রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতের অবস্থান নিয়ে নানান মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের শান্তির নীতির প্রশংসা করেছে সব পক্ষই। গতকালই সংসদে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, “ভারত শুধুমাত্র শান্তির পক্ষে।” এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন ডোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রতিনিধি আলেকসান্ড্রোভিচ বাসুরিন।
তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে সাবধান থাকা উচিৎ ভারতের। কারণ ওরা ভারতকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। তবে সেখানেই শেষ নয়, এর পরে ভারতের দিকে হাত বাড়াবে তারা।” কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ নেবে পশ্চিমী দেশগুলি যেখানে ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভাল।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে গভীর চাপানউতোর।
ADVERTISEMENT
ডোনেৎস্কের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, “রাশিয়ার মতো ভারতও বৈচিত্রময় দেশ। সেখানে বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন, তাদের বিশ্বাস আলাদা। ভারত অনেক বড় দেশ, সেখানে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে।” এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ভারতের ঐক্য নষ্ট করা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও নিরপেক্ষ অবস্থানে অনড় থেকেছে ভারত। এর আগেও আমেরিকার পক্ষ থেকে ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অতিরিক্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভাল ভাবে নেবে না তারা। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা উচিৎ অপর দেশগুলির।
সেই প্রসঙ্গে বাসুরিন বলেছেন, “আমি ডোনেৎস্কে থাকি, যা ঘটেছে সব আমার চোখের সামনে ঘটেছে। ভারত কেন মনে করছে ইউক্রেনে ঢুকে রাশিয়া আক্রমণ করেছে? ইউক্রেনীয় সেনা এসে ডোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করেছে। এটা আমাদের যুদ্ধ।”
রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার আগেই ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক প্রদেশ দু’ টিকে স্বাধীন ঘোষণা করেছিল। বাসুরিনের মতে, ইউক্রেনের অধীনে থাকতে চান না তাঁরা। তিনি বলেছেন,”আমাদের বিশ্বাস, ভাষা পরিত্যাগ করতে চাই না আমরা। আমাদের জীবনযাত্রা, আমাদের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।” সেই কারণেই রাশিয়া দোনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে বলে দাবি তাঁর।
0 comments