তিনি যেমন বিবেকানন্দের নিবেদিতা তেমনি রবীন্দ্রনাথের লোকমাতা

তিনি যেমন বিবেকানন্দের নিবেদিতা তেমনি রবীন্দ্রনাথের লোকমাতা

এলিজাবেথ মার্গারেট নোবল কলকাতায় পদার্পণ করেন ১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারিতার আগে বিবেকানন্দ স্বামীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় লেডি ইসাবেল মার্গসন নামক এক মহিলার বাড়িতে এক আলোচনা চক্রে, ১৮৯৫ সালের ১৫ নভেম্বরওই দিনটিতেই তাঁর ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলকারণ স্বামীজী চেয়েছিলেন একজন Real Lioness কে যিনি ভারতীয় নারীদের জাগিয়ে তুলবেন, আর এদেশে স্বামীজীর কাজে নিবেদিতপ্রাণা সেই সিংহিনীর নতুন নাম হবে নিবেদিতা

ADVERTISEMENT
Tuhu Momo Video Teaser

বিবেকানন্দ তাঁকে দেশীয় সমাজের কাছে পরিচিত করে দিয়ে বলেন, শী ইস ফাইনেষ্ট ফ্লাওয়ার অফ মাই ওয়ার্ক ইন ইংল্যান্ডপরবর্তী ২৫ মার্চ বিবেকানন্দ তাঁকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত করে নতুন নামকরণ করলেনভগিনী নিবেদিতা

নিবেদিতার চিঠি থেকে জানা যায়, জগদীশচন্দ্র মার্গারেটেরনিবেদিতানামটাই পছন্দ করেননি
আপনাকে মিস নোবলের পরিবর্তে সিস্টার নিবেদিতা বলে ডাকতে আমার কষ্ট হয়

কেন?”
নাম বদলের ফলে মনে হচ্ছে আপনার মানবিক সম্পদে টান পড়েছে নাম বদল করে আপনি নিজেকে সংকীর্ণ করে ফেলেছেন- যা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে

একথা শুনে নিবেদিতার খুব খারাপ লাগেকষ্ট পানকিন্তু কিছু বলতেও পারেন নাকষ্টের কথা বন্ধু মিস্ম্যাকলাউডকে লিখে জানান,একটা দুঃস্বপ্নের মতো তার কথাগুলো আমাকে তাড়া করে ফিরছে আমি যাকে ভালবাসি, বিশ্বাস করি, তাদের কেউ কি কখনো আমাকে সংকীর্ণমনা মনে করেছে? তোমরা কখনও করেছো, তুমি বা সারা?”

নিবেদিতার জন্য একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে মিস ম্যাকলাউড তাঁর ব্রাহ্মবন্ধুদের সঙ্গে নিবেদিতার পরিচয় করিয়ে দিলেন এঁদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবারের আরও অনেকেইবিবেকানন্দও স্বাগত জানিয়েছিলেন, এবং নিবেদিতাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, “Make inroads into the Brahmos” – “ব্রাহ্মদের মধ্যে ঢুকে পড়ো

ঐতিহাসিক চা-পার্টিটি অনুষ্ঠিত হয় নিবেদিতার বোসপাড়া লেনের ছোট্ট বাড়িটিতে, ২৮ জানুয়ারি ১৮৯৯ তারিখে, দিনটা ছিল শনিবারঐতিহাসিক কেননা এই পার্টিতে মিলিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দপার্টির বিবরণ দিয়ে নিবেদিতা চিঠিতে লিখেছেন; “চমৎকার ঝলমলে পার্টি, কারণ মি. টেগোর তাঁর অসাধারণ চড়া গলায় ৩টি স্বরচিত গান গাইলেনআর স্বামী তো অপূর্ব

মিঃ টেগোর সেদিন আমাদের জন্যেই এই গানটি গেয়েছিলেন

 “বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে

শূন্য ঘাটে একা আমি, পার 'রে লও খেয়ার নেয়ে

অল্প সময়ের মধ্যে নিবেদিতা ঠাকুর পরিবারের ঘনঘন মিলিত হওয়া পছন্দ করছেন না স্বামীজীমিস ম্যাকাউডকে লেখা নিবেদিতার চিঠিতে তারই অনুরণন,

“He (Vivekananda) said as long as you go on mixingwith that (Tagore) family Margot I must go on sounding this gong. Remember that, that family has poured a flood of Erotic Venom over Bengal. Then he described some of his poetry”

খুব মারাত্মক অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথের কবিতার সঙ্গে বিবেকানন্দের সঠিক পরিচয় থাকলে তিনি এমন কথা বলতে পারতেন কি? শুধু তাই নয় পরিব্রাজক গ্রন্থে তিনি লিখছেন, যে একদল দেশে উঠেছে, মেয়ে মানুষের মত বেশভূষা, নরম নরম বুলি কাটে, এঁকে বেঁকে চলেন, কারুর চোখের উপর চোখ রেখে কথা কইতে পারেন না, আর ভূমিষ্ট হয়ে অবাধ পিরীতের কবিতা লেখেন, আর বিরহের জ্বালায় হাসেন-হোসেন করেন এই অভিযোগর তীরও স্পষ্টত রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে নিক্ষিপ্ত

রবী্ন্দ্রনাথ, এরকম মনে করা যায়, তার প্রতি প্রথমাবধি যে আকৃষ্ট হয়েছিলেন তার অন্যতম কারণ ছিল তাঁর শিক্ষকসত্তানিবেদিতার জীবনীকার লিজেল রেঁম একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন (নারায়ণী দেবীর বঙ্গানুবাদ);

নিবেদিতার জীবনীকার লিজেল রেঁম একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন

রবিঠাকুর তাঁর ছোটো মেয়েকে ইংরাজি শেখাবার জন্য নিবেদিতাকে অনুরোধ করেন নিবেদিতা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন বললেন, ‘সে কি! ঠাকুরবংশের মেয়েকে একটি বিলাতী খুকি বানাবার কাজটা আমাকেই করতে হবে? ঠাকুরবাড়ির ছেলে হয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতায় আপনি এমনই আবিষ্ট হয়েছেন যে নিজের মেয়েকে ফোটবার আগেই নষ্ট করে ফেলতে চান

রবীন্দ্রনাথের নিজের কথায় কাহিনীটি একটু অন্যরকম;

ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা হয় তখন তিনি অল্পদিনমাত্র ভারতবর্ষে আসিয়াছেন আমি ভাবিয়াছিলাম সাধারণত ইংরেজ মিশনারি মহিলারা যেমন হইয়া থাকেন ইনিও সেই শ্রেণীর লোক, কেবল ইহার ধর্মসম্প্রদায় স্বতন্ত্র সেই ধারণা আমার মনে ছিল বলিয়া আমার কন্যাকে শিক্ষা দিবার ভার লইবার জন্য তাঁহাকে অনুরোধ করিয়াছিলাম তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কী শিক্ষা দিতে চাও? আমি বলিলাম, ইংরেজি, এবং সাধারণত ইংরেজি ভাষা অবলম্বন করিয়া যে শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে তিনি বলিলেন, বাহির হইতে কোনও একটা শিক্ষা গিলাইয়া দিয়া লাভ কি? জাতিগত নৈপুণ্য ব্যক্তিগত বিশেষ ক্ষমতারূপে মানুষের ভিতরে যে জিনিসটা আছে তাহাকে জাগাইয়া তোলাই আমি যথার্থ শিক্ষা মনে করি বাঁধা নিয়মের বিদেশী শিক্ষার দ্বারা সেটাকে চাপা দেওয়া আমার কাছে ভালো বোধ হয় না

মোটের উপর তাঁহার সেই মতের সঙ্গে আমার মতের অনৈক্য ছিল না…..তবু আমি তাঁহাকে বলিলাম, আচ্ছা বেশ আপনার নিজের প্রণালীমতোই কাজ করিবেন, আমি কোনো প্রকার ফরমাশ করিতে চাই না বোধ করি ক্ষণকালের জন্য তাঁহার মন অনুকুল হইয়াছিল, কিন্তু পরক্ষণেই বলিলেন, না, আমার কাজ নহে বাগবাজারের একটি বিশেষ গলির কাছে তিনি আত্মনিবেদন করিয়াছিলেনসেখানে তিনি পাড়ার মেয়েদের মাঝখানে থাকিয়া শিক্ষা দিবেন তাহা নহে, শিক্ষা জাগাইয়া তুলিবেন মিশনরির মতো মাথা গণনা করিয়া দলবৃদ্ধি করিবার সুযোগকে, কোনো একটি পরিবারের মধ্যে নিজের প্রভাব বিস্তারের উপলক্ষ্যকে, তিনি অবজ্ঞা করিয়া পরিহার করিলেন

পরের বছর কলকাতায় প্লেগ মহামারীর আকারে দেখা দিলনিবেদিতা সেবা কর্মে প্রাণমন ঢেলে দিলেন

বিবেকানন্দ সম্ভবত চাননি যে নিবেদিতা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করুনএই উদ্দেশ্যে তিনি বোসপাড়া লেনে নিবেদিতার বাসাবাড়িটিকে পুরুষবর্জিতজেনানাকরে তুলতে চেয়েছিলেনকিন্তু তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি

২৩ মার্চ তারিখে মিস্ ম্যাকলাউডকে লিখেছেন;

খুব ইচ্ছে আছে ছুটি যখন নেব তখন টেগোরের কাছে যাব কবি আমাকে যেতে বলেছেনআর বাড়িতে সব সময়েই আমাদের উভয়ের ভাল লাগে এমন কিছু ঘটছে, কবিতা গান নির্বস্তুক ধারণার আলোচনা

এই সময় প্লেগ প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকায় সংকল্প সিদ্ধ হয় নি, অবনীন্দ্রনাথজোড়াসাঁকোর ধারে”- তে বলেছেনরবিকাকা সিস্টার নিবেদিতা পাড়ায় পাড়ায় ইনস্পেকশনে যেতেনইচ্ছাটিও লালন করে নিবেদিতা মাস দেড়েক পরে লিখেছেন মিস্ ম্যাকলাউডকে, “শুনলাম রাজা (বিবেকানন্দকে এই নামে ডাকতেন) পক্ষকালের মধ্যে চলে যাবেনতা যদি হয়, ইচ্ছে আছে তার পরেই দিন দশেক টেগোরের সঙ্গে নদীতে কাটিয়ে আসবকিন্তু পক্ষকালের মধ্যে বিবেকানন্দের বিদেশ যাওয়া হয় নিপরে ২০শে জুন তারও বিদেশ যাত্রার দিন ধার্য হল, দুঃখের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে লিখলেন,

আপনি হয়ত অনেক আগেই শুনেছেন যে এই গ্রীষ্মে আমাকে ইংল্যান্ড যেতেই হবেফলে, অনেক দিন ধরে যা আশা করেছিলাম, আপনার নিমন্ত্রণে আপনার নদীগৃহে গিয়ে সেই থাকা আর হল না এবার আমি দু-এক দিনের মধ্যেই আপনাকে লিখতে যাচ্ছিলাম যে, আপনি যদি অনুমতি করেন তাহলে স্বামীজী চলে গেলেই আমি গিয়ে শ্রীমতী টেগোর আপনার অতিথি হব তখন তো জানতাম না যে আমার নিজের ভাগ্যও উল্টে যাবে এভাবে!”

ওলি বুল-কে লেখা তার ২২ নভেম্বর ১৯০০ তারিখের চিঠি থেকে জানতে পারছি, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘ছুটিএবংদানপ্রতিদানএই তিনটি গল্প তর্জমা করে ফেলেছেন তিনিকাবুলিওয়ালাপ্রকাশিত হয় নিবেদিতার মৃত্যুর পর, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত মডার্ন রিভিউপত্রিকার জানুয়ারি ১৯১২ সংখ্যায়রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পের প্রথম অনুবাদকের সম্মান নিবেদিতারই প্রাপ্য

নিবেদিতা যখন তাঁকে বললেন শিক্ষক-শিক্ষণের উদ্দেশ্যে একটি বিদ্যালয় গড়তে চান তখন রবীন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকোয় নিজের বাড়িটি তাঁকে ছেড়ে দেবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন জুলাই ১৯০৪ তারিখে মিস্ ম্যাকলাউডকে লিখছেন;

শ্রীযুক্ত আর এন টেগোর তাঁর চমৎকার বাড়িটি আমাকে নর্মাল বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ছেড়ে দিতে চেয়েছেনকিন্তু এর কেন্দ্রে থেকে পরিচালনা করবার জন্য একজন কাউকে দরকার

অক্টোবর (১৯০৪) রবীন্দ্রনাথ, নিবেদিতা, জগদীশচন্দ্র তাঁর পত্নী, সিস্টার ক্রিস্টিন প্রভৃতি জনাদশেকের একটি দল বুদ্ধগয়া দেখতে যানরথীন্দ্রনাথের রক্ষিত ডায়েরি থেকে জানা যায়, এই ভ্রমণে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নিবেদিতার নানা নির্বস্তুক বিষয় নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক হতওখান থেকে ১৫ অক্টোবর তারিখে মিস ম্যাকলাউডকে লেখা একটি চিঠি থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রতি নিবেদিতার মনোভাবটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে;

কবি, শ্রীযুক্ত টেগোর, অতিথি হিসেবে একেবারে শেষ কথা তিনি আমার দেখা প্রায় একমাত্র ভারতীয় যার মধ্যে সামাজিকদুষ্টুছেলেপনাপুরোপুরি অনুপস্থিত তাঁর কথাবার্তার মধ্যে ভারি সরল একটি গর্ব আছেসেটি এত শিশুসুলভ যে প্রায় করুণাই হয় কিন্তু তিনি সবসময়েই অন্যদের কথা ভাবছেনপাশ্চাত্য কোনও গৃহস্বামিীনি ছাড়া আর কেউ সেরকম করে ভাবতে পারবে না সারা দিন, সারা রাত তিনি গান গাইছেন বা কথা বলছেনসব সময়ই তিনি প্রস্তুতলোককে আমোদ দিতে, বা নিজে আমোদিত হতে! . বোসের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন যেন তিনি তাঁর মাসব সময়েই দেশের জন্যে কাজ করছেন, অথবা মুক্তির কথা চিন্তা করছেন কিন্তু এসব সত্ত্বেও, আমার কাছে তাঁর পৌরুষের তেমন কোনও আবেদন নেই ক্রিস্টিনের কাছে তাঁর আকর্ষণ অনেক বেশি

তবে রাজনীতি ধর্মনীতি এই উভয় প্রশ্নেই দুই ভিন্ন প্রান্তবাসী থেকে গেছেন নিবেদিতা রবীন্দ্রনাথআবার মিলেছেন সামাজিক ক্রিয়াকান্ডে এবং সাহিত্য রুচিতেকখনও কলকাতায় প্লেগদমনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুজন পরিশ্রম করেছেন, কখনও বা শিলাইদহে কবির আতিথ্য গ্রহণকালেগোরাউপন্যাসের খসড়া কাহিনী শুনে তীব্র মতামত জানাচ্ছেন নিবেদিতা, যার ফলে বদলে যাচ্ছে গল্পের পরিণতি

আবার কখনও রবীন্দ্রনাথ এডওয়ার্ডকে টমসনকে নিবেদিতা প্রসঙ্গে বলেছেন, “I did not Like Her, She was so Vioent”.

কখনও বলছেনবিবেকানন্দ কি বিবেকানন্দ হতেন, যদি না নিবেদিতার আত্মনিবেদন লাভ করতেন”?

১২ অক্টোবর দলটি বুদ্ধগয়া থেকে ফিরে আসেডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে জগদীশচন্দ্র, তাঁর পত্নী অবলা বসু নিবেদিতা শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের আতিথ্যে পদ্মার উপরে তিন দিন কাটিয়ে আসেন

১৩ অক্টোবর ১৯১১ তারিখে দার্জিলিং- জগদীশচন্দ্রের বাড়িতে পাহাড়ি আমাশয় রোগে নিবেদিতার মৃত্যু হয়

রবীন্দ্রনাথ প্রবাসী পত্রিকার জন্যভগিনী নিবেদিতাপ্রবন্ধে লিখলেন – “মাঝে মাঝে নানাদিক দিয়া তাঁহার পরিচয়-লাভের অবসর আমার ঘটিয়াছিলতাঁহার প্রবল শক্তি আমি অনুভব করিয়াছিলাম কিন্তু সেই সঙ্গে ইহাও বুঝিয়াছিলাম তাঁহার পথ আমার চলিবার পথ নহে

নিবেদিতার লেখা ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইফবইটি প্রথমে বেরোয় ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে, দ্বিতীয় সংস্করণ হয় ১৯১৮ সালেএই সংস্করণের ভূমিকা রবীন্দ্রনাথ লিখে দিয়েছিলেন

মৃত্যুর আড়াই মাস আগে রোগশয্যায় শুয়ে কবির এই আলাপন-

মেয়েদের একটা জিনিস আছে, যেটা হচ্ছে তাদের ভিতরকার জিনিস emotion! যখন একটা character এর সঙ্গে মিলে রূপ নেয়, তা অতি আশ্চর্য! এর দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিলেন নিবেদিতা

আবার কখনও বলেছেন, -

মানুষের মধ্যে যে শিব আছেন সেই শিবকেই এই সতী সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেছিলেন

তাই লোকমাতা আখ্যা দিয়ে কবি লেখেন, তাঁহার সহিত পরিচয়ের পর হইতে এমন বারংবার ঘটিয়াছে যখন তাঁহার চরিত স্মরণ করিয়া তাঁহার প্রতি গভীর ভক্তি অনুভব করিয়া আমি প্রচুর বল পাইয়াছি ভগিনী নিবেদিতার মধ্যে মানুষের সেই অপরাহত মাহাত্ম্যকে সম্মুখে প্রত্যক্ষ করিয়া আমরা ধন্য হইয়াছি

 

গ্রন্থঋণ: রবিজীবনী: প্রশান্ত কুমার পালনিবেদিতা লোকমাতা: শঙ্করীপ্রসাদ বসুবিদেশীসূত্রে রবীন্দ্রনাথ: সমীর সেনগুপ্ত

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait