শুধু রামই নয়, যখনই বিপদে পড়েছেন তখনই দুর্গাপূজা করেছেন দেবতারা

শুধু রামই নয়, যখনই বিপদে পড়েছেন তখনই দুর্গাপূজা করেছেন দেবতারা

শ্রী দুর্গা নাম ভুলো না ভুলো না
শ্রী দুর্গা স্মরণে সমুদ্র মন্থনে বিষপানে বিশ্বনাথ মলো না
যদ্যপি কখনো বিপদ ঘটে শ্রী দুর্গা স্মরণ করিও সঙ্কটে,
তারাই দিয়ে ভার সুরথ রাজার
লক্ষ অসি ঘাতে প্রাণ গেল না
শ্রী দুর্গা নাম ভুলো না, ভুলো না ভুলো না
সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গা পূজিত হয়ে আসছেনপুরানে বর্ণিত আছে, দেব-দেবীরাও আদ্যাশক্তির পূজা করেছেনহিন্দু শাস্ত্রানুসারেদুর্গানামের ব্যাখ্যায় উল্লেখিত হয়েছে

ADVERTISEMENT
Tuhu Momo Video Teaser

দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিত
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।

অক্ষর দৈত্যনাশক, -কার বিঘ্ননাশক, ‘রেফরোগনাশক, ‘অক্ষর পাপনাশক -কার ভয়-শত্রুনাশকঅর্থাৎ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ভয়-শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গাআবার হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে যে দেবী অগম্যা, দুষ্প্রাপা বা যাকে সহজে পাওয়া যায় না এই অর্থে দুর্গাদুর্গ নামে এক অসুরকে বধ করে দেবী দুর্গা নামে পরিচিতা হয়েছিলেন

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ- কৃষ্ণকে দুর্গাপূজার প্রবর্তক বলা হয়েছেবিভিন্ন দেবদেবীরা কিভাবে দুর্গাপূজা করেছিলেন, তার একটি তালিকা এই পুরাণে পাওয়া যায়তবে এই প্রসঙ্গে কোনো পৌরাণিক গল্পের বিস্তারিত বর্ণনা এই পুরাণে দেওয়া হয়নিবলা হয়েছে:

প্রথমে পূজিতা সা কৃষ্ণেন পরমাত্মনা
বৃন্দাবনে সৃষ্ট্যাদ্যৌ গোলকে রাগমণ্ডলে
মধুকৈটভভীতেন ব্রহ্মণা সা দ্বিতীয়তঃ
ত্রিপুরপ্রেষিতেনৈব তৃতীয়ে ত্রিপুরারিণা।।
ভ্রষ্টশ্রিয়া মহেন্দ্রেন শাপাদ্দুর্বাসসঃ পুরা
তুর্থে পূজিতা দেবী ভক্ত্যা ভগবতী সতী।।
তদা মুনীন্দ্রৈঃ সিদ্ধেন্দ্রৈর্দেবৈশ্চ মুনিমানবৈঃ
পূজিতা সর্ববিশ্বেষু বভূব সর্ব্বতঃ সদা।।

সৃষ্টির প্রথম যুগে পরমাত্মা কৃষ্ণ বৈকুণ্ঠের আদি-বৃন্দাবনের মহারাসমণ্ডলে প্রথম দুর্গাপূজা করেনএরপর মধু কৈটভ নামে দুই অসুরের ভয়ে ব্রহ্মা দ্বিতীয় দুর্গাপূজা করেছিলেনত্রিপুর নামে এক অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে শিব বিপদে পড়ে তৃতীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করেনদুর্বাসা মুনির অভিশাপে লক্ষ্মীকে হারিয়ে ইন্দ্র যে পূজার আয়োজন করেছিলেন, সেটি ছিল চতুর্থ দুর্গাপূজা। ….

 শ্রীকৃষ্ণের দুর্গাপূজা: 

অর্থাৎ, সৃষ্টির প্রথম যুগে পরমাত্মা কৃষ্ণ বৈকুণ্ঠের আদি-বৃন্দাবনের মহারাসমণ্ডলে প্রথম দুর্গাপূজা করেন, সেই দূর্গা পূজার পর দেবী দূর্গা কাত্যায়নী নামে প্রসিদ্ধ হয় এবং দ্বাপর যুগে কৃষ্ণের অবতারী লীলায় দেবী কাত্যায়নী ব্রজে(বৃন্দাবন) মায়ার প্রবল বেগ ধারণ করে কৃষ্ণের বেণুও মাতাল করে তোলে

আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে এই পৃথিবী যখন পাপভারে জর্জরিত হয়ে পড়ে তখন পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টদের সংহার, সাধুদের সংরক্ষণ এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য পৃথিবীতে মানবরূপে আবির্ভূত হনসেইসময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মধুরস্য মধুর বাল্যলীলার গোষ্ঠলীলায় রাখাল কৃষ্ণের বংশী ধ্বনী শুনে স্বর্গের দেব-দেবীরা কৃষ্ণ সমীপে আগমন করেনদেবাদি দেব মহাদেবের সঙ্গে দশভুজা দেবী দুর্গা এসেছিলেন তাকে আরাধনা করার জন্যবাৎসল্য প্রেমে দেবী দুর্গা শ্রীকৃষ্ণকে ক্ষীর, সর, নবনী দ্বারা তুষ্ট করেছিলেনবিশ্ব ভোলানো এহেন বালক কৃষ্ণকে সেদিন পুত্ররূপে প্রাপ্তির ইচ্ছা জেগেছিল দেবী মনেতার সেই অভিলাস পূর্ণ হয়েছিল; তবে দ্বাপর যুগে নয়_ কলিযুগেযখন শ্রীকৃষ্ণ নবদ্বীপে আজ থেকে ৫২০ বছর আগে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন তখন অদ্বৈত ঘরনী সীতাদেবীকে মহাপ্রভু মা বলে ডাকতেনএই সীতা দেবী পূর্ব জন্মে ছিলেন দেবী দুর্গা

বৃন্দাবনের নাম সকলেই শুনেছেনযমুনাতটে অবস্থিত এই ধামভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলাভূমি এই বৃন্দাবন ধামএই ধামেই নন্দালয়ে পালিত হয়েছিলেন ভগবানএই ভূমিতেই তিনি যেমন কংসের প্রেরিত অসুরদের বধ করেছিলেন, আবার দিব্যলীলা করেছিলেন তিনিগোপীদের প্রার্থনা মঞ্জুর করে মহারাস অনুষ্ঠিত করেছিলেনভগবান শ্যামের লীলাক্ষেত্র এই বৃন্দাবনতাই একটি পীঠ এই পবিত্র ধামেও আছেতিনি উমাদেবীভগবতী মা সতীর কেশরাশি এই পবিত্র ধামেই পতিত হয়েছিলোপীঠনির্ণয়তন্ত্র অনুসার-

বৃন্দাবনে কেশজালমুমা নাম্নী দেবতা

ভূতেশো ভৈরব স্তত্র সর্বসিদ্ধি প্রায়ক

দেবীর নাম উমাভৈরবের নাম ভূতেশভিন্ন মতে দেবীর নাম কাত্যায়নীকবি ভারতচন্দ্র লিখেছেন-

কেশজাল নাম স্থানে পড়ে তাঁর কেশ

উমা নামে দেবী তাহে ভৈরব ভূতেশ

এখানে আর একটা কথা বলে রাখি মহাভারতে অজ্ঞাতবাসের সময় যুধিষ্ঠির যখন মনে মনে ত্রিভুবনেশ্বরী দুর্গার স্তুতি করেছিলেন, সেই স্তুতি থেকে জানা যায়, দুর্গার উদ্ভবদুর্গার জননী মা যশোদাতিনি যশোদাগর্ভসম্ভূতাতাঁর পিতা নন্দ
 

তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে:
অত্যাচারী রাজা কংস একদিন দৈববাণী শুনতে পান যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান তাঁকে বধ করবেনতখন তিনি দেবকী তাঁর স্বামী বসুদেবকে মথুরার কারাগারে বন্দি করে রাখেনবন্দি অবস্থায় তাঁদের ছয়টি সন্তান হয়, এবং প্রত্যেকটি সন্তানকে কংস হত্যা করেনসপ্তম সন্তান বলরাম দেবকীর গর্ভ থেকে প্রতিস্থাপিত হলেন রোহিণী দেবীর গর্ভেরোহিণী বসুদেবের দ্বিতীয় স্ত্রী, তিনি থাকেন গোকুলেভাদ্রমাসের পূর্ণিমায় বলরামের আবির্ভাবভাদ্রমাসের কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে গভীর রাতে কৃষ্ণের আবির্ভাবসেই শিশুকে পিতা বসুদেব গোপনে নিয়ে যান গোকুলে, নন্দের ঘরেওই রাতে যশোদার গর্ভে জন্মান কন্যাসন্তান যোগমায়াতিনি আসলে দেবী মহাশক্তি

পুত্রসন্তানকে মা যশোদার কাছে রেখে কন্যাটিকে নিয়ে মথুরায় ফেরেন বসুদেবযোগমায়াকে দেবকীর ক্রোড়ে দেখতে পান কংসভাবেন, এই সন্তান দেবকীর অষ্টম গর্ভজাততখন কংস তাকে শিলাতলে আছাড় মারেনসদ্যোজাতা আকাশে মিলিয়ে যায়যোগমায়া নিক্ষিপ্ত অবস্থায় আকাশে উঠে গিয়ে বলেন, তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সেএই যোগমায়াই দেবী দুর্গাদিব্যমাল্যবিভূষিতা, দিব্যাম্বরধরা খড়্গখেটকধারিণীতাঁর বর্ণ বালার্কসদৃশ, তাঁর আনন পূর্ণচন্দ্রনিভ এবং তিনি চতুর্ভূজা চতুর্ব্বক্ত্রাআবার তিনি কৃষ্ণবর্ণা অষ্টভূজারূপেও পূজিতা হনতাঁর আট হাতে রয়েছেবর, অভয়, পানপাত্র, পঙ্কজ, ঘন্টা, পাশ, ধনু মহাচক্রতাঁর কুণ্ডল দিব্য, মাথায় উৎকৃষ্ট কেশবন্ধ দিব্য মুকুটবেণী কটিসূত্র পর্যন্ত লম্বিতদেবী মহিষাসুরমর্দ্দিনী এবং বিন্ধ্যবাসিনী

 
ব্রহ্মার দুর্গাপূজা: 

শ্রীশ্রীচণ্ডী গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে সংক্ষেপে মধুকৈটভের উপাখ্যানটি বর্ণিত হয়েছে : প্রলয়কালে পৃথিবী এক বিরাট কারণ-সমুদ্রে পরিণত হলে বিষ্ণু সেই সমুদ্রের উপর অনন্তনাগকে শয্যা করে যোগনিদ্রায় মগ্ন হলেনএই সময় বিষ্ণুর কর্ণমল থেকে মধু কৈটভ নামে দুই দৈত্য নির্গত হয়ে বিষ্ণু নাভিপদ্মে স্থিত ব্রহ্মাকে বধ করতে উদ্যত হলভীত হয়ে ব্রহ্মা বিষ্ণুকে জাগরিত করবার জন্যে তার নয়নাশ্রিতা যোগনিদ্রার স্তব করতে লাগলেনএই স্তবটি গ্রন্থে উল্লিখিত চারটি প্রধান স্তবমন্ত্রের অন্যতমএই স্তবে সন্তুষ্টা দেবী বিষ্ণুকে জাগরিত করলে তিনি পাঁচ হাজার বছর ধরে মধু কৈটভের সঙ্গে মহাসংগ্রামে রত হলেনমহামায়া শেষে দুই অসুরকে বিমোহিত করলে তারা বিষ্ণুকে বলে বসে, “আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা প্রীত; তাই আপনার হাতে মৃত্যু হবে আমাদের শ্লাঘার বিষয়পৃথিবীর যে স্থান জলপ্লাবিত নয়, সেখানে আপনি আমাদের উভয়কে বিনাশ করতে পারেনবিষ্ণু বললেন, “তথাস্তুএবং অসুরদ্বয়ের মাথা নিজের জঙ্ঘার উপর রেখে তাদের বধ করলেন


 শিবের দুর্গাপূজা:
 সত্যযুগে ত্রিপুর নামক এক অসুর ছিলোত্রিপুর আসলে তিন রকমেরতারকাক্ষ, কমলাক্ষ বিদ্যুন্মালীব্রহ্মার বরে সে হয়ে উঠলো অতীব শক্তিধর মায়াবীঅসুরলোকের একচ্ছত্র সম্রাট হয়ে ভীষন আস্ফালন করে বেড়াতে লাগলোদুর্ধর্ষ এই অসুর স্বর্গ আক্রমণ করে দেবতাদের বিতারিত করে স্বর্গ সম্রাট হয়ে বসলোহতভাগ্য দেবতাগণ ব্রহ্মলোকে গমন পূর্বক প্রজাপতি ব্রহ্মাকে নিজেদের দুর্দশার কথা জানালেনব্রহ্মা বললেন- “ভগবান শিব ভিন্ন সেই অসুরকে বধ করতে আর কেউ সক্ষম ননব্রহ্মা, বিষ্ণু অনান্য দেবতারা কৈলাসে গিয়ে ভগবান শিবের বন্দনা করে বললেন- “প্রভু, সৃষ্টি রক্ষার্থে আপনি সেই দুরাচারী ত্রিপুরাসুরকে বধ করুনভগবান শিব বললেন- “প্রজাপতি, ত্রিপুরাসুরকে বধ করা এত সহজ নয়আপনি তাহাকে অতুলিত বলশালী হবার বর দিয়েছেনসেই অতুলিত বলীয়ান ত্রিপুরকে বধ করতে মহাস্ত্র অযূত বল প্রয়োজন
ব্রহ্মা বললেন- “হে পিনাকপাণিস্বয়ং ভগবতী সমস্ত শক্তির উৎসাতিনি মহাশক্তিআপনি তাঁহারই তপস্যা করিয়া তাঁহাকে তুষ্টা করিয়া অতুলিত বল মহাস্ত্র লাভ করুনভগবান আশুতোষ তখন মহাকাল বনে আসলেনএখানে শ্মশানে তিনি ভগবতীর তপস্যা করলেনভগবতী তাঁর সামনে চণ্ডীরূপে প্রকটিতা হলেনসেই দেবীর গলে মুণ্ডমালা, ব্যাঘ্রচর্ম পরিহিতা হুঙ্কার কারিনীদেবী বললেন- “প্রভুআপনার তপস্যা সফল হয়েছেআমি আপনাকে অযূত বল মহাস্ত্র পাশুপাত প্রদান করিতেছিমহাকাল বন পরে উজ্জয়নী নামে পরিচিত হয়যাই হোক ভগবান শিব অস্ত্রাদি ধারন করে ভীষন ভৈরব মূর্তি ধরে ত্রিপুরাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করলে ত্রিপুরাসুর অসংখ্য অসুর সেনা পরিবৃত হয়ে যুদ্ধে আসলোভগবান শিব বললেন- “ওহে অসুরতুমি মহা মূর্খযদি প্রান বাঁচাতে চাও তবে অধর্ম মার্গ পরিত্যাগ করো, অন্যথায় যুদ্ধে আমি তোমাকে সংহার করবোত্রিপুরাসুর আক্রমণ করলে মহাদেব স্বীয় অস্ত্রাদি দ্বারা অসুরদের বিনাশ করতে লাগলেনবাণ, খড়গ, ত্রিশূল, শূলে অসুরদের বধ করে করে ত্রিপুরাসুরের সৈন্য সংখ্যা হ্রাস করলেনএরপর পাশুপাত প্রয়োগে ত্রিপুরাসুরের বিনাশ করলেনদেবতারা হারানো রাজ্য ফিরে পেলো, ধরণী অসুর আতঙ্কমুক্ত হল


 ইন্দ্রের দুর্গাপূজা:
 একদিন ভ্রমণ করছিলেন দুর্বাসাসাক্ষাত্হল অপ্সরা বিদ্যাধরীর সঙ্গেঅপ্সরার কণ্ঠে এক অপূর্ব পুষ্পহার দেখে মুগ্ধ হলেন দুর্বাসাস্বর্গীয় সেই কণ্ঠহার তাঁকে দিয়ে দিলেন অপ্সরাওটা গলায় পরেই পদব্রজে এগোচ্ছিলেন ঋষি বার দেখা হল ঐরাবতে আসীন দেবরাজ ইন্দ্রর সঙ্গেতাঁকে ওই কণ্ঠহার উপহার দিলেন দুর্বাসাকোথায় রাখবেন বুঝে না পেয়ে সেটা ঐরাবতের মাথায় রাখলেন ইন্দ্রএদিকে ফুলের গন্ধ মোটেও ভাল লাগল না ঐরাবতেরসে মাথা ঝাঁকিয়ে ফেলে দিল পুষ্পহারপা দিয়ে পিষ্ট করে দিল সেটাব্যস! রগচটা স্বভাবের ঋষি অমনি জ্বলে উঠে উচ্চারণ করলেন অভিশাপঅদ্ভুত সেই অভিশাপতিনি বললেন, কী! আমার দেওয়া মালা মাটিতে ফেলে দিলে, তাই তোমার ত্রিলোক এখন লক্ষ্মীছাড়া হবেঅর্থাৎ, লক্ষ্মীর নির্বাসনদুর্বাসা মুনির অভিশাপে লক্ষ্মীকে হারালেন ইন্দ্রস্বর্গ লক্ষ্মীছাড়া হলদেবতারা শক্তিহীন হয়ে পড়লেনলক্ষ্মী স্বর্গ ছেড়ে আশ্রয় নিলেন সমুদ্রবক্ষেভগবান বিষ্ণু দেবতাদের সমাধান দিলেন যে অসুরদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষিরোদসাগর মন্থন করলে তবেই লক্ষ্মীকে ফেরত পাওয়া যাবেসঙ্গে উঠবে অমৃততা পান করে দেবতারা আবার শক্তি ফিরে পাবেনবিষ্ণুর পরামর্শে মন্দর পর্বত হলেন মন্থন দন্ড আর বাসুকি নাগ হলেন মন্থনের দড়িঅসুরদের রাজা বলির কাছে গেলেন দেবরাজ ইন্দ্রসমুদ্রমন্থনে সাহায্যের বিনিময়ে অসুরেরাও পাবেন অমৃতের ভাগএই শর্তে অসুরকুল রাজী হলকিন্তু হলে হবে কি, অসুরেরা মন্দর পর্বতকে তুলে এনে যেই না সমুদ্রে ফেলল, পুরোটাই গেল ডুবেশেষে বিষ্ণু কূর্মরূপে মন্দর পর্বতের নিচে গিয়ে প্রবেশ করলেনবাসুকির মাথার দিক ধরল অসুরেরা আর লেজের দিক দেবতারামন্থন শুরু হলদিনের পর দিন কাটে, কিন্তু না লক্ষ্মী, না অমৃতহাঁপিয়ে ওঠা বাসুকির বিষে সব সমুদ্র বিষাক্ত হলসৃষ্টি লোপ পাওয়ার যোগাড়ইন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করলেনপুরানের ইতিহাসে সেটি ছিল চতুর্থ দুর্গাপূজামহাদেবকে অনেক বুঝিয়ে আনা হলতিনি সব বিষ পান করে কন্ঠে ধারণ করে নিয়ে হলেন নীলকন্ঠআর যেটুকু আশপাশ দিয়ে পড়ে গেল, তা গ্রহণ করে নিল সাপ আর বিছে-রানতুন উদ্যমে শুরু হল সমুদ্রমন্থনপরপর কত রকমের জিনিস উঠতে লাগলপ্রথমে উঠল সুরভী ধেনুনিলেন ঋষি-রাদুধ-ঘি লাগবে তো, যজ্ঞের জন্য! তারপর উচ্চৈঃশ্রবা ঘোড়ানিলেন ইন্দ্রতারপর উঠল অনেক হাতিতারমধ্যে সাদা ঐরাবত- কে নিলেন ইন্দ্রবাকিরা চলে গেল স্বর্গেকৌস্তভ-মণি উঠল, বিষ্ণু তা নিজের গলায় ধারণ করলেন
তারপর উঠল পারিজাত কল্পতরুতার স্থান হল ইন্দ্রের বাগান, নন্দনকাননেএরপর যখন পরপর সুন্দরী অপ্সরারা উঠলেন, তারা স্থান পেলেন স্বর্গেঅসুরেরা কিছুই পেল নাত্রিভুবন আলো করে অবশেষে উঠলেন লক্ষ্মীএতক্ষন অসুরেরা তো কিছুই পায় নিতাই লক্ষীকেই চেয়ে বসলআবার দেবতাদের আসল উদ্দেশ্য হল লক্ষ্মীলাভতারাও ছাড়বেন নারফা হল সয়ম্বরা হবেন তিনিশেষে লক্ষ্মী বরুনের দেওয়া বৈজয়ন্তী মালা দিয়ে বরণ করলেন নারায়ণ-কেআবার মন্থন শুরু হলবারুনী সুন্দরী উঠতেই অসুরেরা তাঁকে ধরে নিয়ে চলে গেলেনএরপর ঊঠল এক কৃষ্ণবর্ন সৌম্যকান্তি এক পুরুষহাতে অমৃতের কলস।। হুড়োহুড়ি লেগে গেল, কে নেবে সেই কলস।। বিষ্ণু বিপদ দেখে অসুরদের ছলনা করতে মোহিনী-রূপ ধারন করলেনমোহিনীর সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে অসুরেরা রাজী হল যে মোহিনীর ইচ্ছামত ভাগ হবে অমৃতদেবতা আর অসুরেরা খুব উৎসাহে দুই সারিতে বসে পড়লেনমোহিনী প্রথমেই অমৃত দিলেন দেবতাদেররাহু আর কেতু আগে অমৃত পাওয়ার লোভে ছলনা করে দেববেশে দেবতাদের সারিতে বসেছিলেনচন্দ্র আর সূর্য তা দেখতে পেয়ে যেই বিষ্ণুকে জানালেন, বিষ্ণু অমৃত গলা দিয়ে নামার আগেই সুদর্শন চক্র দিয়ে তাদের মুন্ডু কেটে ফেললেনদেবতাদের দিতে দিতে অমৃত শেষ হলঅসুরেরা বঞ্চিত হলেনবিষ্ণু তাঁর উদ্দেশ্য সফল করে চলে গেলেন বৈকুন্ঠেঅমৃতের জন্য আবার শুরু হল দেবাসুরে লড়াইকিন্তু অমৃতের বলে দেবতারা তখন অমরতাঁরা অনায়াসে হারিয়ে দিলেন অসুরদেরঅসুরেরা স্বর্গ ছেড়ে পালালেন


রামায়ণ: শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধন শারদীয়া দুর্গা পূজা:
শ্রীরামচন্দ্র রাবন-বধের জন্য ব্রহ্মা অন্যান্য দেবতাদের সঙ্গে দেবীর কৃপা লাভ করবার উদ্দেশ্যে শরৎকালে দেবীর পূজা করেছিলেনআমাদের ছয় মাসে দেবতাদের একদিন, এবং ছয় মাসে তাঁদের একরাতমাঘ থেকে আষাঢ় পর্যন্ত ছয় মাসকে উত্তরায়ণ, এবং শ্রাবণ থেকে পৌষ পর্যন্ত ছয়-মাসকে দক্ষিণায়ন বলা হয়উত্তরায়ণের সময় দেবতারা জাগ্রত থাকেনঅপরপক্ষে, দক্ষিণায়নের সময় তাঁরা নিদ্রিত থাকেনশরৎকাল পড়ে দক্ষিণায়নের মধ্যেদেবতারা তখন নিদ্রিততাই সময় তাঁদের পূজা করতে হলে প্রথমে তাঁদের জাগাতে হবেসেইজন্য ব্রহ্মা দেবীর বোধন করলেনতাঁকে জাগরিত করে তাঁর পূজা করলেন
বাল্মীকি রামায়ণে এই পূজার কোন উল্লেখ নেইযেসব পুরাণে এই পূজার উল্লেখ আছে, সেসব পুরাণের মতে দেবীর বোধন বা পূজা রামচন্দ্র নিজে করেননি, করেছিলেন ব্রহ্মাদেবী ভাগবতে বোধনের কোন উল্লেখ নেইযাই হোক, দেবীকে অসময়ে জাগিয়ে পূজা করতে হয়েছিল বলে এই বোধনকে অকাল বোধন বলা হয়
দেবীভাগবত কালিকাপুরাণে এই পূজার বিশদ বিবরন পাওয়া যায়লঙ্কার যুদ্ধে অসময়ে কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ হলে রামচন্দ্রের অমঙ্গল আশঙ্কায় দেবতারা সকলে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেনএবং তাঁর মঙ্গল বিধানার্থে শান্তি-স্বস্ত্যয়নাদি করবেন ঠিক করলেন-বিষয়ে পরামর্শের জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁরা পদ্মযোনি ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেনদেবতাদের থেকে সব শুনে ব্রহ্মা তাঁদের দুর্গতিনাশিনী দুর্গার পূজা করতে পরামর্শ দিলেনশুধু তাই নয়, রামচন্দ্রের মঙ্গলবিধানার্থ ব্রহ্মা স্বয়ং এই পূজায় ব্রতী হতে সম্মত হলেনআগেই বলা হয়েছে শরৎকাল পড়ে দক্ষিণায়নের মধ্যেদেবতারা তখন নিদ্রিতকাজেই ঐসময় তাঁদের পূজা করতে হলে প্রথমে তাঁদের জাগরিত করতে হবেতাই দেবীকে জাগরিতা করবার জন্য ব্রহ্মা অন্যান্য দেবতাদের সঙ্গে করজোড়ে দেবীর স্তব করলেন—- হে দেবী, তুমি গিরিবাসিনী বিল্বদলবাসিনী, তুমি দুর্গা, দুর্গতিহরা, শান্তা, শান্তজনপ্রিয়া, পদ্মালয়া, পদ্মনয়না সহস্রদলবাসিনীহে দেবী, তুমি স্বাহা, তুমি স্বধা, তুমি লজ্জা, তুমি বুদ্ধি এবং তুমিই ত্রিবিধপ্রসবিনী; তোমাকে নমস্কার”(বৃহদ্ধর্মপুরাণ, পূর্বখন্ড)স্তবে তুষ্টা দেবী কুমারী-মূর্তিতে দেবতাদের সম্মুখে আবির্ভূতা হয়ে বললেন আপনারা আগামীকাল বিল্ববৃক্ষমূলে দেবীর বোধন করুনআপনাদের প্রার্থনায় তিনি প্রবুদ্ধা হবেনতাঁকে প্রবুদ্ধা করে যথারীতি অর্চনা করলে রামচন্দ্রের কার্যসিদ্ধি হবেসেই অনুসারে দেবগণসহ ব্রহ্মা মর্তে এলেন এবং সেখানে অতি দুর্গম নির্জন একস্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ ঘন পত্ররাশির মধ্যে বিনিদ্রিতা পরমাসুন্দরী এক বালিকা মূর্তিকে দেখতে পেলেন

এই বালিকা মূর্তিই জগজ্জননী মহাদেবী-–ব্রহ্মার এরূপ অনুভব হওয়ায় নতজানু হয়ে দেবগণসহ তিনি দেবীর বোধন স্তব পাঠ করলেনব্রহ্মা যে স্তব পাঠ করলেন, তাতে আছে——–

জানে দেবীমীদৃশীং ত্বাং মহেশীং
ক্রীড়াস্থানে স্বাগতাং ভূতলেহস্মিন্
শত্রুস্ত্বং বৈ মিত্ররূপা দুর্গে
দুর্গম্যা ত্বং যোগীনামস্তরেহপি।।

ত্বং বৈ শক্তী রাবণে রাঘবে বা
রুদ্রেন্দ্রাদৌ ময্যপীহাস্তি যা
সা ত্বং শুদ্ধা রামমেকং প্রবর্ত-
তাং ত্বাং দেবীং বোধয়ে নঃ প্রসীদ

ব্রহ্মার স্তবে দেবী জাগরিত হলেন এবং তাঁর বালিকামূর্তি ছেড়ে চন্ডিকারূপে ব্যক্ত হলেনতখন ব্রহ্মা বললেন—–

ঐং রাবণস্য বধার্থায় রামসানুগ্রহায়

অকালে তু শিবে বোধস্তব দেব্যা কৃতো ময়া

মা, আমরা অকালে তোমাকে ডাকছি রাবনবধে রামচন্দ্রকে অনুগ্রহ করবার জন্যশুধু তাই নয়রাবনস্য বধং যাদবর্চয়িষ্যামহে বয়ম্ যতদিন পর্যন্ত না রাবণ বধ হয়, ততদিন আমরা তোমার অর্চনা করে যাবআরও কথা, আমরা যেভাবে বোধন করে তোমার অর্চনায় ব্রতী হয়েছি, যতকাল ধরে এই সৃষ্টি থাকবে, ততকাল যুগ যুগ ধরে মানুষ তোমার অর্চনা করবেতুমি কৃপা করে তোমার সর্বশক্তি দিয়ে রাবণবধে রামচন্দ্রের সহায়ক হওস্তবে তুষ্টা দেবী বললেনঃ সপ্তমী তিথিতে আমি রামচন্দ্রের দিব্য ধনুর্বাণে প্রবেশ করবঅষ্টমীতে রাম-রাবণে মহাযুদ্ধ হবেঅষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাবণের দশমুন্ড ছিন্ন হবে, আর সেই ছিন্নমুন্ড পুনর্যোজিত হলে নবমীতে রাবণ নিহত হবেদশমীতে রামচন্দ্র বিজয়োৎসব করবেনএই দুর্গোৎসব স্মরণ করেই আমাদেরও শারদীয়া মহাপূজাএই দ্বন্দ্বময় বিচিত্র জগতের মানুষ অন্তরে বাইরে উভয় দিকেই শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিতধনী-নির্ধনের সংঘাত, উচ্চ-নীচের ভেদ, সবলের হস্তে দুর্বলের নির্যাতন এসবই মানুষের বাইরের শত্রুএদের দৌরাত্মে জগতে আজ মানবিক মূল্যবোধ বিপর্যস্ততাই যুদ্ধে এদের পরাভূত করতে না পারলে মানুষের জাগতিক অগ্রগতি, অভ্যুদয় অসম্ভব ; অপরপক্ষে, দুর্দমনীয় ভোগ-লালসা, দম্ভ, দর্প, অভিমান, ক্রোধ ইত্যাদি মানুষের অন্তঃশত্রু, তাই বোধনের এই পুণ্যলগ্নে দেবতাদের মতো আমাদেরও সংকল্প গ্রহণ করতে হবে যে হে দেবী, যতদিন পর্যন্ত না আমাদের বাহ্য আন্তরশত্রুরূপী রাবণকে আমরা যুদ্ধ পরাভূত করে বধ করতে পারছি, ততদিন আমরা তোমার অর্চনা থেকে বিরত হব না, হে সর্বশক্তিস্বরূপিণী দেবী, তুমি কৃপা করে সর্বশক্তি দিয়ে শত্রু বিনাশে সর্বতোভাবে আমাদের সহায় হও
 

মহাভারত: যুধিষ্ঠির, অর্জুন দ্বারা পূজিতা দেবী দুর্গা:
পাশা খেলায় শকুনির কাছে দ্বিতীয়বার পরাজিত হয়ে পাণ্ডবদের বারো বছর বনবাস এক বছরের অজ্ঞাতবাস হয়অজ্ঞাতবাসের সময়টি ছিল বেশ কঠিনকারণ, এই সময় পাণ্ডবরা দুর্যোধনাদি কৌরবদের কাছে ধরা পড়ে গেলে তাঁদের আবারও লুকিয়ে লুকিয়ে কাটাতে হবেএমন করে তো অনন্তকাল চলতে পারে নাএই চক্র থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যুধিষ্ঠির দেবী দুর্গার শরণ নিলেনঅজ্ঞাতবাস বড় কঠিন সময়খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি আছে নানারকমের দুঃখসবচেয়ে বড় যেটা, তা হলএই বুঝি ধরা পড়ে গেলাম, এই আশঙ্কাদ্রৌপদীসহ পাণ্ডবরা যখন মৎস্যনগরে ঢুকছেন, তখন মনে মনে যুধিষ্ঠির ত্রিভুবনেশ্বরী দুর্গার স্তুতি করেছিলেন

যুধিষ্ঠিরের স্তবে তুষ্ট দেবী দুর্গা তাঁকে নির্বিঘ্নে অজ্ঞাতবাসের বর দান করে অন্তর্হিতা হলেন

ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গণে আসন্ন মহাযুদ্ধের ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কৌরবাধিপতি দুর্যোধনের বিপুল সমরসজ্জা দেখে প্রিয় সখা নরোত্তম অর্জুনকে বিজয় মঙ্গলের জন্য শুদ্ধচিত্তে দুর্গাদেবীর শরণ গ্রহণে আদেশ দেন

শুচির্ভূত্বা মহাবাহো সংগ্রামাভিমূখেস্থিতঃ

পরাজয়ায় শত্রুনাং দুর্গাস্তোত্র মুদীরয়

বাসুদেবের নির্দেশানুসারে তখন অখিলপ্রিয় তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন রথ থেকে নেমে নতজানু হয়ে করজোড়ে কাতর প্রার্থনা জানিয়ে দুর্গাস্তুতি পাঠ করেছিলেন দেবীকে বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষিত করে

নমস্তে সিদ্ধসেনানি আর্যে

মন্দরবাসিনি

কুমারি কালি কাপালি

কপিলে কৃষ্ণ-পিঙ্গলে

ভদ্রকালি নমস্তুভ্যম্ মহাকালি

নমোস্তুতে

চণ্ডিচণ্ডে নমস্তুভ্যম্ তারিণি

বরবর্ণিনি

হে ভদ্রকালী! আপনাকে নমস্কার, মহাকালী! আপনাকে নমস্কার, চণ্ডী, চণ্ডেতারিণী! বরবর্ণিনী! আপনাকে নমস্কার!

অর্জুনের ভক্তিতে সন্তুষ্টা জগন্মাতা দুর্গা আকাশপটে উদিতা হয়ে ধনঞ্জয়কে সেই মহারণে শত্রুজয়ের বর প্রদান করে তৎক্ষণাৎ অন্তর্হিতা হয়েছিলেন

স্বল্পেনৈব তু কালেন শত্রুন্ জেষ্যসি পাণ্ডব

হে অর্জুন, অল্পকালের মধ্যেই তুমি শত্রুগণকে জয় করতে পারবে

অর্জুনের তৈরি দুর্গামন্দির:

কৃষ্ণা নদীর ধারে সাজানো শহর বিজয়ওয়াড়াশহরকে ঘিরে রেখেছে পূর্বঘাট পর্বতমালাপাহাড়ের প্রায় মাথার কাছে কনক দুর্গা মন্দিরস্থানীয় মানুষের কাছে কনক দুর্গা বড়ই জাগ্রতকনক দুর্গার আর এক নাম বিজয়াসেই থেকেই এই শহরের নাম বিজয়ওয়াড়াকথিত আছে, এক সময়ে অসুররাজ মহিষাসুরের তাণ্ডবে বিজয়ওয়াড়ার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেনতখন মহিষাসুরকে বধ করে শহরবাসীকে এই অশুভ শক্তির হাত থেকে রেহাই দেন কনক দুর্গাআবার এখানেই শিবের উপাসনা করেপাশুপথাস্ত্রঅর্জন করেন পাণ্ডুপুত্র অর্জুনপরে অর্জুনই এখানে কনক দুর্গা মন্দিরটি তৈরি করেন

 

ছবি সৌজন্যঃ vajiramias.com


0 comments

Saurav Chakraborty

Saurav Chakraborty

Shared publicly - 24th Oct, 20 10:18 am

বড়ো ভালো লেখেন আপনি।

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait