বিনোদন
বিদেশে বড় সাফল্য ‘দোস্তজী’র (Dostojee)। আমেরিকার বিখ্যাত টাইমস স্কোয়্যারের বিশাল স্ক্রিনে দেখা গেল বাংলার এই ছবির পোস্টার। আর তা দেখেই আবেগের স্রোতে ভাসলেন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ফিরে গেলেন ‘পুরানো সেই দিনের কথা’য়, যখন অর্থের অভাবে ‘দোস্তজী’র কোনও বড় পোস্টার বা হোর্ডিং দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম ডিসট্রিবিউশন সংস্থা বায়োস্কোপ ফিল্মস এলএলসি পেয়েছে মার্কিন মুলুকে ‘দোস্তজী’ দেখানোর স্বত্ত্ব। সব মিলিয়ে আমেরিকার ২৬টি প্রদেশের ৭৫টি শহরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। আর এর ফলেই ২০২৪ সালের অস্কারে যাওয়ারও সুযোগ থাকছে বাংলার এই সিনেমার। এছাড়াও কানাডার ১৫টি শহর, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ১০টি শহর, আরব দেশের আবু ধাবি, শারজা, দুবাই ও আজমানেও মুক্তি পাচ্ছে ‘দোস্তজী’।
ছবির জন্য গত কয়েকদিন ধরেই আমেরিকায় রয়েছেন প্রসূন। আশিক, আরিফ ও হাসনাহেনাদের কাহিনি দেখাচ্ছেন প্রবাসী দর্শকদের। পাচ্ছেন প্রশংসা। টাইমস স্কোয়্যারে ‘দোস্তজী’র বিশাল পোস্টার দেখা যেন তাঁর কাছে যেন এক পরাবাস্তব অনুভূতি। ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে পরিচালক লিখেছেন, “অনুভূতিটা আসলে ঠিক কেমন সেটা লিখে অথবা বলে বোঝাতে পারব না। যখন নিজের দেশে, নিজের শহরে ‘দোস্তজী’ রিলিজ হয়েছিল তখন আমরা একটা বড় পোস্টার, একটা হোর্ডিং, কিছুই দিতে পারিনি, আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য ছিল না। তবুও সেই ছবি বাংলার দর্শকদের ভালবাসায় একটানা বারো সপ্তাহ সিনেমাহলে চলেছে।”
এরপর মার্কিন মুলুকের কথা লেখেন প্রসূন। পরিচালকের ভাষায়, “আমেরিকাতে এসে জানতে পারলাম ‘দোস্তজী’র টিজার / ট্রেলার চলছে নিউ ইয়র্ক শহরের বিখ্যাত টাইম স্কোয়্যারের বিশাল দানবীয় সব বিলবোর্ডে। যেখানে হলিউডের সব তাবড়-তাবড় ছবির টিজার / ট্রেলার চলে সেখানে বাংলা ভাষার এক ছবি! বাংলা ভাষার প্রথম ছবি হিসেবে ‘দোস্তজী’ চলল টাইম স্কোয়ারের বিলবোর্ডে। নিউ ইয়র্ক শহরের টাইমস স্কোয়্যারে বাংলা ছবির এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমি নিজেও।”
Enter your email address to reset your password.
The very name 'SWADES' denotes the philosophical essence and ideological standpoint of our vision. We envisage serving our 'Swades' by providing news, special stories and literary works of the new generation writers which would cater to the interest of the Nation.
Swades Times © 2020 , All rights Reserved
Comment Box