প্রোটিয়ানদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ

প্রোটিয়ানদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার-১২ রাউন্ডের চারটি ম্যাচের চারটিই হারল বাংলা টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হতশ্রী পারফরম্যান্স করে হারল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে গ্রুপ ওয়ানের প্রথম দল হিসাবে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াই থেকে সরকারিভাবে ছিটকে গেল বাংলা টাইগাররা। এদিন আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা । তাঁর সিদ্ধান্ত এক্কেবারে সঠিক প্রমাণিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। তাঁদের ইনিংস শেষ হয়ে মাত্র ৮৪ রানে। বাংলা টাইগারদের মুখ বাঁচান মেহেদি হাসান (২৭) এবং লিটন দাস (২৪)। নরকিয়া এবং রাবাদা দু’ জনেই নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট নেন শামসি।  

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান প্রোটিয়ারা। যদিও, একটা সময় বাংলাদেশের পেসাররা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেটের পতন হয় তাঁদেরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক বাভুমা (৩১) এবং ভ্যান ডার ডুসেন (২২) রান করে ম্যাচ জিতিয়ে দেন প্রোটিয়াদের। চলতি টুর্নামেন্টে সেভাবে নিজেদের মেলেই ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিকাংশ ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ফলস্বরূপ, চার ম্যাচে চারটিই হারতে হল টাইগারদের। এবার বাংলাদেশের একমাত্র টার্গেট হতে চলেছে টুর্নামেন্টের সুপার-১২ রাউন্ডে খাতা খোলা।  দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ বলেন, “প্রথম দিকে পিচটা বোলারদের জন্য ছিল। আমরা মাঝের ওভারে খেলতে পারিনি। খারাপ ব্যাটিং করেছি। কিন্তু পিচ থেকে বোলাররা প্রচুর সাহায্য পেয়েছে।” হেরেও অধিনায়কের মুখে তাসকিন আহমেদের প্রশংসা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই উইকেট নেন তিনি। মাহমুদুল্লাহ বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় তাসকিন ভাল বল করেছে। আমাদের কাছে তাসকিন এবং মুস্তাফিজুরের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হত। আমরা তাসকিনকেই বেছে নিয়েছি।”

ADVERTISEMENT
Swades Times Book

অন্যদিকে প্রথম দু’ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে গো-হারা হারের পরে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা প্রায় শেষ। যদিও এই হারের জন্য ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার থেকে দুবাইয়ের পিচকেই অনেক বেশি দায়ী করল ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-র পর থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত কোনও বাউন্ডারি আসেনি। শুধু তাই নয়, স্কোরবোর্ডকে সচল রাখতেও ব্যর্থ হয়েছেন কোহলীরা। তার জন্যও পিচকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাঠৌর। তিনি বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঝের ওভারে স্কোরবোর্ড সচল ছিল না। এই পিচে প্রতি বলে রান নেওয়া খুব কঠিন। আমি বলছি না শুধু আমাদের সমস্যা হয়েছে, এই পিচে যারা প্রথমে ব্যাট করেছে সবার একই সমস্যা হয়েছে।’’ কোহলীদের ব্যর্থতার পরে ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। রোহিত, কোহলীর মতো ক্রিকেটার থাকার পরেও কী ভাবে এত খারাপ খেলল ভারত সেই ময়নাতদন্তে ব্যস্ত তাঁরা। এই সমালোচনার মধ্যে পিচকে দায়ী করলেও অবশ্য ক্রিকেটারদের সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা উচিত ছিল বলে মনে করেন রাঠৌর। তিনি বলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা সব সমস্যা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে ফেলেন। কিন্তু আমরা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছি।’’ 

 

 

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait