স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোর সেমিফাইনালে গোটা ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখিয়েও, ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হল না স্পেনের। ভালো খেলা উপহার দিল স্পেন, অথচ ট্রাইবেকারে জিতে ফাইনালে উঠল ইতালি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফল ১-১ থাকার পর ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি টাইমে। সেখানেও ফয়সালা না হওয়ায় টাইব্রেকারে পৌঁছায় ম্যাচ। ৪-২ গোলে টাইব্রেকারে সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে মানচিনির ইতালি।
ইটালির ছন্দকে বেসামাল করতে শুরুতেই দুর্দান্ত চাল দিয়েছিলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। প্রধান স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাকে বসিয়ে প্রথম দলে রাখেন গত পাঁচ ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নামা মিকেল ওইয়ারহাবালকে। প্রথমার্ধে নিজেদের সাবলীল খেলাটা মেলে ধরতে পারেনি ইটালি। বাধ্য হয়ে চিরো ইমমোবিলেরা প্রেসিং ফুটবলে বিপক্ষকে পাল্টা চাপ দিতে গিয়েছিল। দু’দলই প্রথমার্ধে আক্রমণে লোক বাড়াতে দেরি করেছে। ২৫ মিনিটে স্পেনের ওলমোর গোলের প্রচেষ্টা রুখে দেয় গোলকিপার ডোনারুমা। ৪৩ মিনিটে ইটালির এমার্সনের শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরতে শুরু করে ইটালি। স্পেনের পাসিং ফুটবল ভাঙতে মানচিনির স্ট্র্যাটেজি লং বল আর নিজেদের মধ্যে ব্যাকপাস-স্কোয়ার পাস খেলে একটা ফলো থ্রু। যা আচমকা ভেঙে দিতে পারে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে। যার ফল পেলেন ম্যাচের ৬০ মিনিটে। ইম মোবিলের পাশ থেকে জোরালো শটে গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন চিয়েসা। ফের শক্তিশালী তিকিতাকা দিয়েই ম্য়াচে ফেরার চেষ্টা শুরু স্পেনের। আর গোলমুখ খুলতে ফেরান টরেসকে বসিয়ে নামানো হয় মোরাতাকে। এনরিকের স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগল ম্যাচের ৮০ মিনিটে। লাপোর্তের থেকে পাস পেয়ে ওলমোর সঙ্গে একবার ওয়ান-টু-ওয়ান খেলেই ইতালির জালে বল জড়ালেন পরিবর্ত হিসেবে নামা মোরাতা। নির্ধারিত সময়ের বাকি ১০ মিনিট খুঁজে পাওয়া যায়নি ইতালির মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল হয় ১-১। ইনজুরি টাইমেও সুযোগ তৈরি হলেও গোল এলনা । ম্যাচের ভবিষ্যত এবার টাইব্রেকারের হাতে। আর সেখানেই গোটা ম্যাচে নজরকাড়া ফুটবল খেলা স্পেনের ভাগ্যে জুটল না ফাইনালে ওঠার সুযোগ।
ADVERTISEMENT
0 comments