স্পোর্টস ডেস্ক: বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধে জোনাথনের গোলে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের ফরাসি ফুটবলার বুমু না থাকায় মিডফিল্ড অঞ্চলে প্রথম থেকেই দখল ছিল বাংলাদেশের ক্লাবের। ফাহাদ, জোনি, ফার্নান্ডেজ ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন লেনি, দীপক, লিস্তন কোলাসোদের। ২৮ মিনিটে বক্সের বাঁদিক থেকে জোরালো শটে গোল করেন ফার্নান্ডেজ। বলটা এমন জায়গায় ড্রপ পড়ল, কিছুই করার ছিল না অমরিন্দর সিং - এর। অবশ্য এর কিছু আগে সহজ সুযোগ মিস করেন লিস্তন। ডেভিড উইলিয়ামসের বল ধরে ফাঁকা গোল পেয়েও বাইরে মেরে বসেন। ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহুর্তে লালকার্ড দেখেন বসুন্ধরার সুশান্ত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ১০জনের বসুন্ধরা কিংসকে চাপে ফেলতে শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ৬২ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে গোল করে হাবাসের দলকে সমতায় ফেরান ডেভিড উইলিয়ামস। অবশেষে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করে এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান। তবে গত দুটি ম্যাচে যেভাবে জ্বলে উঠেছিল এটিকে-মোহনবাগান, ততটা উদ্যমী মনে হল না সবুজ মেরুন দলকে।
ADVERTISEMENT
মঙ্গলবার ছিল দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন এর আগে স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া, মুম্বই এফসি, মুম্বই সিটিতে কোচিং করিয়েছেন। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে ধারণা ছিল তাঁর। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে শুরু করে বসুন্ধরা। আপফ্রন্টে ব্রাজিলের রবিনহো ও আর্জেন্তিনার রাউল বেকেরার উপর ভরসা করেছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোন।গ্রুপের শেষ ম্যাচেও ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজান হাবাস। মাজিয়ার বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে অবিন্যস্ত লেগেছে। তাই ডিফেন্ডারদের সহযোগিতা করার জন্য মিডিওদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিলেন কোচ। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংরা তাঁকে ভরসা দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল। এক পয়েন্ট আদায় করে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের পর্বে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান। গ্রুপ ডি'তে দু'টি ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে এটিকে মোহন বাগান। ৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষ দলকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলবার ড্রয়ের কথা ভাবেননি হাবাস।
0 comments