বিনোদন ডেস্ক: রহস্যের গল্প নিয়ে এই সিরিজ, সেহেতু পুরো গল্পটা বলে দেওয়া একেবারেই অনুচিত। তবে একটু আঁচ তো দেওয়া যেতেই পারে। প্রথম থেকেই দর্শকের নজর কেড়ে নেবে হইচইয়ের নতুন বাংলা সিরিজ ‘ইন্দু’। সাদা-কালো ফ্রেমে রহস্যময়ী ইন্দু ওরফে ইশার আগমন বুঝিয়ে দেবে এই সিরিজ আর পাঁচটা সিরিজের মতো একেবারেই নয়। প্রত্যেক এপিসোড থেকে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। প্রতিটি ফ্রেমেই গল্পের মোচড়। প্রত্যেক এপিসোডেই টুইস্ট রেখে রেখে এগিয়ে যাবে ইন্দুর গল্প। আর গল্পের এই এগিয়ে যাওয়াটা খুবই টানটান। এই কায়দাতেই অর্ধেক বাজি মেরে দিয়েছেন সিরিজের পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। আর বাদ বাকি নজর কেড়ে নিলেন ইশা সাহা এবং পায়েল দে! হ্য়াঁ, এই দুই অভিনেত্রীর অভিনয়ই এই সিরিজের প্রাপ্তি। এই সিরিজের প্রত্যেকটা এপিসোডেই সংলাপের মাত্রা একটু বেশি। যা না হলেই চলত। এর ফলে মাঝে মধ্যে আগ্রহ হারিয়ে যায়। বিয়ে হওয়ার আগে ছেলে-মেয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে না নেওয়ার ব্য়াপারটা বেশ অবাস্তব লাগে। অবশেষে বলা যায়, এর আগে হইচইয়ে যতগুলো রহস্য-রোমাঞ্চের সিরিজ তৈরি হয়েছে, তার মধ্য়ে ‘ইন্দু’ এখনও পর্যন্ত সেরা।
ADVERTISEMENT
এবার আসা যাক মূল গল্পে। ইন্দুর বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই একটা রহস্য তৈরি করেছেন পরিচালক। উলটো দিকে ইন্দুর বর ওরফে অভিনেতা চন্দ্রনিভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও রহস্য়ের নানা উপাদান রাখলেন পরিচালক। যার মধ্য়ে মানসিক ভারসাম্যহীনের চরিত্রে পায়েল দে অন্যতম। বলা ভাল, ইশা ও পায়েল এই দু’জনের চরিত্রই সিরিজে টান টান উত্তেজনা ধরে রাখে। অভিনয়ের দিক থেকে আলাদা করে নজর কাড়েন সুহত্র মুখোপাধ্য়ায় ও চন্দ্রনিভ মুখোপাধ্য়ায়। এই সিরিজে মানালির অভিনয়ও চমক দেওয়ার মতো। তবে সব ভালর মধ্যে এই সিরিজের কয়েকটি দিক বেশ দুর্বল।
0 comments