দুই দশক পর ভারতের হাতে মিস ইউনিভার্স, শেষ প্রশ্নের জবাবেই বাজিমাৎ হারনাজ সান্ধুর

দুই দশক পর ভারতের হাতে মিস ইউনিভার্স, শেষ প্রশ্নের জবাবেই বাজিমাৎ হারনাজ সান্ধুর

বিনোদন ডেস্ক: ২১ বছর পর ভারতের হাতে এল মিস ইউনিভার্স ২০২১-এর খেতাব। ৭৯ জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে মিস ইউনিভার্সের খেতাব ছিনিয়ে নিলেন ভারতীয় তরুণী, পঞ্জাবের হারনাজ সান্ধু। সুস্মিতা সেন, লারা দত্তের পর আবারও বিদেশে বিউটি পেজেন্টের মঞ্চে শেষ হাসি হাসল ভারত। ইসরায়েলে হওয়া মিস ইউনিভার্সে গত বছরের বিজয়ী আন্দ্রেয়া মেজার কাছ থেকে সোমবার পুরস্কার তুলে নেন হারনাজ। তাঁর চোখ দিয়ে তখন অঝড়ে ঝড়ছে জল। বিদেশের মাটিতে চিৎকার করে বলছেন, ‘চাক দে ফাট্টে’। লারা দত্তের পর ২১ বছরে দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থান অধিকার করলেও প্রথম হওয়া হয়নি ভারতের। হারনাজ সেই অভিশাপ দূর করে রচলেন নতুন ইতিহাস। এই বছরের মিস ইউনিভার্সে বিচারকের মঞ্চে ছিলেন মিস ডিভা ২০১৫ উর্বশী রাউটেলাও। উল্লেখ্য, হারনাজ সাধু এর আগে জিতেছেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার খেতাবও। তবে এবার চন্ডীগড়-ভারত ছাড়িয়ে তিনি পৌঁছে গেলেন বিশ্বের দরবারে। বছর শেষে নিজের দেশকে দিলেন সেরা উপহার।

ADVERTISEMENT

হারনাজের মাথায় এদিন মুকুট পরিয়ে দেন ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা। মঞ্চে সোনালি স্লিভলেস গাউনে ভারতকে গর্বিত করলেন হারনাজ। হিরে খচিত মিস ইউনিভার্সের তাজ ঝলমল করে উঠল তার মাথায়। তাঁর এই জয়ে গর্বিত গোটা দেশ। ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভারতকে এই সাফল্য এনে দেওয়ার পর মাতৃভাষাতেই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান হারনাজ, তিনি বলেন- ‘চক দে ফট্টে ইন্ডিয়া…’। ১৯৯৪ সালে ভারত থেকে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। ছয় বছর পর লারা দত্ত এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছিলেন। তার ২১ বছর পর এই সাফল্যের মুকুট উঠল হারনাজের মাথায়। 

মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার এতদিনের ইতিহাস বলছে, এই ফাইনাল রাউন্ডের প্রশ্নই খেতাব জেতার তুরুপের তাস। অন্য রাউন্ডে অল্প স্বল্প নাম্বার উঠলেও, অন্তিম প্রশ্নের উত্তরে কামাল দেখিয়ে খেতাব জিতে নিয়েছেন অনেকেই। ১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেন, ২০০০ সালে লারা দত্ত। এই দুই সুন্দরীও শেষ রাউন্ডে এসেই বাজিমাত করেছিলেন। আর ২১ বছর পরও হরনাজ শেষ ল্যাপে এসে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যান। শেষ প্রশ্নের জবাব তাঁকে বসিয়ে দেয় সুস্মিতা-লারাদের সঙ্গে একই আসনে। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে হরনাজকে জিজ্ঞেস করা হয়, চাপমুক্ত থাকার জন্য এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ঠিক কী করা উচিত? উত্তরটা দিতে ঠিক এক সেকেন্ড সময় নেন হরনাজ। অল্প হেসে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি জানান, ‘এই প্রজন্মকে বলব, নিজের উপর বিশ্বাস হারিও না। নিজের মতো করে বাঁচতে শেখো। তবেই জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠবে। অন্য কারও সঙ্গে তুলনা নয়, বরং দুনিয়ায় চলতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা  কর। আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজের কথা বল। আমি নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম বলেই, আজকে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তাই তোমরাও পারবে!’ আগামী প্রজন্মের প্রতি হরনাজের এই বার্তায়  আপ্লুত বিচারকরাও। তিনি যে অনেক মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ দিলেন এক উত্তরেই।

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait