চিলেকোঠা ঘরটায় তালা পড়েছে
আজ বছর কয়েক হলো!
ওখানেই প্যাঁটরাবন্দি আছে কোজাগরীর চাঁদ,
একটা লক্ষ্মী পেঁচা আর খানকয়েক কড়ি।
ভরা শ্রাবণ মাসে ,বৃষ্টি ভেজার শেষে
কেউ কয়েকটা পাতায় এঁকেছিল
ভালোবাসার উল্কি!
সেই পাতাটাও খুঁজলে পাবে তোরঙ্গের ভিতর।
শুধু যে মানুষটা এসব কথা জানতো,
দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে সে চলে গেছে দূরে।
ছাদে মজলিস বসলে ,সে আর টের পায় না!
লক্ষ্মীমন্ত ওইসব চিহ্ণরা
যক্ষ হয়ে আগলে আছে একটা ঘরের স্বপ্ন !
বিষ্টিতে ভাঙা জানালা কেঁদে মরে,
যার আসার কথা ছিলো, সে নেই ,
তাই ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে
রোজ আসে যায় ভুল ঠিকানায়!
সে মানুষটা তো দূরে যেতে যেতে বিন্দু হয়ে গেছে!
অমন করে ডাকলে আর সাড়া দেবে কেন?
তবু সিঁদুরমাখা কাঠের লক্ষ্মীপেঁচা ঘর আগলিয়ে
ডানা ঝটপটিয়ে মরে।
যে ঘর ছাড়ে,বুকের খাঁচায় ঘরের ছবি নিয়ে যায়,
আর কোনোদিন ধানের ছড়া আর
আলপনার উঠোন পার হতেই পারে না!
ADVERTISEMENT
মনের চিলেকোঠা ঘরটায় তালা পড়েছে
আজ বছর কয়েক হলো!
0 comments