ঠাকুর ,আমি বড্ড অভিমানী,
অতল,গভীর ,গহীন মনের তল!
তুমি আমার দুচোখ ভরে এসো,
তুমিই আমার স্বপ্ন দেখার ছল।
শেষবিকেলে গীতবিতান ছুঁয়ে,
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা মাসে—
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা
কেউ ছিল না আমার আশেপাশে ।
তুমি তখন ভরাট মনের কোণে
চুপিসারে বললে,‘কৃষ্ণকলি!’
আমি একাই পদ্মানদী হয়ে
ভেসেই গেলাম,আর কী তোমায় বলি?
তোমার জন্য ব্যথার কোমল দিনে,
ঝড়ের রাতে,দুয়ার ভাঙা ঘরে
মনে মনে সুর জুটে যায় ,তাই
কষ্ট পেলে তোমায় মনে পড়ে।
আমি এখন সোনার তরীর খোঁজে,
পাগলপারা উদাসী এক ফুল!
জীবন নদীর উচ্ছ্বসিত স্রোতে—
আসবে জানি,পরম প্রিয় ভুল।
ভুল করেছি তোমায় ভালোবেসে ,
যুগান্তরের মহামানব তুমি,
জাতিস্মরের মতোন ছুঁয়ে আছি—
কবি,তোমার বিরাট মনোভূমি।
তোমার শব্দ রত্মমালার মতো
কন্ঠে আমার ভাষার সাহস দিক!
রবিঠাকুর সূর্য হয়ে থেকো!
বর্ষা ভারি,ঝাপসা চারিদিক!
0 comments