স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) এক দিনের কোয়ারান্টিন কাটিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভারত (India)। ম্যাচ কন্টিশনিং ট্রেনিং দিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। তারপর নেটেও ব্যাটিং ঝালিয়ে নিলেন কোহলি-মায়াঙ্করা। বল হাতে দেখা গেল বুমরা-অশ্বিনদেরও। বিসিসিআইয়ের (BCCI) টুইটারে রাহানে-শ্রেয়সদের নেট প্র্যাকটিসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে শনিবারই ছিল তাদের প্রথম অনুশীলন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বিসিসিআই। জোহানেসবার্গের সুপারস্পোর্ট পার্কে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলীকে দেখা যাচ্ছে ‘ফুটভলি’ খেলতে। কোহলী নিজেও একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে লিখেছেন, ‘প্রথম সেশনের অনুশীলন শেষ।’ ছবিতে কোহলীর সঙ্গে উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মা, জয়ন্ত যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং চেতেশ্বর পুজারাকে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োয় প্রথমে কোহলী, দ্রাবিড়কে দৌড়তে দেখা যাচ্ছে। এরপর তাঁরা শরীরচর্চা করেন। তারপরেই একে অপরের বিরুদ্ধে ফুটভলি খেলায় মত্ত হয়ে পড়েন। ফুটভলি খেলা অনেকটা টেনিসের মতোই। এখানে টেনিসের মতোই মাঝখানে একটি নেট থাকে। তার দু’দিকে থাকেন খেলোয়াড়রা। হাত বাদে শরীরের যে কোনও অংশের সাহায্যে ফুটবলকে ও পারে পাঠানোই নিয়ম। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে। কোহলীরা জোহানেসবার্গে একটি রিসর্টে রয়েছেন। করোনার জন্য কড়াকড়ির কারণে সেখানে ভারত ছাড়া আর কোনও দল নেই।
ADVERTISEMENT
![Swades Times Book](https://swadestimes.com/uploads/_3219_1647281592_6794_poster buy.jpg)
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ভারতের কাছে বরাবরই কঠিন। অতীতে প্রোটিয়াদের মাঠে সাতটা টেস্ট সিরিজ খেললেও একটাও জিততে পারেনি ভারতীয় টিম। সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১০ সালে। মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে সে বার ১-১ ড্র হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০টা টেস্ট খেলে জয় মাত্র ৩টে। ১০টা হার, ৭টা ড্র। ২০১৮ সালে শেষ সিরিজে ১-২ হেরেছিল ভারত। এ বার অতীত ভোলানোর জন্য মাঠে নামতে চাইছেন বিরাট-রাহুলরা।
ভারতীয় টিমের স্ট্রেনথ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই বলেছেন, ‘মুম্বইয়ে তিন দিনের কঠিন কোয়ারান্টিনে ছিলাম আমরা। ১০ ঘণ্টার লম্বা বিমান যাত্রা করে জোহানেসবার্গে এসেছি। তারপর আরও একটা দিন কোয়ারান্টিনে কাটিয়েছি। যে কারণে আমরা কেউই আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। দৌড়, স্ট্রেচিংয়ের পর আমরা ম্যাচটা খেলেছি। যাতে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা না হয়।’
0 comments