একটি শিশুর থেকে সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কি থাকতে পারে? ঈশ্বরের পাঠানো সবথেকে সুন্দর উপহার এই শিশুরা। এমনিতে তো প্রত্যেকটি দিন তাদেরই, তবে বিশেষ করে আজকের এই দিনটি। আমাদের ভালবাসার,আমাদের ভাললাগার, আমাদের আবোল তাবোল কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার একমাত্র জগত তৈরী হয় মা আর সন্তান দুজনেরই জন্য। এই জগত সম্পূর্ণ স্বার্থশূন্য। এই জগতে কারো প্রবেশাধিকার নেই৷ বাবারা নিশ্চই আছেন, কিন্তু তাঁদের সাথে সন্তানের সম্পর্কটা একটু ভয়মিশ্রিতও হয়। কিন্তু একমাত্র মা আছেন যাঁর সাথে তাঁর শিশুর সম্পর্কই কে কোনভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মা বকলেও শিশু তাঁর ওপর অভিমান করে থাকতে পারে না, তাঁর কোলেই আসতে চায়। অন্য কেউ বকলে কিন্তু শিশুর অভিমান ভাঙাতে বেগ পেতে হয় ভালই। এখানে মায়েরা জিতে গেছেন।
এই মা আর তাঁর সন্তানের খেলা তো আজীবন চলে আসছে আর আসবেও। শিশুর মনস্তাত্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের ছোটবেলায় জগত টা আলাদাই ছিল এখনকার থেকে। না,জন্ম থেকেই বোদ্ধা ছিলাম এরকম দাবী করব না। কিন্তু এতটা আতুপুতু করে আমরা বড় হই নি। আমরা ধুলো মেখেছি, প্রথম শীতের শিশির সদ্য সুচ ফোটানো কানে দিয়েছি, কোথাও পড়ে গিয়ে চোট পেলে চুপি চুপি বাড়ি এসে মা কে লুকিয়ে লাল ওষুধ দিয়েছি, রাস্তার কল থেকে আঁজলা ভরে জল খেয়েছি, বন্ধুরা মিলে অকারণেই হিহি করে হেসেছি, ঘুড়ি উড়িয়েছি, বুনো পাতা তুলে এনে রান্নাঘরে তরকারি রান্না করেছি, পূজার সময় শিউলি ফুল তুলে তার মালা করে নিজেরাই পড়েছি। পাড়ার প্রত্যেক বাড়িতে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে লুকিয়েছি, এমন অবাধ গতিবিধি ছিল। গলি দিয়ে মোটরবাইক তীব্র গতিতে বেড়িয়ে যেত না, তাই বাবা মা কে কোনদিন ভয় পেতে হয়নি যে আমরা চাপা পড়তে পারি। বাড়ির জামা পরেই পাড়ার মুদির দোকানে যেতে হত দিনে অন্তত বার দুয়েক। মাছ লজেন্স কেনার পয়সা পাব এই লোভে যেতাম। দুপুরে আইসক্রিম হেঁকে যেত, আর বিকেলে ফুচকা। বাঁধা খদ্দের ছিলাম যে। দুপুরবেলাগুলো ছিল স্বপ্নের মত। ওই সময়টা বন্ধুরা মিলে খেলা হত। কিত্কিত্, লুকোচুরি, কুমিরডাঙা, ক্রিকেট,ফুটবল সব সব সব। বৃষ্টিদিনে মাঠে জল জমলে কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসানো হত খুব। তখন ভিজলে কিছু হত না,এখন হয়
ADVERTISEMENT
0 comments