বিনোদন

বাংলা সিনেমায় কাজ করলে মি টু অভিযোগ দেওয়া হবে হুমকি ফোন ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের সুরকারকে

By Swades Times
16th March, 2023
Highlights
  • জন্মের পর দ্বের বছরে বাবা কে হারাই, তারপর থেকেই লড়াই
  • সে লড়াই চলেছে মায়ের সাথে মিলেই যা কোনো কোনোদিন না খেয়েও কাটিয়েছি, ক্লাস 3 এর কথা মনে পড়ছে খেলতে গিয়ে পায়ে ঢুকে যায় তিনটে
  • বাঁশের কঞ্চি ভুল চিকিৎসার ফলে এক মাসে পা এমন জায়গায় চলে যায় যে পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে তাই নিয়েও লড়াই চালিয়েছি,
বাংলা সিনেমায় কাজ করলে মি টু অভিযোগ দেওয়া হবে হুমকি ফোন ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের সুরকারকে








ভাল কাজ করলে প্রশংসা পাওয়া যায়। তা অবশ্য মিলছে। কিন্তু ভাল কাজ করার পুরস্কার যদি হয় হুমকি ফোন! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটল ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজের সঙ্গীত পরিচালক অমিত চট্টোপাধ্যায়। হুমকি ফোন পেয়ে তাই ফেসবুকে দিলেন লম্বা পোস্ট।

সুরকার অমিত ফেসবুকে?

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল এ মিউজিক করে প্রশংসা ও পাচ্ছি অবিরাম সাথে হুমকিও, ভালো কাজ করার স্বরূপ, নিত্যদিন অচেনা অজানা ফোন নম্বর থেকে ফোন আসছে আর বলা হচ্ছে আমি যেনো বাংলা সিনেমায় কোনো কাজ ই না করি না হলে ফল ভুগতে হবে, হয় মহিলা কেন্দ্রিক কোনো Me too নয়তো প্রিয় জন দের ক্ষতি নয়তো আমার কোনো ক্ষতি হবে, যদিও আমি জানি এটা কোনো একজন এর থেকেই আসছে কারণ বাকি রা প্রশংসা করতেই ব্যস্ত, আমি জীবনে মিউজিক করতেই পারি আর কোনো কাজ তো করি না ধরেই নিচ্ছি যে বা যারা আমার কাজ করা দেখে ভয় পেয়েছে সে বা তারাই করছে, সে করুক। জন্মের পর দ্বের বছরে বাবা কে হারাই, তারপর থেকেই লড়াই, সে লড়াই চলেছে মায়ের সাথে মিলেই যা কোনো কোনোদিন না খেয়েও কাটিয়েছি, ক্লাস 3 এর কথা মনে পড়ছে খেলতে গিয়ে পায়ে ঢুকে যায় তিনটে বাঁশের কঞ্চি ভুল চিকিৎসার ফলে এক মাসে পা এমন জায়গায় চলে যায় যে পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে তাই নিয়েও লড়াই চালিয়েছি, খেলেছি রান করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি পাস ও করেছিলাম, কর্মজীবনেও লড়াই অনবরত আসলে আমি ওটাই করতে পারি.. জেলা থেকে উঠে আসা ছেলে আমি শহরের ছবিতে আমি মিউজিক করবো এটা হয়তো সহ্য করা যাচ্ছেনা, তাই এই ফল।

এই ফেসবুক পোস্টে অমিত আরও লিখলেন, ”দীর্ঘ কর্মজীবনে কাজ করেছি অনেক বিখ্যাত মিউজিক ডিরেক্টর এর সাথে কাজ করার সুবাদে দেখেছি কত উঠতি নতুন গায়ক গায়িকা দের কি করতে হয় গান পাওয়ার জন্য, মাঝে মধ্যে বাইরে চলে আসতে বাধ্য হতাম সুড়সুড়ি দেওয়া কথা শুনে, ফিরে দেখতাম দরজাটা ভেতর থেকে লকড.. মফস্বল থেকে আসা ছেলে আমি ভাবতাম এটাই হয়তো নিয়ম.. নিজে মিউজিক করতে শুরু করে এই নিয়ম বদলাবো বলেই সবার কাজ চুপচাপ শুনি, অনেক গুণী নতুনরা ইন্দুবালা তেও কাজ করেছেন, তাদের ও কাউকে কাউকে আমার সাথে কাজ করার দোষে জ্ঞান বা কথা শুনতে হচ্ছে ১ ঘণ্টার বেশি.. ভালো সুরকার হিসেবে কাজ শুরু করার সময় জনৈক বিখ্যাত মিউজিক ডিরেক্টর আমার কাছের এক মানুষ কে বলেছিলেন ঠিক এক বছর আমি কাজ পাবো তারপর আর পাবোনা, তর্কের রাস্তায় কোনোদিন ই আমি ছুটিনা.. কাজ এই জবাব দিতে পছন্দ করি, আর ওই যে বললাম লড়াই ছোট থেকে করছি তাই এই হুমকি আমায় কিছুই নাড়া দেবেনা তবে সবাই কে জানাতে ইচ্ছে হলো যে মিউজিক করা কিসের অপরাধ এই ইন্ডাস্ট্রি তে এরকম নতুনরা কাজ করলেই শুনবে, আমি ভয় পাইনা কারণ আমি মনে করি শুয়ে শুয়ে কিছুই করা যায়না…তবে এখন আর নতুন কোনো শিল্পী কে স্টুডিও তে ডেকে গান শুনতে পারবনা ক্ষমা করবেন.. আর এই আওয়াজ আরো তুলবো, পোস্টটা অনেক বড় তবে আশা করি সবার কাছে পৌঁছবে না পৌঁছলে আপনারা পৌঁছে দিন।”

ADVERTISEMENT
Swades Times Book

Redirect to Address page

Updating Subscription details

Redirecting...Please Wait