অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে আসছে ‘মিনি’, মন ভরল না ‘হাম দো হামারে দো’

অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে আসছে ‘মিনি’, মন ভরল না ‘হাম দো হামারে দো’

বিনোদন ডেস্ক: অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প বলতে পর্দায় আসছে ‘মিনি’। নিজের বার্তায় সকলকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানায় শিশুশিল্পী অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে জানায়, ‘আমরা মিনির শ্যুটিং করলাম। আমি তো খুব উত্তেজিত। মজা হচ্ছে। শট দিতেও খুবই মজা লাগছে। যখন আমার শট থাকে না, মিমি দিদির শট বা অন্য কারও শট থাকে, তখন আমি বসে বসে দেখি। খুব ভাল লাগছে।’ বন্ধুত্বের জন্য বয়স যে কোনও মাপকাঠি নয়, তা আরও একবার পরদায় ফুটিয়ে তুলেছেন মৈনাক। একটু অন্য স্বাদের এই গল্প দর্শক মনে যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সে ব্যাপারে একদম নিশ্চিত মিমি। পরিচালকের মতে, বাস্তবের মিমির সঙ্গে অনেক মিল আছে পরদার তিতলি-র। এই ছবি দিয়েই প্রযোজনায় হাতেখড়ি সম্পূর্ণা লাহিড়ি-র।

মিমি চক্রবর্তীর পরবর্তী ছবি ‘মিনি’ মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়! শ্যুট শেষ। এবার হবে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিমি, সঙ্গে অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়। ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’-র ‘সারদা মা’-র শিশু চরিত্রে কাজ করেছিল অয়ন্না।  ছবির সেট থেকে মাঝেসাঝেই নানা ছবি পোস্ট করতেন মিমি। আর শ্যুটের শেষ দিনে কোনও পোস্ট করবেন না তেমনটা হয়? গোটা টিমের সাথে ভিডিও শেয়ার করলেন মিমি নিজের ইনস্টাগ্রামে। লিখলেন, ‘শ্যুট শেষ হল, টিম মিনি-কে মিস করব’।   আর মিমি জানান, ‘শ্যুট তো প্রায় শেষ। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা। যত তারাতারি সম্ভব ছবিটা দর্শকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছি।’ ছবিতে মিমি চক্রবর্তীর চরিত্রের নাম ‘তিতলি’। আর নাম-ভূমিকায় অয়ন্যা, চরিত্রে নাম ‘মিনি’।  

ADVERTISEMENT

অন্যদিকে পরিচালক অভিষেক জৈনের ছবি ‘হাম দো হামারে দো’ আধঘণ্টা দেখার পরেই দর্শকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যা পড়ে থাকে, তা একমাত্র পরেশ রাওয়াল ও রত্না পাঠকের দুর্দান্ত অভিনয়। কৃতি শ্যাননকে  একবার দেখেই প্রেমে পড়ে যান রাজকুমার রাও । তারপর ধীরে ধীরে জমতে থাকে বন্ধুত্ব। ঠিক যখন বিয়ের প্ল্যানিং শুরু, ঠিক তখনই কৃতির আবদার।তিনি এমন এক ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যার মিষ্টি মা-বাবা রয়েছে।কিন্তু রাজকুমার তো অনাথ! এক ধাবার মালিক ওরফে পরেশ রাওয়ালের কাছেই বেড়ে উঠেছেন।পরেশ আবার মনে মনে ভালবাসেন রত্না পাঠককে। যাকে ছোটবেলায় একবার ধাবায় দেখেছিলেন রাজকুমার। কৃতির আবদার মেটাতে পরেশ ও রত্নাকে নকল মা-বাবা সাজিয়ে নেন রাজকুমার। মোটামুটি এরকমই এক গল্প বলে ‘হাম দো হামারে দো’। কীভাবে নকল মা-বাবাকে নিয়ে রাজকুমারের প্রেমের নৌকা তীরে এসে দাঁড়ায় তাই মূলত ছবির ক্লাইম্যাক্স। যা কিনা আগে থেকেই আন্দাজ করা যায়। এই ছবির একমাত্র স্ট্রং পয়েন্ট হল রত্না পাঠক  ও পরেশ রাওয়াল জুটির অভিনয়। এই দু’জনের অসাধারণ কমিক টাইমিং এখনও মুগ্ধ করে। নিজের চরিত্রে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন রাজকুমার রাও। তবে আশাহত করেছেন কৃতি শ্যানন। ‘বরেলি কি বরফি’, ‘মিমি’ ছবিতে কৃতির পারফরম্যান্স যতটা জোরদার ছিল, এই ছবিতে কৃতি ততটাই দুর্বল।

 

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait