স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটিং থেকে বোলিং বিভাগ নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু কোনও পরীক্ষাই কাজে লাগল না টিম ইন্ডিয়ার জন্য। আবারও রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় অস্তাচলে টিম ইন্ডিয়া। গত রবিবারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর, প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল গোটা দল। এরপর সমালোচনা কাটিয়ে এক সপ্তাহ অনুশীলনের পর ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে এই রবিবার কিউয়ি অভিযানে নামে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এদিনও লজ্জার হার। ৮ উইকেটে বিরাটদের উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বোলিং সামলে ১৫০ রান পার করতে পারলেও, এদিন মাত্র ১১০ রানেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ভারতের। যা টি-২০ ম্যাচে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দেশের কাছে অতি সাধারণ টার্গেট ছিল। যা মাত্র ১৪ ওভার ৩ বলেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতে নেয় কেন উইলিয়ামসনের দল। সূর্যকুমার যাদবের জায়গায় এদিন দলে আনা হয়েছিল ইশান কিষাণকে। ওপেনিং জুটিতে অভিনবত্ব আনতে ইশানের সঙ্গে নামানো হয় কেএল রাহুলকে। কিন্তু চরম ব্যর্থ ওপেনিং জুটি। রান পাননি রোহিত ও ক্যাপ্টেন কোহলিও। নিউজিল্যান্ড বোলারদের চাপে পড়ে পরপর উইকেট হারাতে থাকে ভারত। এই অবস্থায় হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন জাদেজা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোল্ট ৩টি উইকেট নেন। এছাড়াও, ইশ সোধি ২টি, সাউদি ১টি ও অ্যাডাম মিলনে ১টি উইকেট নেন।
ADVERTISEMENT
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তাড়া করতে থাকে। মার্টিন গাপটিল ২০ রান করে ফিরে যান। এরপর দলকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান করেন মিচেল। তিনি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও, সেই কাজটা করেন উইলিয়ামসন। ৩১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। ভারতের হয়ে দু’টি উইকেট নেন বুমরা। যদিও দলকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। উল্লেখ্য এদিন বোলিং বিভাগে অভিনবত্ব আনতে বরুণ চক্রবর্তীকে দিয়ে বোলিং স্পেল শুরু করে কোহলিরা। তবে বল হাতে এদিন রান কম দেন বরুণ। অন্যদিকে এদিনও ব্যর্থ শামি। ১ ওভারে ১১ রান দেওয়ায় শামিকে দিয়ে আর বল করানোর সাহস দেখাননি কোহলি। ফলে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নকআউটের রাস্তা পরিস্কার করে ফেলল কিউয়িরা।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দ্বিতীয় জয় আফগানিস্তানের । প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাশিদ খানরা । পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েও হারতে হয় নবিদের। কিন্তু নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ফের দাপট দেখালেন শাহজাদ-জাজাইরা। ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই নামিবিয়াকে কার্যত দাঁড়াতেই দিল না আফগানরা।টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। হজরতুল্লাহ জাজাই-মহম্মদ শাহজাদ ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ৫৩ রান। ২৭ বলে ৩৩ করেন জাজাই। ৩৩ বলে ৪৫ রানে আউট হন শাহজাদ। অসঘর আফগান করেন ২৩ বলে ৩১ রান। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করলেন আফগান। অধিনায়ক মহম্মদ নবি ১৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে সাজানো ৫টা চার আর ১টা ছয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নামিবিয়া। প্রথম ওভারেই ওপেনার ক্রেগ উইলিয়ামসকে আউট করেন নবীন উল হক। ডেভিড উইস ছাড়া কোনও ক্রিকেটারই কুড়ির ওপর রান করতে পারেননি। ২৬ রান করেন উইস। ৯৮ রানেই থেমে যায় নামিবিয়ার ইনিংস। ৩টে করে উইকেট নেন নবীন উল হক আর হামিদ হাসান। ২টো উইকেট সংগ্রহ করেন গুলবাদিন নায়েব। ১টি উইকেট নেন রাশিদ খান। ৬২ রানে নামিবিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল আফগানিস্তান। ভারত আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ দুটো ম্যাচ খেলবেন রাশিদ খানরা। ওই দুটো ম্যাচে অঘটন ঘটালেই বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের।
0 comments