গত তিন দিন সারাদিন শুধু একটিই খবর ছিল। তা হল সাইক্লোন ‘ফণী’ উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ে বাংলার দিকে তীব্র গতিতে এগিয়ে এসে ধ্বংসাত্মক রূপ নেবে। তা নাকি হবে আইলার থেকেও ভয়ংকর। বিজ্ঞানী এবং আবহবিদরা সতর্ক। প্রশাসন ত্রাণ এর উপকরণ নিয়ে তৈরী। নিউজ চ্যানেল গুলিতে সবসময়ই এক খবর, কখন ফণী এই বাংলার বুকে আছড়ে পড়বে। আর একদল মানুষ প্রার্থনায় রত। দিবারাত্র তাঁরা প্রার্থনা করে গেছেন যাতে এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কাল রাতে সবাই উদ্বিগ্ন মনে ছিলেন এইরকমই ধারনা আমার।
কিন্ত সবার উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে তিনি আবার প্রমাণ করলেন যে তিনিই চ্যাম্পিয়ন। ফণীর ফনাকে কোনো এক যাদুমন্ত্রে নুইয়ে দিয়ে তিনি তার মাথায় পদাঘাত করে তাকে যেন ঘুম পাড়িয়ে দিলেন। যেমন দ্বাপর যুগে কালিয় নাগ এর মাথায় নেচে তাঁর বিষ নিস্বেশ করে দিয়েছিলেন। তিনি আবার বুঝিয়ে দিলেন তাঁর ইচ্ছের কাছে আমরা কীটপতঙ্গ মাত্র। শ্রীমা বলেছিলেন, “ঈশ্বরেচ্ছা ছাড়া কিছু হবার জো নেই, সব তাঁর ইচ্ছা”।
ADVERTISEMENT
তবু আমরা আধুনিক মানুষ আবার বলব ঈশ্বর কে? বিজ্ঞানই বড় কথা। তুমুল তর্ক চলবে ঈশ্বরবাদী আর নিরীশ্বরবাদী দের মধ্যে। আবার যখন বিপদে পড়ব তখন তাঁকে ডাকব। আসলে এই দ্বৈতসত্বাই আমাদের পতনের কারন। স্বামীজী বলেছিলেন, “ভন্ড হওয়ার থেকে নাস্তিক হওয়া ভাল”। আমরা দুটোই নই। কিন্তু তাঁর সুবিশাল চোখ মেলে দয়ার পাবন হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি আমাদের রক্ষা করবেন। আমরা সবাই যে তাঁর সন্তান ।
0 comments