প্রকৃতির জন্য সময় (Time for Nature)

প্রকৃতির জন্য সময় (Time for Nature)

যেহেতু নতুন করোনা ভাইরাস পৃথিবী নামক গ্রহটিকে ঘিরে ফেলেছে, এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ভোগ, ক্ষতি ও জীবনের অনিশ্চয়তা ছেড়ে দিয়ে আমাদের মনে রাখতে হবে যে এটি প্রথম বিশ্বব্যাপী মহামারী নয় এবং সম্ভবত শেষটিও নয় (As the new Corona virus sweeps the planet, leaving suffering, loss, and uncertainty in its wake, we are reminded that this is not the first global pandemic and likely not the last.)। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রকৃতির ধ্বংসের দ্বারা সমাজের উপর বিপর্যয় বয়ে এনেছি (Each of us, directly or indirectly, has experienced the havoc unleashed on society by the destruction of nature.)। প্রকৃতি আজ ভাঙনের পথে। এক মিলিয়ন প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি সম্ভবত খুব শীঘ্রই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (Nature is on the verge of a breakdown. One million animal and plant species are likely to disappear – soon.)।

ইউনাইটেড নেশন এর থিমে যে গভীর বার্তা আছে, তা কি আমরা অনুভব করতে পারি?  এই যে প্রতিবছর অ্যামাজনের গভীর অরণ্যে আগুন জ্বলে, মাইলের পর মাইল বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যায়, বনের প্রাণীরা অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায়, এই যে আমাদের কোটি কোটি অতিরিক্ত মানুষের জন্য এত বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প যার জন্য বনাঞ্চল সাফ করতে হয়, পাহাড় কাটতে হয়, নদীর উপর বাধ দিতে হয়, সেতু বানাতে গিয়ে নদীর ভূমি আর গতির দফা রফা হয়ে যায়, নদীগুলো মরে যায়, নদীর জলে বেড়ে ওঠা প্রাণ প্রকৃতি মরে যায় আর কিছু মানুষের সম্পদ ফুলে ফেঁপে ওঠে। মানুষের বেপরোয়া ও অপ্রয়োজনীয় সম্পদ মজুদের বিরুদ্ধে মানুষ জাগেনি, কিন্তু প্রকৃতি ঠিকই নিজেকে রক্ষার জন্য জেগে উঠেছে।

ADVERTISEMENT



এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন যে মানুষের এই অতিরিক্ত লোভই প্রকৃতির প্রধান শত্রু। তাঁর ‘অরণ্য-দেবতা’ প্রবন্ধে তিনি দেখিয়েছেন যে মানুষ তার কাজে কত অসংযত। যেসব আচরণের জন্য মানুষের সঙ্গে বনের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে, সেসব সম্পর্কেও তিনি বলেছেন,- “মানুষ অমিতাচারী। যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণ ছিল তার আদানপ্রদান; ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল তখন অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারাল; যে তার প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল, সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে নির্বিচারে আক্রমণ করলে ইঁটকাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য। আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে শ্যামলা বন-লক্ষ্মী তাঁকে অবজ্ঞা করে মানুষ অভিসম্পাত বিস্তার করলে। আজকে ভারতবর্ষের উত্তর-অংশ তরুবিরল হওয়াতে সে অঞ্চলে গ্রীষ্মের উৎপাত অসহ হয়েছে। অথচ পুরাণপাঠক মাত্রেই জানেন যে, এক কালে এই অঞ্চল ঋষিদের অধ্যুষিত মহারণ্যে পূর্ণ ছিল, উত্তর ভারতের এই অংশ এক সময় ছায়াশীতল সুরম্য বাসস্থান ছিল। মানুষ গৃধ্নুভাবে প্রকৃতির দানকে গ্রহণ করেছে; প্রকৃতির সহজ দানে কুলোয় নি, তাই সে নির্মমভাবে বনকে নির্মূল করেছে। তার ফলে আবার মরুভূমিকে ফিরিয়ে আনবার উদ্যোগ হয়েছে। ভূমির ক্রমিক ক্ষয়ে এই-যে বোলপুরে ডাঙার কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে, বিনাশ অগ্রসর হয়ে এসেছে– এক সময়ে এর এমন দশা ছিল না, এখানে ছিল অরণ্য– সে পৃথিবীকে রক্ষা করেছে ধ্বংসের হাত থেকে, তার ফলমূল খেয়ে মানুষ বেঁচেছে। সেই অরণ্য নষ্ট হওয়ায় এখন বিপদ আসন্ন”।



রবীন্দ্রনাথ ‘রক্তকরবী’ লেখার উৎসাহ পেয়েছিলেন একটি দৃশ্য দেখে, যেখানে বাতিল একটি লোহার বস্তু দিয়ে একটি রক্তকরবীর গাছকে পিষে দেওয়া হচ্ছিল। শিলংয়ের এক রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তিনি এটা দেখেছিলেন। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল এমন এক রাজা, যে নিষ্ঠুরভাবে প্রকৃতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করছিল একটি যান্ত্রিক আমলাতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য। আরেকটি নাটক ‘মুক্তধারা’। মানুষের সীমাহীন লোভ ও প্রকৃতির নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলা হয়েছে এ নাটকে। গল্পের প্লট আবর্তিত হয়েছে একটি দানবীয় যন্ত্রকে কেন্দ্র করে, যেটি এক রাজা তৈরি করেছে বিশাল এক নদীর প্রবাহ আটকানোর জন্য। রাজকুমার রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য।

মানুষের সর্বগ্রাসী লাভ ও লোভের বর্ণনা দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলছেন, “বনজ সম্পদকে মানুষের অতিরিক্ত লোভের কবল থেকে বাঁচানো একটি বৈশ্বিক সমস্যা। স্রষ্টা জীবন দিয়েছেন, জীবনকে সাজানোর উপাদানও চারদিকে দিয়ে দিয়েছেন; কিন্তু লোভী মানুষ মৃত্যুর কৌশলই সরবরাহ করেছে শুধু।



মানুষ যখন থেকে আধুনিক সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে তখন থেকেই এক ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত অরণ্য বিনাশের পথে ছোটাছুটি করছে। জ্বালানির জন্য গাছ কাটছে। কিন্তু এতে বাস্তুসংস্থানের (ইকোলজি) ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এবং মানবসভ্যতা ধ্বংসের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ সময়ে রবীন্দ্রনাথ আবার আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতে একটি অদ্ভুত বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। এখানকার সভ্যতা নগরের পরিবর্তে অরণ্যে বিকশিত হয়েছে, ভারতের প্রথম আশ্চর্যজনক বিকাশ দেখা গেছে যেখানে, যেখানে মানুষে জীবন ধারণের জন্য আবদ্ধ হয়নি। এসব জায়গায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ছিল।

মানুষের ওপর স্রষ্টার অর্পিত সৃষ্টিসংক্রান্ত দায়িত্ব মানুষের অনুধাবন করা উচিত। যেকোনো ধরনের আক্রমণ সমগ্র পরিমণ্ডলের জন্য দুর্যোগে পরিণত হবে। এটা উপলব্ধি করার সময় এসেছে যে মানুষ ও প্রকৃতির ভবিষ্যৎ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।’


আজ ইউনাইটেড নেশন যে বিষয়ের উপর আলোকপাত করছেন তা হল, মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী অভ্যাসই যেকোনো মহামারী ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। কেননা মানুষ বন্য প্রাণী ও প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলের ভারসাম্য নষ্ট করছে। মানুষের এমন আত্ম বিধ্বংসী অভ্যাসগুলোকে তারা ‘আগুন নিয়ে খেলা’র সাথে তুলনা করেছেন।

তাই ‘প্রকৃতির জন্য সময়’ (Time for Nature) থিমে  যে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে তা হল করোনা ভাইরাস মহামারির লক-ডাউনের ফলে শিল্প কারখানা আর গাড়ির কালো ধোয়া অর্থাৎ কার্বনসহ ক্ষতিকর নানা রাসায়নিক নিঃসরণ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে বায়ু দূষণ, জল দূষণ কমে গেছে একেবারেই। এমনকি পৃথিবীর বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ওজোনস্তরও সেরে উঠেছে। লক-ডাউনের এক মাসের মাথায় বন্য প্রাণী নিধন বন্ধ হবার ফলে তাঁদের সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়েছে। এমনকি এখবরও মিলেছে যে প্রাণীগুলি বিলুপ্তির একেবারে দ্বারপ্রান্তে ছিল, তাঁদের প্রজাতিরা বিলুপ্ত না হয়ে আবার বংশ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। প্রাণ প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলে ফিরে আসতে শুরু করেছে সুসামঞ্জস্য ভাবে। শুধু প্রকৃতি আর বন্য প্রাণীই যে ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে তা নয়, ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে মানুষেরা নিজেরাই। বায়ু দূষণ জনিত সব ধরণের রোগ যেমন অ্যাজমা, কিডনি, হৃদরোগ, ফুসফুস-জনিত অসুখ ইত্যাদির হার ৪০% কমে গেছে বিশ্বজুড়ে এই মাত্র একমাসে।

ইউনাইটেড নেশনের বক্তব্য হচ্ছে আমরা পৃথিবীকে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে প্রকৃতি নিরাময় করতে সহায়তা করতে পারি। টম্পকিনস সংরক্ষণে আমরা জাতীয় উদ্যানগুলি তৈরি করতে কয়েক দশক ব্যয় করেছি। সম্প্রদায়, ব্যক্তি এবং সরকারের সাহায্যে আমরা আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ চিলির 14.5 মিলিয়ন একর জমি রক্ষা করতে সহায়তা করেছি। তবুও, এটি শুধুমাত্র একটি সূচনা হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এখন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জায়গাগুলিতে দেশীয় প্রজাতির নতুন জনসংখ্যা স্থাপনের জন্য কাজ করছি। দক্ষিণ চিলিতে, ডারউইনের রিয়ার ঝাঁকগুলি তৃণভূমিতে ফিরে আসছে। উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনার ইবেরা জলাভূমিতে একবারে বিলুপ্তপ্রায় লাল এবং সবুজ রঙের ম্যাকাও, দৈত্য নদী-ওটার এবং জাগুয়ারগুলি ফিরে আসছে।

ভবিষ্যতে আমাদের কি কি করতে হবে?
১। রাসায়নিক জ্বালানী ব্যবহারের পরিবর্তে বায়ো গ্যাস ও সৌর জ্বালানী ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। এখন বিশ্বব্যাপী আমরা জল, বিদ্যুৎ, নিউক্লিয় শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উদ্ভূত ও রূপান্তরিত জ্বালানী, প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত জ্বালানীর উপর নির্ভরশীল। এসব জ্বালানী প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য বিপজ্জনক তো বটেই, নিঃসরণ করে চলে অবিরত কার্বনসহ নানা রাসায়নিক যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ায় এবং বায়ু দূষণ সহ নানারকম দূষণ ঘটায়। অন্যদিকে সৌরকেন্দ্রিক জ্বালানী ও বায়োজ্বালানী তা করেনা। এধরণের জ্বালানী নিয়ে গবেষণা করে আরও উন্নতি ঘটাতে পারলে এবং এর ব্যবহার বাড়ালে পৃথিবীর চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে বলে মনে হয়।
 
২। ইঞ্জিন চালিত পরিবহন ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবহার করা। সাইকেল, স্কেটিং কিংবা বায়ো জ্বালানী চালিত যেকোনো পরিবহন যা কম শব্দ তৈরি করে এবং কোন ধরণের ধোঁয়া তৈরি করেনা, এমন পরিবহনের ব্যবহার বায়ু দূষণ কমিয়ে দেবে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণ পরিবহনের ব্যবহারও ট্রাফিক কমাবে, সময় বাঁচাবে।



৩। আমিষ খাওয়া কমানো। মাছ মাংসের শিল্প কারখানা অনেক সারা দুনিয়া জুড়ে, বিশেষত ইয়োরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া এসব শিল্পের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এসব থেকে নিঃসৃত কার্বন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ায়।

৪। কৃষি নির্ভর অর্থনীতি তৈরি করা সবচেয়ে ভাল উপায় প্রকৃতির সাথে সহাবস্থানের। এর মানে হল কৃষি কাজ করতে হবে মানুষকে। তবে পৃথিবীর অনেক অনুর্বর দেশের জন্য সেটা সম্ভব নয়। তাঁদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা কেন্দ্রিক অর্থনীতি তৈরি করা সবচেয়ে ভাল উপায় বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

৫। বন্য প্রাণী বেচা কেনা, শিকার এমনকি চিড়িয়াখানায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জীব জন্তুদের প্রদর্শনী বন্ধ করার সময় এসে গেছে। সারা পৃথিবী ব্যাপী বন্য প্রাণী শিকার ও কেনা বেচা হয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের। এর ফলে হাজার হাজার প্রজাতির বন্য প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে চিরতরে।

৭। এই পৃথিবীতে এখন ৭৫৯ কোটি মানুষ। যা আসলে পৃথিবীর ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বেশি। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়েই মূলত। তবে পৃথিবীর কোন দেশে জনসংখ্যা কমছে, আবার কোন দেশে অত্যধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা কারণে। তবু যে দেশগুলোতে বাড়ছে তাঁদের এই সমস্যাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে আজকের মহামারীতে বহুল কথিত সামাজিক দূরত্ব কখনই পালন করা সম্ভব হবে না।

৮। স্বাভাবিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস তৈরি করতে হবে স্কুলে ও পরিবারের মাধ্যমে। হাত ধোয়ার পাঁচটি নিয়ম আছে। দিনে মূলত পাঁচবার হাত ধুতে হয় – খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট সারার পরে, বাচ্চাকে ধরার আগে, রান্নার আগে এবং পরিবেশনের আগে ও পরে। এছাড়া মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, গ্লাভস ব্যবহার করা, সর্দি কাশি হলে সঠিক নিয়ম মেনে চলা ইত্যাদি অভ্যাসগুলো মহামারীর পরেও চালু রাখতে হবে আজীবন।



৯। ভ্রমণের মাধ্যমে যেন কোনভাবে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং বন্য প্রাণীদের জীবন যাপন বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন আমাদের দেশে অনেকে সুন্দরবন ও সেন্ট মার্টিনস ও পাহাড়ের মত প্রাকৃতিক স্থান ঘুরতে গিয়ে খাবারের প্যাকেট ফেলে আসে, উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে হই হই করে বনভোজন করে এমনকি অনেকে হরিণ শিকার করে। এছাড়া প্রবাল দ্বীপে কোন কনক্রিটের আবাস বা হোটেল নির্মাণের অনুমতি দেয়াও বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

১০। আমাদের মত ছোট দেশে একক বাড়ি তৈরি না করে তলা ভিত্তিক বাড়ি নির্মাণ করা উচিৎ। একটি জমিতে একাধিক সন্তান সন্ততিরাও নিজেদের মত পৃথকভাবে থাকতে পারে যদি না কয়েকতলা বাড়ি তৈরি করা যায় অন্য জমি নষ্ট না করে।
এই অভ্যাসগুলো ব্যক্তি পর্যায়ে শুরু করতে হবে। একসময় এগুলোই দেশ, সমাজ ও পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তবে প্রত্যেক দেশের সরকারগুলোকে এ ব্যাপারে একমত ও ঐক্যবধ্য হয়ে একসাথে এইসবের বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।

 

(সিনিয়র ম্যানেজার এনভায়রনমেন্ট হেলথ এণ্ড সেফটি – লারসেন এণ্ড টুব্রো)

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait