বিনোদন ডেস্ক: ২০০৫ সালের ব্লকবাস্টার ছিল ‘বান্টি অউর বাবলি’। তার সিক্যুয়েল নিয়ে প্রত্যাশা প্রচুর ছিল। ২০০৫ সালের ছবিতে ‘বাবলি’ রানি মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘বান্টি’ হিসেবে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। আর পুলিশ অফিসার দশরথের ভূমিকায় ছিলেন খোদ বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। আর এবার আসছে আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত ‘বান্টি অউর বাবলি ২’। দু’জনের কেউই নতুন ছবিতে নেই। অভিষেকের বদলে বান্টির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সইফ আলি খান । পুলিশ অফিসার জটায়ুর চরিত্রে রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি । আর এই প্রজন্মের বান্টি-বাবলি হয়েছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও শর্বরী ওয়াঘ।
রানি মুখোপাধ্যায় এমনিতে ভাল অভিনেত্রী। কিন্তু বাবলির চরিত্রে যেন জোর করে কমেডির ছোঁয়া আনার চেষ্টা করেছেন। সইফ আলি খানেরও অবস্থা তাই। রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে দু’জনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে এই সিনেমায় রোম্যান্টিক দৃশ্যেও যেন দু’জন বড্ড দুর্বল। ‘গাল্লি বয়’ ছবিতে এম সি শের হিসেবে বেশ ভাল অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধান্ত। বড় হাউসের তারকাদের ভিড়ে তিনি যেন কোথাও হারিয়ে গেলেন। শর্বরী ওয়াঘের অভিনয় অবশ্য ভাল লেগেছে। সঠিক সুযোগ পেলে এবং তার সদ্ব্যবহার করতে পারলে লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি হতেই পারেন। আখেরে একটি কথাই ‘বান্টি অউর বাবলি ২’র ক্ষেত্রে বলা যায়। পুরনো মদ নতুন বোতলে পরিবেশন করার ফর্মুলায় সব সিনেমা উপভোগ্য হয় না। পুরনো বান্টি ও বাবলির নাম ব্যবহার করে একের পর এক চুরি করতে থাকে কুণাল (সিদ্ধান্ত) ও সোনিয়া (শর্বরী)। জটায়ুর ইন্ধনে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে আবার পুরনো ফর্মে ফেরে রাকেশ ও ভিম্মি। এর বেশি কিছু আর কাহিনিতে নেই। তাও যদি সঠিকভাবে সাজানো যেত, কিছুটা হয়তো উপভোগ্য হত। পরিচালক বরুণ শর্মা যেন শুধু জিগ-স পাজলের সমাধান করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। তাতে সিনেমারই ক্ষতি হয়েছে।
ADVERTISEMENT
0 comments