রাজনৈতিক
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হিসাবে বেরনো সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে দেখা করলেন শতবর্ষ পেরনো এক বৃদ্ধা। ওই বৃদ্ধাকে দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia)। বৃদ্ধা জানালেন, মন্ত্রী ব্যবস্থা করে দেওয়ায় বার্ধক্যভাতা এখন পাচ্ছেন তিনি। তাই কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছেন। এসব শুনে চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে মন্ত্রীর। বৃদ্ধার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন তিনি।
শনিবার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) কর্মসূচিতে বেরিয়েছিলেন। সবং ব্লকের বুড়াল গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। বুড়াল মধ্যপাড়া শিবালয় মন্দিরে পুজো দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এলাকায় হাঁটার সময় শতবর্ষ পেরনো এক বৃদ্ধা তাঁর সামনে পায়ে হেঁটে হাজির হন। পুত্রসম মন্ত্রীর সামনে এসেই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘বাবা তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। তোমার দেওয়া বার্ধক্যভাতা আমি পাচ্ছি।’’
বৃদ্ধার এই কথাগুলি শোনার পরেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তৎক্ষণাৎ তিনি বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরলেন। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ চাইলেন। আর বৃদ্ধাও পুত্রসম মন্ত্রীকে আশীর্বাদ করলেন প্রাণভরে। আর তখনই মন্ত্রীর চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠে। বৃদ্ধাকে বিদায় দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে বুড়াল বাজারে জুনিয়র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সহ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করেন মানস ভুঁইঞা। তাঁদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। আশ্বাস দেন, সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। পড়ুয়াদের চকলেটও বিতরণ করেন।
তারপর বুড়াল উত্তরে কর্মীদের সঙ্গে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন মন্ত্রী। সেখান থেকে বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর বিকেল পাঁচটায় অর্জুনতলায় একটি সভা করেন।
Enter your email address to reset your password.
The very name 'SWADES' denotes the philosophical essence and ideological standpoint of our vision. We envisage serving our 'Swades' by providing news, special stories and literary works of the new generation writers which would cater to the interest of the Nation.
Swades Times © 2020 , All rights Reserved
Comment Box