অন্ধকার সময় যখন জাতির জীবনে ঘনিয়ে আসতে থাকে, ঘনায়মান সেই অন্ধকারের বুক চিরে আলো নিয়ে আসেন কিছু সমাজ সংস্কারক। পৃথিবীর ইতিহাসে বারবার এ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। এই মূল্যবোধের অবক্ষয়ের দিনে, এই অধর্মের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের দিনে কিছু ছেলেমেয়ে এখনো সমাজের শুভ দিকটি মানুষের সামনে প্রতিবিম্বিত করে। এই স্বার্থপরতার দিনে তারা শুধু নিজেদের ভালোটাকে না দেখে, শুধু নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা না করে সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলোর ভালো করার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, তারা একে অপরের সুখে দুঃখে, ভালো মন্দে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে থাকে। তাদের জীবনে প্রেম আছে, আছে বিরহ, আছে দুঃখ, আছে যন্ত্রণা। তার সঙ্গে আছে জীবনের প্রতি বাঁকে তাদের নিরন্তর সংগ্রাম। সেই সংগ্রামেও তারা একে অপরের হাতটা ছেড়ে দেয় না। নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েও তারা চেষ্টা করে বৃহত্তর মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার।
 

"সখা ত্বমেব" আর "ব্লাডমেটস"--এই দুটি উপন্যাসে একঝাঁক তরতাজা ছেলেমেয়ের চরিত্র এমনভাবে আঁকা হয়েছে, যাদের আজকের সমাজে ভীষণ প্রয়োজন। প্রেম, রাজনীতি, সংগীত, খেলাধূলা, সর্বোপরি ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে উঠে সমাজের জন্য কিছু কাজ করার মধ্যে দিয়ে ওদের যাত্রা শুরু হল। গীতার সেই মহান বাণী ওদের মধ্যে দিয়ে আবার ব্যক্ত হোক--

"যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত

অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানম সৃজম্যহম

পরিত্রানায় সাধুনাম বিনাশায়চ দুস্কৃতাম

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।''