর করে ঘামছে ওরা,ছুটে পালাতে ইচ্ছা করছে কিন্তু শরীর যেন পাথরের মতো নিরেট হয়ে গেছে।ওদিকে তারা এগিয়ে আসছে ওদের আলিঙ্গন করার জন্য, মৃত্যুর অমোঘ আলিঙ্গন।বুকের বাঁ দিকে একটা প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব করল ওরা তারপর চোখের সামনে ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে এল।
-----------------------------------------------------------------------------------------
হঠাৎ একটা প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে বিকাশের ঘুম ভেঙে গেল, তার মাথায় বড্ড লেগেছে ।উফ কি ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছিল সে কিন্তু কামরায় এত শোরগোল কিসের?একটু উঁকি মেরে দেখতে গিয়ে তার শরীরটা কেঁপে উঠল ,আশেপাশে সবাই প্রচন্ডভাবে আহত হয়েছে শুধু সেই একমাত্র অক্ষত।তাহলে  এতক্ষণ যা দেখল সেটা কি স্বপ্ন নয়???
ADVERTISEMENT

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait