স্পোর্টস ডেস্ক : কয়েক দিন আগে শোনা যাচ্ছিল ভবিষ্যতে ভারতের কোচ হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসতে পারে। কিন্তু জয়বর্ধনে এমন কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আসলে নতুন দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন দেশটির প্রাক্তন তারকা মাহেলা জয়বর্ধনে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। মূল পর্বে খেলার আগে প্রথম পর্বের বাধা টপটাতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। জয়বর্ধনকে প্রথম পর্বের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জয়বর্ধনে বর্তমানে আইপিএলের দল মুম্বইয়ের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের শেষ হওয়ার পরপর শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন প্রাক্তন এই লঙ্কান অধিনায়ক। প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস। জাতীয় দলের পর জয়বর্ধনে অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে কাজ করবেন। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে যুব দলের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। যুব দলের পরামর্শক ও মেন্টরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। দায়িত্ব পেয়ে তিনি জানিয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব কখনই ছিল না। কয়েকদিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছিল লঙ্কা। যদিও শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে তৃতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল ভারত, তবুও হাসারাঙ্গা, দুষ্মন্ত চামিরা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, শানাকাদের জয় কোনমতেই ছোট করা যায় না। জয়বর্ধনের কাজ বড় মঞ্চে ক্রিকেটারদের মানসিকতা এবং ফোকাস তৈরি করা।
ADVERTISEMENT
এবার অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য পেনশন চালু করার ভাবনা বিসিসিআই এর। ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে আসার পর থেকে একের পর বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবার এই অভিনব পদক্ষেপ। গত শুক্রবার বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে পেনশন প্রকল্পের কথা উঠেছে বলেই জানান প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়। পাঁচ থেকে আটের দশকের শুরুর দিকের ক্রিকেটারদের মধ্যে পেনশনের ইস্যুতে তর্ক হয়েছিল। যেখানে ক্রিকেটাররা নিজের রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য খুব সামান্য অঙ্কের টাকা পেতেন। আইসিএ চাইছে যারা ২৫টির কম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে তাদের পেনশন দিতে। ক্রিকেটারদের অবর্তমানে তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীর জন্যও পেনশনের কথা ভাবা হচ্ছে নতুন প্রকল্পে।
অংশুমান গায়কোয়াড় আরও বলেন, "শেষ বৈঠকে পেনশন নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, পরের বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ করবেন। এত দিন ২৫টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা পেনশন পেতেন। সেটা কমে ১০টি ম্যাচ হতে পারে।" অন্যদিকে করোনার ধাক্কায় গত মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল। কিছু কিছু ক্রিকেটাররা শুধুই রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সৌজন্যেই অর্থ উপার্জন করেন। তাঁরা রীতিমতো বিপাকে পড়েছিলেন। বিসিসিআই ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানিয়েছে ক্রীড়ামহল। এমনকী আসন্ন ২০২১-২২ ঘরোয়া মরসুমে খেলোয়াড়দের ম্যাচ-ফি বাড়ানো হচ্ছে। দেখতে গেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড একের পর এক ভাল পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে।
0 comments